দু'বছর আগে গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দেওয়া হায়দরাবাদে 'দিশা এনকাউন্টার'কে ভুয়ো সংঘর্ষ বলে জানাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের শিরপুরকর কমিশন। দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।
২০১৯ এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের শামশাবাদে ২৬ বছরের এক পশু চিকিত্সককে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে চার জনের বিরুদ্ধে।
২০১৯-এর ২৭ নভেম্বর ২৬ বছরের এক পশু চিকিত্সককে অপহরণ করা হয়। তার পর তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। নিগৃহীতার দেহ হায়দরাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি নির্জন জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁর পোড়া দেহের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভালু, জলু শিবা এবং জলু নবীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরই অভিযুক্তদের নিয়ে অকুস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছিল, সেখানেই পালানোর চেষ্টা করে ওই অভিযুক্তরা। পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরই উপর গুলিও চালানোর দাবি করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি ছিল, পাল্টা গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একটি অংশ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। আবার অন্য একটি অংশ আইন-আদালতকে পাশ কাটিয়ে পুলিশ 'ট্রিগার-হ্যাপি' হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিশন গড়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টেরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন তদন্ত করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয়। কমিশন রিপোর্টে বলেছে, দোষী ১০ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করতে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours