গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সৈকত শহরে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জয় কর্মকার (২২)। উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর এলাকা থেকে ১৪ জনের একটি দল দিঘায় বেড়াতে যায়।নিউ দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা সমুদ্রে বেড়াতে গেলে জয় জানায় শরীর ভালো নেই। হোটেল ঘরে একাই থেকে যান ওই যুবক।
এরপর সমুদ্র থেকে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যরা দেখেন সিলিং ফ্যানে গামছা দিয়ে ঝুলছে যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে এলে ওখানেই চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয় কর্মকার উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর থানা এলাকার ঘুমা নিবেদিতা পল্লী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের আত্মীয় বলেন, 'আমরা দুপুর বেলা ভাত খেতে বসেছি। ও তখন বলছিল পেটে ব্যথা করছে। খেয়ে উঠতেই চারটে বেজে গিয়েছে। তারপর আমরা সমুদ্রে যাই। ওকেও জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু ও বলে শরীর ভালো লাগছে না তোমরা যাও। এরপর আমরা বেরিয়ে যাই। পাশাপাশি বলে যাই যাতে ও ঘরে তালা না দেয়। এরপর এসে দেখি এই অবস্থা। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
সম্প্রতি গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের (জিবিডিএ) বৈঠকে পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নতিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জিবিডিএ সূত্রের খবর, বকখালির সমুদ্রসৈকতে খালের উপরে একটি অস্থায়ী ভাসমান জেটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।গত কয়েক বছরে বকখালির সমুদ্রসৈকতে একটি খাল তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভাটার সময়ে পর্যটকেরা অনায়াসে সেই খাল পেরিয়ে সমুদ্রে নামতেন। কিন্তু জোয়ারের সময়ে ওই খাল পার করে ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তেন বহু পর্যটক। জোয়ারের সময়ে খালে পড়ে মৃত্যুও ঘটেছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বকখালি সমুদ্রসৈকতে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর, আপাতত খালের উপরে বসানো হবে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি। ভাটার সময়ে খাল পেরিয়ে যে সমস্ত পর্যটক সমুদ্রে নামবেন, জোয়ার এলে তাঁরা ওই ভাসমান জেটি দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারবেন। শীঘ্রই এই জেটি তৈরির কাজ শুরু করা হবে জানিয়েছে পর্যদ।
এ ছাড়া, অ্যাকোরিয়াম, সি-ভিউ গ্যালারি, ফুড কোর্ট ইত্যাদিও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পর্ষদের। বকখালিতে ঢোকার মুখে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে একটি গেট বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বকখালিতে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থাও তৈরি করা হবে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে জেলার পর্যটন মানচিত্রে উঠে এসেছে মৌসুনি দ্বীপ। প্রচুর পর্যটক ভিড় করছেন এখানে। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ওই এলাকায় ঢালাই রাস্তা, পথবাতির ব্যবস্থা হচ্ছে। এ ছাড়া, থাকার ব্যবস্থা করা হবে। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির চত্বরকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মন্দিরের সামনে সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য কাকদ্বীপের লট-৮ ভেসেল ঘাটের কাছে গড়ে তোলা হবে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। এ ছাড়াও, একটি বড় সার্কিট হাউস তৈরি করা হবে। নামখানার ১০ মাইল ও সাগরের রুদ্রনগরে তৈরি করা হবে আধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স। যেখানে বেকার যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, 'দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এবং জিবিডিএ-র এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে বকখালি ও সাগর আরও উন্নত ও আধুনিক হয়ে উঠবে।'
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবছরই শ্মশানঘাট এলাকার ডোম পরিবারগুলো গঙ্গাপুজোর আয়োজন করে থাকে।গতকাল গভীর রাত্রে খাগড়া শ্মশানঘাট এলাকায় গঙ্গাপুজোর অনুষ্ঠান শেষে কয়েক যুবক এক জায়গায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়।বচসা চলাকালীন বিশ্বজিত্ দাস নামে এক যুবক হঠাত্ই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালাতে শুরু করেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন চন্দন ডোম। একটি বুলেট চন্দনের পা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। এর পাশাপাশি বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে চন্দনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আহত যুবককে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বিশ্বজিত্ দাসকে গ্রেপ্তার করে।প্রকাশ্যে এই ভাবে গুলি চালানোর ঘটনাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং শ্মশান যাত্রীদের মধ্যে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে।সেই কারণে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে ট্রলারে করে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শেখ তাজেমানের এফবি আলামিন-৪ নামের একটি ট্রলার। মোট ১২ জন মত্স্যজীবী ছিলেন ট্রলারে। যাওয়ার সময় খেজুরির মসনদ-ই আলার কাছে চড়ে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ধাক্কার জেরে উলটে যায় ট্রলারটি। সমুদ্রে পড়ে যান ১২ জনই। সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধার কাজ।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫ জন মত্স্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন অসুস্থ। এখনও হদিশ মেলেনি ৭ মত্স্যজীবীর। জানা গিয়েছে, মৃত মত্স্যজীবীরা সম্পর্কে ভাই। সাগরের বাসিন্দা তাঁরা। উপার্জনের আশায় বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে ওই ট্রলারের নিখোঁজ মত্স্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের খোঁজে দফায় দফায় চলছে তল্লাশি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে রয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। ইতিমধ্যেই কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম ইরানি, মত্স্য দপ্তরের আধিকারিক সুরজিত্ বাগ-সহ প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরির কাছে মত্স্যজীবীদের ট্রলারডুবি।
মৃত্যু হল ২ জনের।
এখনও নিখোঁজ ৭ মত্স্যজীবী।
জানা যায়, মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনের বাসিন্দা ছিলেন বছর তেইশের স্বাগতা হাজরা।আর, পাঁচটা দিনের মতোই অটোতে করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুপুর ঠিক আড়াইটা নাগাদ আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় যেন মাথায় বাজ পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে পরিবারের সকলের! ঘটনাস্থল থেকে স্বাগতা-কে উদ্ধার করে, অটোতে করেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন! দুর্ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, ঘটনাস্থল থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও, বাইকের চালক পলাতক। এদিকে, ঘটনা ঘিরে শহর জুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া!স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ঠিক ২ টো ২৩ নাগাদ, মেদিনীপুর শহরের অদূরে শালবনী থানার অধীন ভাদুতলায় অবস্থিত এক বেসরকারি কলেজের একেবারে সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। কলেজে ঢোকার ঠিক মুখেই ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর লুটিয়ে পড়েন স্বাগতা। অনুমান করা হচ্ছে, ওই রয়েল এনফিল্ড বাইকের ধাক্কাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছাত্র-ছাত্রী তেমনটাই জানিয়েছেন। অপরদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি সরাসরি ধরা পড়েনি। তবে, তার পরের মুহূর্তে ধরা পড়েছে, ভাদুতলা থেকে মেদিনীপুর শহরের দিকে যাওয়া ওই বাইকের চালক ছিটকে পড়েন রাস্তার বাম দিকে এবং স্বাগতা ছিটকে পড়েন রাস্তার উপর।
এরপর, দু'জনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা স্বাগতা-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন! অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে আর ওই বাইক চালক যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে। তবে, তার বাইকটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় শোকস্তব্ধ স্বগতা'র পরিবার! শোকের ছায়া নেমে এসেছে শহর জুড়ে।
রোদ্দুর রায় ওরফে অনির্বাণ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর সহ এক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পরেই মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের তরফে একটি টিম গিয়ে গোয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পৌনে নয়টা নাগাদ রোদ্দুরকে নিয়ে কলকাতায় নামেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। আজ রাতে সেখানেই রাখা হবে এই ইউটিউবারকে।
মঙ্গলবার রোদ্দুরের গোয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসার জন্য গোয়ার আদালতে আবেদনও জানান আধিকারিকরা। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
বিমানবন্দরে নেমে স্বমহিমায় দেখা যায় রোদ্দুর রায়কে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন মুখ খোলেননি তিনি। শুধু দূরত্ব বজায় রাখতে বলতে বলতে বেরিয়ে যান বিমানবন্দর থেকে। কলকাতা পুলিশের গাড়ি তাঁকে নিয়ে সোজা চলে যায় লালবাজার।
তিনি জানান, অফিস থেকে ফেরার পথে অনুপম রায় ফোন করে তাঁকে জানান কেকের বিষয়টি।