আবাসন কমিটির বক্তব্য, জানুয়ারি মাস থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠানো হয়েছিল এই বিষয়টি নিয়ে। অথচ তিনি কোনও কর্ণপাতই করেননি এই বিষয়ে।
: ঘরে টাকার পাহাড়! কোটি কোটি টাকা জমানো। অথচ বকেয়া পড়ে রয়েছে ফ্ল্যাটের মেইনটেন্যান্সের টাকা। কোটি কোটি টাকা থাকা সত্বেও কেন মেইনটেন্যান্সের টাকা বকেয়া? প্রশ্ন তুলছেন বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের আবাসিকরা। উল্লেখ্য, ডায়মন্ড সিটিতে গিয়ে ওঠার আগে মায়ের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ওখানে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে। অথচ ওই আবাসনে নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে বাকি রয়েছে মেইনটেন্যান্সের টাকা। আবাসিকদের দাবি, জানুয়ারি মাস থেকে বকেয়া পড়ে রয়েছে ফ্ল্যাটের মেইনটেন্যান্সের টাকা। আবাসন কমিটির বক্তব্য, জানুয়ারি মাস থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠানো হয়েছিল এই বিষয়টি নিয়ে। অথচ তিনি কোনও কর্ণপাতই করেননি এই বিষয়ে।
আবাসন কমিটির থেকে জানানো হয়েছে, “ওনার দুটি ফ্ল্যাটের মেইন্টেন্যান্স বাবদ একটিতে ৯ হাজার ৯০০ এবং অন্যটিতে ১১ হাজার ৮০৮ টাকা বাকি জানুয়ারি মাস থেকে। আমরা বার বার বিষয়টি নিয়ে বলেছি তাঁকে। হোয়াটসঅ্যাপ মারফতও জানানো হয়েছিল। তারপরও বিষয়টিতে উত্তর না আসায় নোটিস বোর্ডেও বিষয়টি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ব্যক্তিই হোক, আমাদের কাছে প্রভাবশালী বলে কিছু নেই। আমাদের কাছে উনি একজন আবাসিক।” আবাসিকরা আরও জানান, “উনি যে এত টাকার মালিক, তা তো আমরা আগে জানতাম না। আমাদের বলত সমস্যা আছে। দিয়ে দেব।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতেই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ২০ কোটি টাকা। পরে শনিবার সকালে সেই উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় ২১ কোটি। এর পাশাপাশি অর্পিতার বাড়ি থেকে বিদেশি মুদ্রা ও সোনাও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সেই মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধার করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধার ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে ওই মহিলা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours