June 2022
সোমবার সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথমদিনই ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বনধ ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, তার জন্য সমস্ত থানা, জেলা প্রশাসনকে প্রস্তত থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ডিভিশনাল কমিশনার, প্রতিটি থানার আইসি, প্রতিটি জেলার পুলিশসুপারকে। আজ সকাল থেকে চিত্র অন্যন্য দিনের মতো সব স্বাভাবিক জেলা জুরে । কাকদ্বীপ একশ সতেরো নম্বর জাতীয় সড়ক যান চলাচল স্বাভাবিক। পাশাপাশি ফেরিচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে অন্যান্য দিনের মতো । ডায়মন্ড হারবার একশ সতেরো দিনের একই চিত্র । দোকানপাট খোলা রয়েছে । ট্রেন ও ফেরী চলাচল স্বাভাবিক।
আবারও ট্রলার দুর্ঘটনা। গতকাল নামখানা ব্লকের ১০ মাইল গ্রামের একটি ট্রলার জম্বুদ্বীপের থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যায়। সূত্রের খবর গতকাল ফিশিং করতে বেরিয়েছিল ওই ট্রলার। আবহাওয়া খারাপ এর কারণে সমুদ্র উত্তাল প্রচণ্ড ঢেউ এর ধাক্কায় ট্রলার এর তলা ফেটে যায়। ট্রলারে জল ঢুকতে শুরু করে, এবং ট্রলারটি ডুবতে থাকে। পাশাপশি থাকা ট্রলার গুলি এসে ট্রলারে থাকা ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে আজ সকালে নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ৫টি ট্রলার পাঠানো হয়েছে তলিয়ে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য।


নবীর বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে গোটা দেশজুড়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে নূপুর শর্মাকে ঘিরে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিজেপি নেত্রী গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তার জেরেই দিকে দিকে হিংসাত্মক ঘটনা দেখা দিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপর চড়াও হচ্ছে মুসলিমরা।বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে শুরু করে অবিজেপি রাজ্যেও দেখা যাচ্ছে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। অর্থাত্‍ বলা যায়, এখানেও শান্ত হয়নি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এরই মধ্যে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তিনি বলেন, আমার অনেক মুসলমান বন্ধুরা ধর্মবিরোধী কাজ করেন। কিন্তু তাতে ইসলাম ধর্মের কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু নূপুরের মন্তব্যেই দেশজুড়ে সমস্যা তৈরি হয়ে গেল।এদিন কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গল্প বলার ছন্দে লেখেন, 'আমার অনেক মুসলিম বন্ধুরা মদ্যপান ও ধূমপান করে, বিবাহপূর্ব যৌন মিলন করে, বোরখা পরে না, শূকরের মাংস খায়। এছাড়াও নিজেদের কাজের কারণে কখনও কখনও তাঁদের হালালের নির্দেশিকা লঙ্ঘনও করতে হয়। কিন্তু তাতে কারোর কোনও সমস্যা আমি দেখতে পাই না। যদিও এটা একটা ভালো দিক একটি সুন্দর ভারতের নিদর্শন। কিন্তু এখানে নুপুর ইসলাম ধর্ম গুরুকে নিয়ে একটা মন্তব্য করায় তা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে তাঁকে অপরাধী প্রমাণ করার বিষয়টি মানা যায় না।'

প্রসঙ্গত, দেশের যে কোনও বিতর্কিত এবং চর্চিত বিষয়ে অভিনেত্রী কঙ্গনাকে দেখা যায় মন্তব্য করতে। নূপুর শর্মার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না। তাছাড়া কঙ্গনা বিজেপিতে যোগদানের পর আরও বেশি সংবাদ মাধ্যমের চর্চায় উঠে আসতে শুরু করেছেন।
এই হাঁসফাঁস আবহাওয়ায় অস্বস্তিতে মানুষ। এক্ষেত্রে এখন বঙ্গবাসীর মাথায় একটাই চিন্তা, কবে পাকাপোক্ত ভাবে বর্ষার আগমনে হচ্ছে ! কারণ এই গরম আর আদ্রতা জনিত অস্বস্তি একেবারেই সহ্য হচ্ছে না অনেকের । যদিও কলকাতায় গড় তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।তবে হয়ত বর্ষার অপেক্ষা আর বেশি দিন করতে হবে না , তার আগাম পূর্বাভাস দিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের আগে উত্তর বঙ্গেবর্ষা আগে প্রবেশ করবে। তারপর তার পিছু পিছু বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ।

যদি দক্ষিণবঙ্গের কথা বলা হয় তাহলে ১৩ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি একই রকম থাকবে। কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া একটু মেঘলা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রবিবার বিকেলের দিকে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হওয়া অফিসে সূত্র অনুযায়ী আর চার-পাঁচ দিন অপেক্ষা করলেই বর্ষার বৃষ্টি পাবে বঙ্গবাসী। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে , দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ করতে পারে ১৪ তারিখের পর থেকে।

অপরদিকে আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া মোটামুটি এক থাকলেও জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং , কালিম্পং আর আলিপুরদুয়ারের দু-এক জায়গায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি ১৪ থেকে ১৬ই জুনের মধ্যেই বর্ষার প্রবেশ ঘটবে উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে। স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা কমবে এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে তার আগে পর্যন্ত এই অস্বস্তিকর গরম থাকবে। ১৩ই জুন থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার , কোচবিহার , কালিম্পং , জলপাইগুড়ি , দার্জিলিং প্রভৃতি জেলাগুলিতে। মোটামুটি এই সময় থেকে দক্ষিণবঙ্গের সবকটা জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। পাশাপাশি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।

কয়েকদিন আগে সকলে বেড়াতে আসেন দিঘায়। হৈ-হৈ করে ঘুরতে এসেছিলেন সকলে। কিন্তু তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক অবস্থা। দিঘার হোটেলে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক।


গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সৈকত শহরে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জয় কর্মকার (২২)। উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর এলাকা থেকে ১৪ জনের একটি দল দিঘায় বেড়াতে যায়।নিউ দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা সমুদ্রে বেড়াতে গেলে জয় জানায় শরীর ভালো নেই। হোটেল ঘরে একাই থেকে যান ওই যুবক।


এরপর সমুদ্র থেকে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যরা দেখেন সিলিং ফ্যানে গামছা দিয়ে ঝুলছে যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে এলে ওখানেই চিকিত্‍সক মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয় কর্মকার উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর থানা এলাকার ঘুমা নিবেদিতা পল্লী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।


মৃতের আত্মীয় বলেন, 'আমরা দুপুর বেলা ভাত খেতে বসেছি। ও তখন বলছিল পেটে ব্যথা করছে। খেয়ে উঠতেই চারটে বেজে গিয়েছে। তারপর আমরা সমুদ্রে যাই। ওকেও জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু ও বলে শরীর ভালো লাগছে না তোমরা যাও। এরপর আমরা বেরিয়ে যাই। পাশাপাশি বলে যাই যাতে ও ঘরে তালা না দেয়। এরপর এসে দেখি এই অবস্থা। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।

আবারও ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের জন্য সুখবর। নেওড়ার জঙ্গলে ফের হদিশ মিলল দক্ষিণরায়ের (Royal Bengal Tiger)। সেই ছবিই রবিবার প্রকাশ্যে আনল বন দফতর। শুক্রবারও সুন্দরবনের খাঁড়িতে পর্যটকদের দর্শন দিয়েছিল একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তার দু'দিনের মাথায় উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে দেখা মিলল তার।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে লাভাতে প্রথম বারের জন্য বাঘের দেখা পাওয়া যায়। সেই সময় আনমোল ছেত্রী নামে এক ড্রাইভার পর্যটক নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। লাভা থেকে রিশপ যাওয়ার পথে তিনি রাস্তার পাশে বাঘ দেখতে পেয়ে গাড়ি থামিয়ে দক্ষিণরায়ের ছবি ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন।

তারপর থেকেই তত্‍পর হয় বনদফতর। নেওড়ার ভ্যালি জাতীয় উদ্যানে (Neora Valley National Park) বাঘের সন্ধানে ট্র‍্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়। সেই ক্যামেরাতেই বেশ কয়েকবার বাঘের ছবি ধরা পড়েছে। রবিবার সেই ক্যামেরাতেই ধরা পড়া ছবি প্রকাশ করল জলপাইগুড়ি গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন।

নিজের মেজাজে বন চষে বেড়াচ্ছে সে। তবে যে বাঘের ছবি এতদিন ক্যামেরায় ধরা পড়ছে তা একই বাঘের ছবি না অন্য কোন দক্ষিণরায় রাজত্ব করতে এসেছে এই বনে তা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনা সম্পর্কে গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ডিএফও জানান, 'গত ছয় মাস ধরে এই ছবিগুলি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। এইগুলি একই বাঘের। নাকি আরও কোনও অন্য বাঘ এখানে এল তা জানতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।'

গত বছরও বাঘের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এই একই জঙ্গলে। আর ফের একবার ওই জঙ্গলেই বাঘের ছবি মিলল। বাঘেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য বন দফতরের।
স্বাভাবিক হচ্ছে হাওড়া। গত কয়েকদিনের উত্তেজনা (Howrah Violence) এখন অনেকটাই প্রশমিত, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানানোর হয়েছে। সেইমত এদিন সকাল থেকেই ফের স্বাভাবিক হল হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service)। যদিও এখনও কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় রুট মার্চ চলছে, রয়েছে পুলিশ পিকেটও।তবে রবিবার হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি।

উল্লেখ্য, নবী মহম্মদ সম্পর্কে নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। দিল্লি, কানপুর, রাঁচি-র মত শহরে অশান্তির খবর সামনে এসেছে। সেই আঁচ বাংলাতেও পড়েছে। দিন তিনেক আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার কয়েকটি এলাকা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি তত্‍পর হয় পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার রাত থেকে গোটা হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে অশান্তি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে না পড়ে। তবে শনিবার হাওড়ার কয়েকটি এলাকায় অশান্তি বাড়তে থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও উলুবেড়িয়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বুধবার পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। ফের আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে হাওড়ার জনজীবন।

তবে এর মাঝেই রাজ্যের অন্য প্রান্তে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর এসেছিল। যদিও পুলিশ কড়া হাতে সেই অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করে। রবিবার রাত থেকে সেভাবে নতুন করে আর কোনও অশান্তির খবর মেলেনি।
ইতিমধ্যেই ২ সপ্তাহ কেটে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি দুই ভারতীয় জওয়ানের। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ থেকে ২ সপ্তাহ আগেই নিখোঁজ হয়ে যান দুই ভারতীয় জওয়ান। চিন সীমান্তের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন ছিলেন এই দুই ভারতীয় জওয়ান।গত মাসের ২৮ তারিখ থেকেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান বলেই খবর। যদিও এখনও ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম গারওয়াল রাইফেলের জওয়ান ছিলেন নিখোঁজ ওই দুইজন। এই দুই জওয়ানের নাম হরেন্দ্র নেগি এবং প্রকাশ সিং রানা। তাঁরা দুজনেই অরুণাচল প্রদেশের কাছে ভারত-চিন সীমান্তের থাকলা পোস্টে কর্মরত ছিলেন। এক সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকাশ সিং রানার স্ত্রী মমতা রানা জানিয়েছেন, গত ২৯ মে তাঁর কাছে ফোন আসে সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে। তাঁকে জানানো হয় যে, ২৮ মে থেকে তাঁর স্বামীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এরপর চলতি মাসে ৯ জুন আবারও ফোন আসে। সেই ফোনে জানানো হয় যে, নিখোঁজ ওই দুই জওয়ানই নদীতে ডুবে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, নিখোঁজ হওয়ার পরে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে এখন শুধুই স্বামীর অপেক্ষায় দিন গুনছেন মমতা রানা।

অন্যদিকে, ওপর জওয়ান হরেন্দ্র নেগির স্ত্রী পুনম নেগিও জানিয়েছেন, তিনি মানতেই পারছেন না যে, ওই দুই জওয়ান নদীতে ডুবে গিয়েছেন এবং সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। তিনি জানান, তিন বছর আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। এক বছরের সন্তানও রয়েছে তাঁদের।

ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের সাহসপুরের বিজেপি বিধায়ক সহদেব সিং পুণ্ডির নিখোঁজ জওয়ান প্রকাশ রানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাটের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম দিকেই অরুণাচল প্রদেশের এক কিশোর আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক সপ্তাহের জন্য। পরে সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায় যে, চিনের লাল ফৌজ তাঁকে বন্দি বানিয়েছে। এরপর দুই দেশের সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর ওই কিশোরকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। এর দুই নিখোঁজ জওয়ানের সঙ্গেও তেমনই কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন থেকে বেহাল রাস্তা, বর্ষার মরশুমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়, তাই এবার পাকা রাস্তার দাবিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ির সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ সামিল হল এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহেশ চন্দ্র বর্মনের বাড়ির সামনে।জানা গেছে প্রায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চাটামপাড়া থেকে পুঁটিমারী হয়ে গেন্দুগুড়ি কদমতলা পর্যন্ত গ্র্যাভেল রাস্তার বেহাল অবস্থা, লাগাতার বৃষ্টির জেরে বর্ষার মৌসুমে বর্তমানে চলাফেরা প্রায় একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রুগী চলাফেরা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে, ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে একাধিকবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এদিন বাধ্য হয়ে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহেশ চন্দ্র বর্মনের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করল পুঁটিমারী এবং গেন্দুগুড়ি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।
বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে পবিত্র বর্মন, সমির বর্মন, বাপ্পা বর্মনরা অভিযোগ করেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চাটামপাড়া থেকে কদমতলা পর্যন্ত দীর্ঘ দিন ধরে গ্র্যাভেল রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, ফলে দীর্ঘ ৪ কিমি রাস্তা পাকা করার দাবিতে শনিবার দুপুরে প্রধানের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে এলাকার বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহেন্দ্র বর্মন জানান, বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদ ও বিডিও সাহেব কে জানানো হয়েছে। বহুদিন থেকেই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। গ্রাম পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে এত বড় পাকা রাস্তা করার জন্য সেরকম কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে আমিও চাই রাস্তাটি পাকা হোক, দরকার পড়লে বাসিন্দাদের সাথে আমিও গিয়ে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হবো।
অপরদিকে এলাকার বিধায়ক অর্থাত্‍ বিরোধীদলের বিধায়ক বরেন চন্দ্র বর্মন বলেন তৃণমূল দলটাই হচ্ছে ভাওতাবাজ ও তোলা বাজের দল এলাকার উন্নয়নের দিকে কোন নজর নেই এরা শুধু নিজের স্বার্থে জনগণকে ব্যবহার করছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র বর্মন জানান, রাস্তা পাকা করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে জানিয়েছি, পাশাপাশি তিনি বলেন বিজেপি বিধায়কের কোন দায়িত্ব নেই। নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে শুধু রাজনীতি করছে বিধায়ক।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একই রাস্তা পাকা করার দাবিতে গেন্দুগুড়ি এলাকায় ধানের চারা রোপণ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এলাকাবাসীরা এবং শুক্রবার দুপুরে পুঁটিমারীতে পাকা রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরপর বিক্ষোভ, অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বৃষ্টিতে চাষের জমিতে প্যাচপ্যাচে কাদা। সকালে কাজে গিয়েছিলেন স্থানীয় চাষিরা। তাঁরাই কাদার মধ্যে প্রথমে শরীরটা পড়ে থাকতে দেখেন। গোটা শরীরে একটা সুতো পর্যন্ত ছিল না। পুরোটাই কর্দমাক্ত। ধান ক্ষেতের সামনে থেকে এক ব্যক্তির কাদা মাখা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার মাধাইপুর এলাকা।দেহের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি গাড়ি, একটি লোহার রড, গাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে জামা কাপড়।

প্রাথমিকভাবে এটিকে খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। খুন করে কাদায় ফেলে রাখা হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। রবিবার সকালে মালদা থানার বাইপাসের কাছে মাধাইপুর লক্ষ্মী পাথার এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির নগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মালদা থানার আইসি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই এলাকার বাসিন্দা নন। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা চিনতে পারেননি। সব থেকে উল্লেখযোগ্য, বাইপাস থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি চার চাকা গাড়িও পাওয়া গিয়েছে। গাড়ির কিছু দূরেই উলঙ্গ অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গাড়িটি সম্ভবত কলকাতার দিকের বলে জানা যাচ্ছে।

পুলিশের অনুমান, অন্যত্র খুন করে দেহ এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। গাড়ি ও আশপাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ আগে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। তারপরই খুনের মোটিভ স্পষ্ট হবে। ওই ব্যক্তির শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সকালে ওই রকম ভাবেই দেহটা পড়ে ছিল। আমরা থানায় খবর দিই। এখানকার লোক নয় বলেই মনে হচ্ছে।”

বকখালি, মৌসুনি দ্বীপের মতো জায়গাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। গঙ্গাসাগরকেও সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সম্প্রতি গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের (জিবিডিএ) বৈঠকে পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নতিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জিবিডিএ সূত্রের খবর, বকখালির সমুদ্রসৈকতে খালের উপরে একটি অস্থায়ী ভাসমান জেটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।গত কয়েক বছরে বকখালির সমুদ্রসৈকতে একটি খাল তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভাটার সময়ে পর্যটকেরা অনায়াসে সেই খাল পেরিয়ে সমুদ্রে নামতেন। কিন্তু জোয়ারের সময়ে ওই খাল পার করে ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তেন বহু পর্যটক। জোয়ারের সময়ে খালে পড়ে মৃত্যুও ঘটেছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বকখালি সমুদ্রসৈকতে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর, আপাতত খালের উপরে বসানো হবে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি। ভাটার সময়ে খাল পেরিয়ে যে সমস্ত পর্যটক সমুদ্রে নামবেন, জোয়ার এলে তাঁরা ওই ভাসমান জেটি দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারবেন। শীঘ্রই এই জেটি তৈরির কাজ শুরু করা হবে জানিয়েছে পর্যদ।


এ ছাড়া, অ্যাকোরিয়াম, সি-ভিউ গ্যালারি, ফুড কোর্ট ইত্যাদিও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পর্ষদের। বকখালিতে ঢোকার মুখে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে একটি গেট বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বকখালিতে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থাও তৈরি করা হবে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে জেলার পর্যটন মানচিত্রে উঠে এসেছে মৌসুনি দ্বীপ। প্রচুর পর্যটক ভিড় করছেন এখানে। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ওই এলাকায় ঢালাই রাস্তা, পথবাতির ব্যবস্থা হচ্ছে। এ ছাড়া, থাকার ব্যবস্থা করা হবে। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির চত্বরকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মন্দিরের সামনে সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য কাকদ্বীপের লট-৮ ভেসেল ঘাটের কাছে গড়ে তোলা হবে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। এ ছাড়াও, একটি বড় সার্কিট হাউস তৈরি করা হবে। নামখানার ১০ মাইল ও সাগরের রুদ্রনগরে তৈরি করা হবে আধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স। যেখানে বেকার যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, 'দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এবং জিবিডিএ-র এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে বকখালি ও সাগর আরও উন্নত ও আধুনিক হয়ে উঠবে।'

রবিবার পানিহাটিতে দই-চিঁড়ের মেলায় মর্মান্তিক ঘটনা। মেলায় এসে প্রচণ্ড গরমে মৃত্যু হল পাঁচজনের।অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন আরও কয়েক জন পুণ্যার্থী। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে গঙ্গা তীরবর্তী মহোত্‍সব তলা ঘাটে দণ্ড মহোত্‍সব পালিত হচ্ছে। করোনার জন্য গত দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল এই উত্‍সব। স্বাভাবিকভাবেই এবছরের অনুষ্ঠান ঘিরে উত্‍সাহ ছিল অনেক বেশি। সকাল থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ মেলায় আসছিলেন। বেলা বাড়তেই গরম বেড়েছিল মারাত্মক। গরম আর ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেলা। পুণ্যার্থীদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক ভাবে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়।

মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও পুণ্যার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'পানিহাটির ইসকন মন্দিরে দণ্ড মহোত্‍সবে গরম ও আর্দ্রতাজনিত কারণে অসুস্থ তিন জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এই খবরে আমি মর্মাহত। পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসক ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে'।

 
স্থানীয়রা জানান, মহোত্‍সবতলা ঘাটে দই-চিঁড়ের মেলায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। পা ফেলার জায়গা মাত্র ছিল না। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দেয়। একই সঙ্গে ছিল প্রচণ্ড গরম। অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ।

বন্ধুদের মধ্যে বচসার জেরে চলল চার রাউন্ড গুলি।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুর থানার খাগড়া শ্মশানঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চন্দন ডোম (৩৪) নামে এক যুবক । তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবছরই শ্মশানঘাট এলাকার ডোম পরিবারগুলো গঙ্গাপুজোর আয়োজন করে থাকে।গতকাল গভীর রাত্রে খাগড়া শ্মশানঘাট এলাকায় গঙ্গাপুজোর অনুষ্ঠান শেষে কয়েক যুবক এক জায়গায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়।বচসা চলাকালীন বিশ্বজিত্‍ দাস নামে এক যুবক হঠাত্‍ই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালাতে শুরু করেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন চন্দন ডোম। একটি বুলেট চন্দনের পা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। এর পাশাপাশি বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে চন্দনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আহত যুবককে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বিশ্বজিত্‍ দাসকে গ্রেপ্তার করে।প্রকাশ্যে এই ভাবে গুলি চালানোর ঘটনাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং শ্মশান যাত্রীদের মধ্যে।

পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরির কাছে মত্‍স্যজীবীদের ট্রলারডুবি। মৃত্যু হল ২ জনের। এখনও নিখোঁজ ৭ মত্‍স্যজীবী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিখোঁজদের হদিশ পেতে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে।সেই কারণে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে ট্রলারে করে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শেখ তাজেমানের এফবি আলামিন-৪ নামের একটি ট্রলার। মোট ১২ জন মত্‍স্যজীবী ছিলেন ট্রলারে। যাওয়ার সময় খেজুরির মসনদ-ই আলার কাছে চড়ে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ধাক্কার জেরে উলটে যায় ট্রলারটি। সমুদ্রে পড়ে যান ১২ জনই। সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধার কাজ।


জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫ জন মত্‍স্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন অসুস্থ। এখনও হদিশ মেলেনি ৭ মত্‍স্যজীবীর। জানা গিয়েছে, মৃত মত্‍স্যজীবীরা সম্পর্কে ভাই। সাগরের বাসিন্দা তাঁরা। উপার্জনের আশায় বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে ওই ট্রলারের নিখোঁজ মত্‍স্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের খোঁজে দফায় দফায় চলছে তল্লাশি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে রয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। ইতিমধ্যেই কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম ইরানি, মত্‍স্য দপ্তরের আধিকারিক সুরজিত্‍ বাগ-সহ প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরির কাছে মত্‍স্যজীবীদের ট্রলারডুবি।

মৃত্যু হল ২ জনের।

এখনও নিখোঁজ ৭ মত্‍স্যজীবী।

বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কলেজের উদ্দেশ্যেই রওনা দিয়েছিলেন স্বাগতা। কলেজে ঢোকার ঠিক মুখেই ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মেদিনীপুর শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত ভাদুতলার এক বেসরকারি কলেজের মাস্টার অফ হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় সেমিস্টারের (M.A 2nd Sem) ছাত্রীর!

জানা যায়, মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনের বাসিন্দা ছিলেন বছর তেইশের স্বাগতা হাজরা।আর, পাঁচটা দিনের মতোই অটোতে করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুপুর‌ ঠিক আড়াইটা নাগাদ আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় যেন মাথায় বাজ পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে পরিবারের সকলের! ঘটনাস্থল থেকে স্বাগতা-কে উদ্ধার করে, অটোতে করেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন! দুর্ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, ঘটনাস্থল থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও, বাইকের চালক পলাতক। এদিকে, ঘটনা ঘিরে শহর জুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া!স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ঠিক ২ টো ২৩ নাগাদ, মেদিনীপুর শহরের অদূরে শালবনী থানার অধীন ভাদুতলায় অবস্থিত এক বেসরকারি কলেজের একেবারে সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। কলেজে ঢোকার ঠিক মুখেই ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর লুটিয়ে পড়েন স্বাগতা। অনুমান করা হচ্ছে, ওই রয়েল এনফিল্ড বাইকের ধাক্কাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছাত্র-ছাত্রী তেমনটাই জানিয়েছেন। অপরদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি সরাসরি ধরা পড়েনি। তবে, তার পরের মুহূর্তে ধরা পড়েছে, ভাদুতলা থেকে মেদিনীপুর শহরের দিকে যাওয়া ওই বাইকের চালক ছিটকে পড়েন রাস্তার বাম দিকে এবং স্বাগতা ছিটকে পড়েন রাস্তার উপর।


এরপর, দু'জনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্‍সকরা স্বাগতা-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন! অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে আর ওই বাইক চালক যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে। তবে, তার বাইকটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় শোকস্তব্ধ স্বগতা'র পরিবার! শোকের ছায়া নেমে এসেছে শহর জুড়ে।

ভরদুপুরে পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি। মৃত পুলিশকর্মী-সহ এক মহিলা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। ভর দুপুরে পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছে মুহুর্মুহু গুলি চলে। এক পুলিশকর্মী গুলি চালাতে শুরু করেন। আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। তাঁরই ছোঁড়া গুলিতে নিহত আরও এক মহিলা।রোমহর্ষক ঘটনা খাস কলকাতায়। শুক্রবার দুপুরে পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ডেপুটি হাই কমিশনের দফতরের বাইরে আউটপোস্টে ডিউটি করছিলেন এক পুলিশ কর্মী। এদিন দুপুরে আচমকা তিনি তাঁর এসএলআর রাইফেল নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।

গুলি ছিটকে লাগে পাশে দাঁড়ানো একাধিক গাড়িতে। সেই সময়ে রাস্তা দিয়ে বাইকে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। সেই মহিলারও গুলি লাগে। ছিটকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলি লেগেছে বাইকচালক অন্য এক যুবকেরও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাইকচালক ওই যুবকের পিঠে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।

ভরদুপুরে পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশকর্মী-সহ মৃত্যু মহিলার। কী হয়েছিল, জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।#Kolkatapolice

Express Partha Paul pic.twitter.com/chZEsh43ER

এদিন এক নাগাড়ে ১০-১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন ওই পুলিশকর্মী। অন্যদের গুলি করার পরেই নিজেও আত্মঘাতী হন ওই পুলিশকর্মী। বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনে আজই কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

বেশ কিছুক্ষণ নিহত অবস্থাতেই রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই পুলিশকর্মী ও মহিলাকে। আচমকা কেন ওই পুলিশকর্মী গুলি চালালেন তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পৌঁছোয় ঘটনাস্থলে। দুটি মৃতদেহই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কাকদ্বীপ মহাকুমায় রাজ্যের মেধাতালিকায় আদর্শ বিদ্যামন্দির স্কুলের ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী জায়গা করে নেয়। তদের মধ্যে ১০ জন ছাত্রী ও ১জন ছাত্র রয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছাত্রীরা অনেক এগিয়ে ছাত্রদের থেকে৷ এ বিষয়ে সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানা বলেন, "করোনার কারণে গত দু'বছর ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া যায়নি৷ তবে অনলাইনে ক্লাস করানো হয়েছে। অনলাইনে হলেও, এই ক্লাস ভালো রকম হয়েছে। এছাড়াও শেষ যে ২ মাস স্কুলে ক্লাস নেওয়া হয়েছে, সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচুর ক্লাস করানো হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি আফসোস থেকে গিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকমতো প্রাক্টিক্যাল ক্লাস করানো সম্ভব হয়নি৷" তিনি আরও বলেন, "এবছর উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এই স্কুলের ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম৷ কারণ বহু বছর ধরে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে স্থান অধিকার করেছে। তবে প্রতিবারই ছাত্ররা ভাল ফলাফল করেছে। এবছরের ফলাফল একেবারেই ব্যতিক্রম৷ এবছর এই স্কুলের ছাত্রীরা সবচেয়ে ভাল ফলাফল করেছে। এই স্কুল থেকে মোট ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী রাজ্যে ১ থেকে ১০- এর মধ্যে স্থান দখল করেছে। এই ১১ জনের মধ্যে ১০ জন ছাত্রী রয়েছে, আর বাকি ১ জন ছাত্র রয়েছে। এই স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৪। এই স্কুলের ২ জন ছাত্রী এই নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও ৬ষ্ঠ স্থান দখল করেছে ২ জন, ৭ম স্থান দখল করেছে ৩ জন, ৯ম স্থান দখল করেছে ১ জন, ১০ম স্থান দখল করেছে ৩ জন।"
বৃহস্পতিবার সকালে উদয়নারায়ণপুরের সোনাতলা থেকে ৫টি তিল কাছিম উদ্ধার করল হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের উদয়নারায়ণপুর ইউনিটের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সোনাতলা বালক সঙ্ঘের সদস্যরা মাঠের মধ্যে থেকে ২টি তিল কাছিম উদ্ধার করেন। পরে এলাকার এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে আরও ৩টি তিল কাছিম উদ্ধার করা হয়।হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের উদয়নারায়ণপুর ইউনিটের সদস্য সুমন চক্রবর্তী ৫টি তিল কাছিমকেই একটি জলাশয়ে ছেড়ে দেন।
টেট পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনের পরও মেলেনি চাকরি। তারই প্রতিবাদে পথে নামলেন টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকের (Salt Lake) বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল।পুলিশ তাঁদের আটকালে পালটা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে শুরু করেন প্রতিবাদীরা। রোদে, গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স এনে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। এনিয়ে তীব্র বিশৃঙ্খলা বিকাশ ভবন লাগোয়া এলাকায়।

২০১৭ সালে টেট (TET) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মেলেনি চাকরি। মেধাতালিকায় নাম থাকলেও নিয়োগ হয়নি। বৃহস্পতিবার তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন উত্তীর্ণরা। কর্মসূচি ছিল, বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার। নির্ধারিত সময়ে জমায়েত হন তাঁরা। কিন্তু বিকাশ ভবনে পৌঁছনোর আগেই পুলিশ প্রতিবাদীদের রুখে দেয়। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেসব অগ্রাহ্য করেই এগিয়ে যান প্রতিবাদীরা। অভিযোগ, তাঁদের সেখান থেকে আটকের পর জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশকর্মীরা। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।

বিকাশ ভবনের পাশে অরুণাচল ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন টেট পরীক্ষার্থীরা। পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। প্রবল রোদ আর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। তাঁদের জন্য দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স আনানোর দাবি ওঠে। পুলিশের আশ্বাস থাকলেও অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ততক্ষণে আরও অসুস্থ বোধ করেন তাঁরা। পরে অবশ্য অ্যাম্বুল্যান্সে অসুস্থদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। টেট, এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে একাধিক মামলা চলছে হাই কোর্টে (Calcutta HC)। তারই মধ্যে নিত্যদিন বঞ্চিত পরীক্ষার্থীদের প্রতিবাদ। সবমিলিয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চাপ ক্রমশই বাড়ছে।

সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিক্ষোভ।
পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার, অসুস্থ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী।
ঝড়বৃষ্টির সময় গোয়ালে গরু ঢোকাতে গিয়ে বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হল বাবা ও নাবালক ছেলের । বুধরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ভুতনি থানার আলাদিয়া গ্রামে । মৃতদের নাম দুলাল ঘোষ ও তাঁর ছেলে অনুপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ ।জানা গেছে,মালদার উত্তর চন্ডিপুর ব্লকের আলাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল ঘোষ কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়িতে গবাদি পশু প্রতিপালনও করেন । বাড়ির অদূরেই রয়েছে গোয়াল । মৃতের আত্মীয় আনন্দ ঘোষ বলেন, 'গরমের কারনে সাধারণত গোয়ালের সামনেই গবাদি পশুগুলি বেঁধে রাখতেন দুলালবাবু । বুধবার রাতেও বাঁধা ছিল ।

কিন্তু রাত্রি প্রায় দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে ছেলে অনুপকে সঙ্গে নিয়ে গবাদি পশুগুলি গোয়ালে ঢোকাতে গিয়েছিলেন । কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত বাবা ও ছেলে বাড়ি না ঢোকায় খোঁজ শুরু । তারপর ভোর প্রায় দুটোর দিকে গোয়ালের পাশে তাদের মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ।' তিনি জানিয়েছেন, বজ্রপাতেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান সকলের । এদিকে বাবা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকবিহ্বল পরিবার পরিজন । শোকের ছায়া গ্রাম জুড়ে ।।
পানাগড়ে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী । আহত হয়েছেন আরও দু'জন । বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন বুদবুদের কোটা মোড়ের কাছে ।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভজিত্‍ দত্ত । আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।



স্থানীয় সুত্রে খবর,এদিন সকালে বুদবুদের কোটা মোড়ের কাছে দাঁড়িয়েছিল একটি ডাম্পার । ওই ডাম্পারটির সামনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সড়ক নির্মানের কাজে তদারকি করছিলেন শুভজিত্‍ দত্ত । ঠিক সেই সময় 'পুলিশ' লেখা একটি বোলেরো গাড়ি বেপরোয়া গতিতে এসে ডাম্পারের পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয় । গাড়ির ধাক্কায় তখন ডাম্পারটি কিছুটা এগিয়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে যান শুভজিত্‍বাবু । ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় । আহত হয় বোলেরো গাড়ির দুই যাত্রী । পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । পুলিশ ডাম্পার ও বোলেরো গাড়িটিকে আটক করেছে ।।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy) নাম শোনেননি কিংবা ফেসবুকের ভিডিও স্ক্রল করতে করতে রোদ্দুর রায়ের ভিডিও চোখে পড়েনি এমন নেটিজেনের সংখ্যা হাতেগোনা। নোংরা, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে তিনি হয়ে উঠেছেন বাঙালিদের একাংশের প্রতিবাদের মুখ।সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ তার ফ্যান কেউ বা তার সমালোচক। আর তিনি হলেন 'মক্সিজম' তত্ত্বের অনুসারী একজন 'মোক্সা'!

সাধারণত রোদ্দুর রায়ের ভিডিওর বিষয়বস্তু হয়ে থাকেন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে কাজী নজরুল ইসলাম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, কেউই সাধারণত বাদ যাননি, সকলের উদ্দেশ্যেই খিস্তির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি। আর এভাবেই খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি আবার জনপ্রিয়ও হয়েছেন!

 

সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অশ্রাব্য খিস্তি দিয়ে পুলিশের জালে জড়িয়েছেন রোদ্দুর রায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠছে তার মুক্তির দাবি। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে ইউটিউবার এবং রোদ্দুর রায়ের অগুন্তি ভক্তের জমায়েতের কথা রয়েছে। তাদের দাবি, রোদ্দুর রায়ের নিঃশর্ত মুক্তি! লেখক অর্ক দেবের মতে, রাষ্ট্রযন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত, মৌলবাদীদের চেয়ে রোদ্দুর রায়দের 'খতরনাক' বলে মনে করছে প্রশাসন। আইন আইনের পথে চলবে। তবে রোদ্দুর রায়ের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করা হবে।

এহেন রোদ্দুর রায়ের জনপ্রিয়তা শুধু বাংলার গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি তার ভিডিওর মধ্যে প্রচুর ইংরেজি কথাও উল্লেখ করেন যাতে সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে তার বক্তব্য। রোদ্দুর রায়ের ভিডিও পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় স্তরেও। লক্ষ লক্ষ মানুষ তার খিস্তির ভিডিও দেখেন, শোনেন। আর এই ভাইরাল ভিডিও থেকে তিনি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করেন।

 

সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুসারে, রোদ্দুর রায় তার একেকটি ভিডিও থেকে ১৩-২৫ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। ইউটিউব, ফেসবুকে অকথ্য ভাষা ও খিস্তির ফোয়ারা ছুটিয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। একদিকে যেমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে, অন্যদিকে তেমন পকেটও বেশ ভরছে। কলেজ ক্যাম্পাসের পড়ুয়াদের কাছে তিনি তো আবার প্রতিবাদের মুখ, যুব সম্প্রদায়ের আইকনে পরিণত হচ্ছেন রোদ্দুর রায়!
দুই হাত দুই পা কিছুই তেমন কাজ করেনা ছেলেটার। সেই নিয়েই মাধ্যমিকে রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিলো দেশবাসীকে। মাধ্যমিকে তার মোট নম্বর ৬২৫। কথাটা শুনে সকলেই ভাবছেন কি ভাবে এমন একজন ১০০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দিলো?
মুর্শিদাবাদ জেলার গাদ্দা এলাকায় বাড়ি মোহাম্মদ আলম রহমানের। জন্মের পর বাবা মা বুঝতে পারেন আলম আর পাঁচটা বাচ্চার থেকে অনেক আলাদা কারণ তার হাত পা এতটাও সচল নয়। নানান ডাক্তার দেখানো ও তাদের পরামর্শে আলমের পরিবার জানতে পারে তাদের শিশুর মধ্যে বাসা বেঁধেছে প্রতিবন্ধকতা। ছোট থেকে ইচ্ছে থাকলেও খেলা ধুলা করতে পারতো না আলম, ঘরেই বসে থাকতো সব সময়। হয়তো এটাই আলমের পড়াশোনার জন্য তাকে আরো বেশি মনযোগী করে তোলে। শুধুমাত্র মনোযোগী হলে তো হবে না, বা পড়তে জানলেও হবে না। নিজেকে প্রমাণ করতে গেলে পরীক্ষার খাতায় লিখতেও হবে তাকে। আলমের দুই হাত অকেজো মুখ দিয়ে লিখতে গেলে অনেক সময় মুখের লালায় ভিজে যায় পরীক্ষার খাতা। তখন সে বেছে নিলো পা দিয়ে লেখার সিদ্ধান্ত। দুই পাও অকেজো হলেও ডান পায়ে বেশ একটু জোর পেতো আলম। ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ও তার পাশের আঙ্গুলের মাঝে পেনসিল ধরেই প্রথম লেখা শুরু করে আলম। পেনসিলের পাঠ চুকিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই আলম শুরু করলো পেন দিয়ে লেখা। কারণ ততদিনে সে ভালো রেজাল্ট করে হাই স্কুলে জায়গা করে নিয়েছে। যত দিন যায় আলমের পড়াশুনা মুগ্ধ করতে লাগলো গণপতি আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ছাত্রছাত্রীদের। আলমকে যথা সাধ্য সহায়তা করতেন তারা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় আলম বাংলায় ৯১, ইংরেজি তে ৮৬, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে ৭৭, ইতিহাসে ৮৪, ভুগলে ৯৫ পেয়ে মোট ৬২৫ নম্বর পেয়ে পাশ করলো মুর্শিদাবাদের আলম রহমান। মুর্শিদাবাদ এলাকার সবাই গর্বিত আলমের এই সাফল্যে। কিছু না পাওয়াতেই অনেকেই সৃষ্টি কর্তার কাছে নানান প্রার্থনা করেন, কিন্তু আলম অনেকটাই আলাদা, সে দেখিয়েছে সৃষ্টি কর্তা যা দিয়েছেন টা দিয়েই কামাল করা যায়। তার জন্য দরকার সৎ প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম। আলমের সাফল্যের খবর ছেয়ে গেছে গোটা দেশে, চোখে জল এসেছেও অনেকের। কে বলতে পারে আগামী ভবিষ্যতে হতেই পারে স্টিফেন হকিংস। আমরা যাই তার ভবিষ্যত জীবন আরোও উজ্জ্বল হোক। আপনার আমার আশে পাশে যদি কেউ এমন শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভেঙে পড়েন তাকে আলমের এই ভিডিওটি দেখবেন তার জীবনের আসার আলো দেখাবে।
হিউমুলাস লুপুলাস (Humulus Lupulus) বা হপ শুটস (Hop Shoots), খুব কম মানুষই এই গাছের নাম শুনেছেন। ভারতের কথা বলতে গেলে অধিকাংশ ভারতবাসীই এই সবজির নাম কখনও শোনেননি। তবে সারা বিশ্বের কাছে হপ শুটস গাছটির আলাদা পরিচয় রয়েছে। এটি বিশ্বের সবথেকে দামি সবজির গাছ। এর এক কেজির দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি!ভারতে নয়, আমেরিকা-ইউরোপের মত দেশগুলিতে এই সবজির প্রচুর চাষ হয়ে থাকে।

হপ শুটসের বিজ্ঞানসম্মত নাম হিউমুলাস লুপুলাস (Humulus Lupulus)। এটি একটি বহুবর্ষজীবী ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ। ৭৩৬ সালে জার্মানিতে প্রথম এই সবজির চাষ করা হয়েছিল। ১০৭৯ সালে প্রথমবার পানীয় প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয় এই গাছ। তারপর গবেষণা করে এর আরও অনেক ঔষধি গুণের কথা জানা গিয়েছে। এই সবজি দেখতে অনেকটা অ্যাসপারাগাসের মত এবং স্বাদেও নাকি অনেকটাই অ্যাসপারাগাসের মতোই।

অ্যাসপারাগাস যে পদ্ধতিতে রান্না করা হয়, হপ শুটসও সেই একই পদ্ধতিতে রান্না করা যায়। তবে রান্না ছাড়াও এর আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে। এই সবজি ঔষধি গুণে ভরা। এই গাছের ফুল হপ নামে পরিচিত। এর রং সবুজ রঙের এবং ভীষণ নরম। গাছ থেকে ফুল তোলার সময় অনেক সাবধান হতে হয়। তোলার সময় ফুল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা বিক্রয়যোগ্য থাকে না।

এই গাছের ফুল দিয়ে বিয়ার প্রস্তুত করা হয়। আবার পানীয়তে সুগন্ধি হিসেবেও কাজে লাগে এই ফুল। হপ ফুল দিয়ে তৈরি বিয়ার সহজে নষ্ট হয় না। প্রধানত পানীয় প্রস্তুতি করার জন্য গোটা বিশ্ব জুড়েই এই গাছের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ।

টিবি রোগের ওষুধ প্রস্তুতিতে এবং ক্যান্সার রোগের চিকিত্‍সায় হপ শুটস কাজে লাগে। সব সবজির মধ্যে থাকা একটি বিশেষ ধরনের অ্যাসিড ক্যান্সার আক্রান্ত কোশ নষ্ট করে। ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীরা হপ শুটস নিয়ে নানা গবেষণা করছেন। এই কারণে এই গাছের এমন আকাশছোঁয়া দাম।

এই সবজির দাম অত্যন্ত বেশি হওয়ার কারণে স্বভাবতই ভারতে এর ভাল বাজার নেই। তবে নেট মাধ্যমে সম্প্রতি একজন আইএএস অফিসার এই সবজির ছবিসহ দাম উল্লেখ করার পর থেকেই কার্যত হপ শুটস নিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। পাতে না পড়ুক, পৃথিবীর সবথেকে দামি সবজির ছবি এক ঝলক স্রেফ চোখে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছেন নেটিজেনরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে নেটিজেনরা রীতিমতো ফুঁসছেন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একরত্তি শিশুকন্যাকে। হাত-পা দড়ি দিয়ে বাধা। চড়া রোদে ওই অবস্থায় সে ছাদে পড়ে রয়েছে। কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে।ভিডিয়োটি দিল্লি পুলিশের নজরে পড়ে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে পুলিশ অনুমান করে ঘটনাটি কারওয়াল নগরের। দিল্লি পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছয়। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তারা কথা বলে। কিন্তু এলাকাবাসী দিল্লি পুলিশকে এই ব্য়াপারে কোনও তথ্য দিতে পারেনি। কার্যত হতাশ হয়ে তারা ফিরে যায়।

পরে তাদের সঙ্গে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে জানান, ভিডিয়োটি খাজুরি খস এলাকার এবং তিনি ওই এলাকার বাসিন্দার। কোন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, দিল্লি পুলিশকে ওই ব্যক্তি সেটাও জানান। দিল্লি পুলিশ খাজুরি খস এলাকায় গিয়ে বাড়িটির হদিশ পায় এবং মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে। অভিযোগের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে শিশুকন্যার মা। কেন তিনি এই শাস্তি দিয়েছেন, সেটাও ওই মহিলা পুলিশে জানিয়েছেন। মহিলার বয়ান অনুযায়ী, শিশুকন্যা স্কুলের দেওয়া হোমওয়ার্ক করতে অস্বীকার করে। বেশ কয়েকবার তাকে হোমওয়ার্ক করার কথা বলা হয়। কিন্তু মায়ের অনুরোধে সে সাড়া দিতে অস্বীকার করে। তাই, অবাধ্য মেয়েকে শিক্ষা দিতে মা দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ছাদে ফেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে, খুব বেশিক্ষণ শিশুটিকে সে ওই অবস্থায় রাখেনি। মাত্র পাঁচ থেকে সাত মিনিট।
মঙ্গলবার সকালে গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে (Roddur Roy)। যা নিয়ে গতকাল থেকে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, একদম উচিত কাজ হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন এই গ্রেফতারি বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি তখনই রোদ্দুর রায়কে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
এদিন রাতে তাঁকে রাখা হবে লালবাজারের লকআপে।

রোদ্দুর রায় ওরফে অনির্বাণ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর সহ এক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পরেই মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের তরফে একটি টিম গিয়ে গোয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পৌনে নয়টা নাগাদ রোদ্দুরকে নিয়ে কলকাতায় নামেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। আজ রাতে সেখানেই রাখা হবে এই ইউটিউবারকে।

মঙ্গলবার রোদ্দুরের গোয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসার জন্য গোয়ার আদালতে আবেদনও জানান আধিকারিকরা। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

বিমানবন্দরে নেমে স্বমহিমায় দেখা যায় রোদ্দুর রায়কে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন মুখ খোলেননি তিনি। শুধু দূরত্ব বজায় রাখতে বলতে বলতে বেরিয়ে যান বিমানবন্দর থেকে। কলকাতা পুলিশের গাড়ি তাঁকে নিয়ে সোজা চলে যায় লালবাজার।

শনিবার সন্ধ্যায় অসম-বাংলা সীমান্ত কুমারগ্রামের সঙ্কোশ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছিল ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘা আড় মাছ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার জামাইষষ্ঠীর সকালে ফের সঙ্কোশ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৭০ কেজি ওজনের আরও একটি বাঘা আড় মাছ।মত্‍স্যদপ্তর অনেক দিন আগেই বাঘা আড়কে বিলুপ্তপ্রায় নদীয়ালি মাছের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। তারপরেও সঙ্কোশ নদীতে পর পর দু'দিন বিশাল ওজনের দু'টি বাঘা আড় মাছ জেলেদের জালে আটকে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এর আগেও সঙ্কোশে পর পর ২০ কেজি ও ২৫ কেজি ওজনের বাঘা আড় ধরা পড়েছিল। এবার পরপর দু'দিন বেশি ওজনের মাছ ধরা পড়ল। মত্‍স্যদপ্তর যেখানে বাঘা আড়কে বিলুপ্তিপ্রায় নদীয়ালি মাছের তালিকায় রেখেছে সেখান সঙ্কোশে কেন এতবড় মাছ ধরা পড়ছে? এ বিষয়ে মত্‍স্যদপ্তরের আলিপুরদুয়ার জেলার সহ অধিকর্তা সুনীলচন্দ্র বর্মন বলেন, বর্ষা মরশুমের শুরুতে বৃষ্টির মিষ্টি জলের উপস্থিতিতে চঞ্চল হয়ে উঠে বাঘা আড় প্রজাতির মাছ। মিষ্টি জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই মাছ। আর তখনই জেলেদের জালে ধরা পড়ে যায় এই মাছ। ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্কোশে ভুটান থেকে আসা ঘোলা জলে চঞ্চল হয়ে উঠেছে এই মাছ।
মত্‍স্যদপ্তর জানিয়েছে, বিলুপ্তিপ্রায় নদীয়ালি মাছের তালিকায় বাঘা আড় থাকলেও এই মাছ সংরক্ষণের কোনও উপায় নেই। তাই এই মাছ ধরতে কোনও বাধা নেই। শনিবার সন্ধ্যায় কুমারগ্রাম ব্লকের নামাপাড়ায় সঙ্কোশে জেলেদের জালে ধরা পড়ে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘা আড়। নামাপাড়া থেকে সঙ্কোশের ওপাড়েই অসমের শিমূলটাপু এলাকা। জেলেদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নঅসমের ধুবড়ির এক মাছ ব্যবসায়ী ৮৫ কেজি ওজনের পেল্লায় ওই বাঘা আড় ৪৮ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যান। রবিবার জামাইষষ্ঠীর সকালে ফের সঙ্কোশে ধরা পড়ে ৭০ কেজি ওজনের আরও একটি পেল্লায় বাঘা আড়। কুমারগ্রামের বিষ্ণুনগরের মুসলিম চর এলাকায় সঙ্কোশে এদিন ধরা পড়ে ওই মাছটি।

স্থানীয় মত্‍স্য চাষি সোলেমান শেখ, নুরুদ্দিন শেখ, সিরাজুল শেখ ও রেজাউল শেখরা জানান, নদী থেকে তোলার পর এলাকাতেই এ঩দিন এই মাছ নিমেষে বিক্রি হয়ে যায়। দর উঠেছিল ৬০০ টাকা কেজি। ওই দরে ৪২ হাজার টাকায় এদিন ৭০ কেজি ওজনের বাঘা আড়টি বিক্রি হয়ে যায়।
জুলাই মাস থেকে উত্তর প্রদেশে চালু হতে চলেছে 4G প্রযুক্তির উপরে ভিত্তি করে স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার । খাতায় কলমে উত্তর প্রদেশে জুলাই মাসে এই স্মার্ট বিদ্যুত্‍ মিটার চালু হলেও ধীরে ধীরে তা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চলে আসবে। প্রথাগত সাধারণ ইলেকট্রিক মিটারের থেকে এই 4G প্রযুক্তি ভিত্তিক মিটারগুলি অনেকটাই আলাদা।উত্তর প্রদেশের যে সব বাড়িতে এখনও পুরনো ইলেকট্রিক মিটার রয়েছে সেগুলিকে ধাপে ধাপে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আপডেট করে স্মার্ট করা হবে। পরিসংখ্যান বলছে, উত্তর প্রদেশে এখনও 12 লাখ ইলেকট্রিক মিটার রয়েছে, যেগুলিতে পুরনো এবং সেগুলিকেই মূলত স্মার্ট বৈদ্যুতিক মিটারে কনভার্ট করা হবে।

দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তর প্রদেশে স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার বসানোর কাজটি বন্ধ রয়েছে। সে রাজ্যের মানুষজন পুরনো প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক মিটারগুলির তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন এবং তার বদলে তাঁরা স্মার্ট প্রিপেড মিটার বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন, যা মূলত 4G প্রযুক্তির উপরে ভিত্তি করে চালিত হবে।

উত্তর প্রদেশের গ্রাহক পরিষদ দ্বারা বিষয়টি দিনের পর দিন ধরে উত্থাপিত করা হচ্ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এখন ইউপি পাওয়ার কর্পোরেশন এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্‍ মন্ত্রক সে রাজ্যের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই 4G প্রিপেড ইলেকট্রিক মিটার বসাতে সম্মতি জানিয়েছে। জুলাই মাস থেকেই যার কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।

4G স্মার্ট প্রিপেড মিটার কীভাবে কাজ করে

মোবাইলের সিম কার্ডের একটা পোস্টপেড প্ল্যান যে ভাবে কাজ করে, ঠিক সে ভাবেই এই 4G প্রিপেড ইলেকট্রিক মিটার কাজ করে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার কতটা পরিমাণ পাওয়ার দরকার, ঠিক ততটা ইউনিটের জন্য আপনাকে একটা প্ল্যান রিচার্জ করিয়ে নিতে হবে। এর সাহায্যে আপনি প্রতি মাসে বিল পেমেন্ট করার ঝামেলা থেকে একদিকে যেমন মুক্তি পাবেন, তেমনই আবার যাবতীয় কারচুপি সম্পর্কেও একবারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। অর্থাত্‍ কম ইউনিটেও আপনাকে বেশি বিল আর দিতে হবে না।

আগামী মাস থেকেই উত্তরপ্রদেশ সরকার সে রাজ্যে 4G ইলেকট্রিক মিটারগুলি বসাতে চলেছে। রাজ্যের মানুষের ক্রমাগত দাবির পাশাপাশি এই ধরনের স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার বসানোর প্রয়োজনীয়তা উদ্ভব হওয়ার পিছনে রয়েছে আরও কয়েকটি কারণ।1) প্রিপেড মিটার থাকার ফলে সময় মতো ব্যবহৃত বা ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুতের টাকা দেওয়া যাবে।

2) প্রয়োজন অনুযায়ী রিচার্জ করলে গ্রাহকদেরও প্রতি মাসে বিল দিতে দৌড়তে হবে না।

3) অতিরিক্ত বিদ্যুত্‍ বিল আসার ভয় থেকেও মুক্তি মিলবে।

4) বিদ্যুত্‍ চুরির সমস্যা চিরতরে দূর হবে।

5) দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুত্‍ বিলের বকেয়া টাকা দেয় না, এমন বাড়িতে গিয়ে ইউপি পাওয়ার কর্পোরেশনকে বিদ্যুত্‍ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে না।
আবারও শ্লীলতাহানির শিকার কাকদ্বীপের এক নাবালিকা,এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো এক যোগব্যায়ামের শিক্ষকের ওপর। 

 


                                ছবি -০১



    এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো হারুপয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ। অভিযুক্তর নাম হারুপদ দাস  বয়স(৩৮), কাকদ্বীপ দক্ষিণ গোবিন্দপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে হারুপয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪(সি)ও ৮ পোকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে হারুপয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ। আজ ওই অভিযুক্তকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে। কাকদ্বীপ আদালত এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।  


প্রশ্ন থেকেই যায় নারী সুরক্ষা আজ কোথায় ? 

কলকাতায় একটি কলেজের অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। অনুষ্ঠান করে হোটেলে ফিরে যাওয়ার পরই খানিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

তিনি জানান, অফিস থেকে ফেরার পথে অনুপম রায় ফোন করে তাঁকে জানান কেকের বিষয়টি।

জনপ্রিয় গায়ক কে কে, যিনি বেশ কয়েকটি ব্লকবাস্টার বলিউড গান গেয়েছিলেন, মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় মারা গেছেন।  গায়ক অসুস্থ বোধ করলে একটি অনুষ্ঠান করতে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে ছিলেন।  তাকে দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  বুধবার ময়নাতদন্ত করা হবে।

 সূত্রগুলি গায়কের মৃত্যুর কারণ হিসাবে হার্ট অ্যাটাককে উল্লেখ করেছে।  শহরের বিখ্যাত নজরুল মঞ্চে লাইভ কনসার্ট করার পর অসুস্থ বোধ করেন কেকে।  এর পরেই তিনি ভেঙে পড়েন এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 কে কে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বহুমুখী গায়ক, বলিউডের ছবিতে দিল চাহতা হ্যায়, ওম শান্তি ওম, জান্নাতের মতো বেশ কিছু হিট গান গেয়েছেন।