মহেশতলা থেকে বাসন্তীর শ্মশানে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক যুবতী। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দাদার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনন্যা নস্কর। বাসন্তীতে খুড়তুতো দাদার বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের চট্টা কালিকাপুর রায়পাড়া থেকে বাসন্তীতে যান অনন্যা, একাই রওনা দেন বাসন্তীতে আদি বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাসন্তীতে পৌঁছে দাদার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের কাজ মিটিয়ে শ্মশানে যান অনন্যা। দাদার দেহ দাহ করার কাজ চলাকালীন শ্মশানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অনন্যা নস্কর। বাসন্তী থানার পুলিশ শ্মশান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার ভোরবেলা অনন্যার মহেশতলার বাড়িতে খবর পৌঁছনো মাত্রই গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে । দাদার মৃত্যুতে কেন এহেন চূড়ান্ত ঘটনা ঘটাল অনন্যা, হতবাক গোটা পরিবার।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য! ঠিক কী কারণে মহিলার মৃত্যু, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক! বৃহস্পতিবার সকালে ভূপতিনগরে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা মাঠ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই দেহ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভুপতিনগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্বামী পরিত্যক্তা ওই মহিলা ভূপতিনগরের বাসুদেববেড়িয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকতেন। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তিনি, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের সদস্যরা খুঁজে পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে ফাঁকা মাঠ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় ভুপতিনগর থানার পুলিশ। মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাঁরা। বাপের বাড়ির সদস্যরা এসে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মহিলাকে ধর্ষণ করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করা হয়েছে। মহিলার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। যদিও পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours