বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেছেন তাঁর আমলেই বহুগুণ বেড়েছে বাংলার কৃষকদের আয়। এবার তাতেই যেন দরাজ সার্টিফিকেট দিল কেন্দ্র।
কলকাতা: তৃতীয়বার জন্য বাংলার মসনদে বসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সরকার। এদিকে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের আগে বাংলার কৃষকদের (Famers of Bengal) আয় বৃদ্ধি নিয়ে খোদ মমতাকেই নিজের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায়। এমনকী তাঁর সময়কালে বাংলার কৃষকদের আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বলে দাবি করেছেন। এবার যেন তাঁর সেই দাবিকেই মান্যতা দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার বা আইসিএআর (ICAR)। শনিবার প্রকাশিত আসিএআরের রিপোর্টে(ICAR Report) সাফ বলা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২০-২১ সালে বাংলার কৃষকদের আয় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসের ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে বাংলার প্রশাসনিক মহলে।
তৃণমূল শিবিরের দাবি ক্ষমতায় আসার পর মমতা যে সমস্ত কৃষকমুখী প্রকল্প চালু করেছেন তার হাত ধরেই এত বড় সাফল্যের মুখ দেখছে বাংলা। বড় অবদান রয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের। এই প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যের প্রায় ৭০ লক্ষের বেশি কৃষককে বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে একইসঙ্গে ৮৬ লক্ষের বেশি কৃষককে দেওয়া হয়েছে বার্ধক্য ভাতা। এছড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ আরও একাধিক সময়ে চাষাবাদে ক্ষতির মুখ দেখলেও একাধিক সময়ে বড় ঋণ মুকুমের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলার সরকার। এমমকী দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণও। সে কারণে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির মুখ দেখলেও তার ধাক্কা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলে মত ঘাসফুল শিবিরের। যার জেরে কোভিডের সময়েও চরম দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলার কৃষক পরিবারগুলি।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারের তরফে যে রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলা ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ় ও পুদুচেরিতেও কৃষকদের আয় প্রায় সমান বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে এই রাজ্যগুলিতে কৃষকদের আয় ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু ধান-আলুর পাশাপাশি বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পশুপালনের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে আইসিএআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এই রিপোের্টটি সামনে আনেন। তাতেই দেখা যাচ্ছে ছোট কৃষকদের পাশাপাশি বড় কৃষক অর্থাৎ যাদের ১০ হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে তাঁদের আয় ৩৭৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় আবার বাংলার সঙ্গে একইসঙ্গে শীর্ষস্থানে রয়েছে পদুচেরি
Post A Comment:
0 comments so far,add yours