ইতিমধ্যেই ২ সপ্তাহ কেটে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি দুই ভারতীয় জওয়ানের। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ থেকে ২ সপ্তাহ আগেই নিখোঁজ হয়ে যান দুই ভারতীয় জওয়ান। চিন সীমান্তের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন ছিলেন এই দুই ভারতীয় জওয়ান।গত মাসের ২৮ তারিখ থেকেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান বলেই খবর। যদিও এখনও ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম গারওয়াল রাইফেলের জওয়ান ছিলেন নিখোঁজ ওই দুইজন। এই দুই জওয়ানের নাম হরেন্দ্র নেগি এবং প্রকাশ সিং রানা। তাঁরা দুজনেই অরুণাচল প্রদেশের কাছে ভারত-চিন সীমান্তের থাকলা পোস্টে কর্মরত ছিলেন। এক সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকাশ সিং রানার স্ত্রী মমতা রানা জানিয়েছেন, গত ২৯ মে তাঁর কাছে ফোন আসে সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে। তাঁকে জানানো হয় যে, ২৮ মে থেকে তাঁর স্বামীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এরপর চলতি মাসে ৯ জুন আবারও ফোন আসে। সেই ফোনে জানানো হয় যে, নিখোঁজ ওই দুই জওয়ানই নদীতে ডুবে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, নিখোঁজ হওয়ার পরে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে এখন শুধুই স্বামীর অপেক্ষায় দিন গুনছেন মমতা রানা।
অন্যদিকে, ওপর জওয়ান হরেন্দ্র নেগির স্ত্রী পুনম নেগিও জানিয়েছেন, তিনি মানতেই পারছেন না যে, ওই দুই জওয়ান নদীতে ডুবে গিয়েছেন এবং সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। তিনি জানান, তিন বছর আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। এক বছরের সন্তানও রয়েছে তাঁদের।
ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের সাহসপুরের বিজেপি বিধায়ক সহদেব সিং পুণ্ডির নিখোঁজ জওয়ান প্রকাশ রানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাটের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম দিকেই অরুণাচল প্রদেশের এক কিশোর আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক সপ্তাহের জন্য। পরে সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায় যে, চিনের লাল ফৌজ তাঁকে বন্দি বানিয়েছে। এরপর দুই দেশের সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর ওই কিশোরকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। এর দুই নিখোঁজ জওয়ানের সঙ্গেও তেমনই কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours