এসএসসি, গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, প্রাথমিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগকিন্তু আদপে কি চাকরি দিতে পারতেন অতনু? স্থানীয়দের একাংশের দাবি, কয়েকজন অতনুর হাত ধরে চাকরি পেয়েছিলেন। এতে মানুষের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। জমি, জায়গা, সর্বস্ব বিক্রি করেও তাঁরা অতনুর হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন।তবে পরে তাঁরা বুঝতে পারবেন চাকরি আর জুটবে না।
এদিকে ২০০৩ সালে কোলা ১ পঞ্চায়েত সদস্য ও ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুত্ কর্মাধক্ষ হয়েছিলেন তিনি। কোলাতে তার বিশাল বাড়িও রয়েছে। তবে সেসব তালাবন্ধ করা বর্তমানে। বর্তমান গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এক কর্মপ্রার্থী বলেন, অতনু গুছাইত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। আমার কাছ থেকেও বাড়িতে এসে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন। তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলে তিনি টাকা নিয়েছেন। যারা টাকা দিতে পারত না তাদের কাছ থেকে সোনা নিত।
বিপুর প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার মেয়ে আর সম্বন্ধীর চাকরির জন্য ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে গেল। অতনু বলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওর যোগাযোগ আছে। প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল।কিন্তু টাকাও ফেরত্ দিল না, চাকরিও হল না।তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। বিজেপির দাবি, ওই লোকটা টাকা মারার ক্লাবের দালাল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours