সম্প্রতি, সুদীপ্ত সেন এবং গৌতম কুন্ডু কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী আদালতে আপিল করার সময় বলেন যে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর। কিন্তু সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুন্ডু সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাই তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত্।'
বুধবার আপিলের শুনানি হয়। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অভিজিত্ ভদ্র বলেন, 'দুজনেই খুব প্রভাবশালী। উভয় ক্ষেত্রেই বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। এ মুহূর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।' তবে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত জরিমানায় দুজনকে মুক্তি দেন। যদিও তাদের দুজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সুদীপ্ত সেন এবং গৌতম কুন্ডুর বাকি মামলার কারণে জেল থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সুদীপ্ত সেনকে 23 এপ্রিল 2013-এ কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে তার সঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করা হয়। পরের বছরের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অভিযুক্ত সুদীপ্ত দেবযানী সহ ছয়জনকে নিজের হেফাজতে নেয়। আদালতের নির্দেশের পর অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। একই বছরের অক্টোবরে, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করার 64 দিন পরে সিবিআই তার প্রথম চার্জশিট দাখিল করে।
সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন সারদা প্রধান সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং সর্দার গ্রুপের মিডিয়া সিইও কুনাল ঘোষ। ঘটনার সমান্তরাল তদন্ত করছেন ইডিও। অন্যদিকে, গৌতম কুন্ডুকে 2015 সালে রোজ ভ্যালিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। 25 মার্চ তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে বছরের 31শে মার্চ পর্যন্ত তিনি ইডি হেফাজতে ছিলেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours