বিএসএফের এক্তিয়ারবৃদ্ধি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব সরকার। তবে তা যুক্তিযুক্ত নয়। বিজেপি সাংসদ ব্রিজলালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

 ২০২১ এর অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এ বার থেকে যে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে, সেখানে সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় নজরদারি, তল্লাশি ইত্যাদি করতে পারবে বিএসএফ। কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তির তীব্র আপত্তি জানায় দুই বিরোধী শাসিত রাজ্য। গত শীতকালীন অধিবেশনে এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ঝড় ওঠে। গায়ের জোরে মোদি সরকার রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়

গত শীতকালীন অধিবেশনে এই প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তাঁর প্রশ্নের জবাবে নিত্যানন্দ রাই জানান, সিআরপিসি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী, তাদের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে বিএসএফ। এই সমস্ত ধারায় উল্লেখ করা বিধি অনুযায়ী, তাদের হাতে বাজেয়াপ্ত করা, তল্লাশি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে।" অর্থাৎ বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিমাণ ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার পরে সেই এলাকায় রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে তারা।

জহর সরকার জানতে চেয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মোট ৮৮ হাজার ৭৫২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৩২ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ নয় কী? সরাসরি জবাব না দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে আরও দৃঢ় সমন্বয়ের মাধ্যমে জাল নোট পাচার, মাদক পাচার, অস্ত্রের চোরা কারবারির মতো বিষয়গুলিতে নজরদারি চালাত পারবে বিএসএফ। এর প্রতিবাদে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ আগামী ১৬ নভেম্বর বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রস্তাব পেশ করা হবে৷ সেক্ষেত্রে পঞ্জাবের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাশ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours