Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া সুপার সৌভিক আলমের কাছে একগুচ্ছ বিল (Bills) আসে। বলা হয়, এতগুলো বিলের টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। তা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন ঠিকাদার কিংশুক মণ্ডল। তা জেনে বিলগুলি পরীক্ষা করতে বসেন সুপার। কিন্তু বিলের বহর দেখে তো তাঁর চক্ষুচড়কগাছ! বিরিয়ানির বিল ৩ লক্ষ টাকা! এছাড়া গাড়ি, গাছের চারা, আসবাবপত্র বাবদও বিল প্রচুর। এরকম অন্তত ৮১ টি বিলে অসংগতি খুঁজে পান সুপার সৌভিক আলম।
সবে একমাস হল কাটোয়া হাসপাতালের সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর আগে সুপার ছিলেন রতন শাসমল। তাঁর আমলেই কোটি টাকার বিল এসেছে। কারণ, সবকটি বিলে দেখা গিয়েছে রতন শাসমলের সই। তাতে 'ওয়ার্কড ডান' বলেও লেখা রয়েছে।
বিলগুলি কিংশুক ঘোষ নামে এক ঠিকাদারের তরফে বিরিয়ানি থেকে আসবাব, গাছের চারা সবই সরবরাহ করা হয়েছে। আর সেসবের ৮১ টি বিল বাকি। যার প্রায় প্রতিটিতেই অসংগতি আছে। এসব দেখে সুপার সৌভিক আলম শুক্রবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক ডাকেন। সেখানে এসব নিয়ে আলোচনা চলে। কিন্তু সমিতির সদস্যরা সেভাবে কেউ কিছু দিতে পারেননি। রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও অন্যায় হলে তার শাস্তি হবেই। বিষয়টি এখনও হাসপাতালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন সুপার। সমস্যা সমাধানের তাদের সাহায্য চাইতে পারেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours