নদিয়া হাঁসখালি নাবালিকার গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কিশোরীর প্রেমিক তথা তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজগোপালকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সত্কারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি। তবে সত্য কখনও চাপা থাকে না।
ঘটনার পরেই শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের মা-বাবা গণধর্ষণের অভিযোগ করলেও ,এফআইআর-এ ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাঁছাড়া ৪ দিন ধরে কী করেছে হাসখালি থানার পুলিশ শেই প্রশ্নও উঠেছে।
এবার মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ড এবং মালদহকাণ্ডের পর নদিয়া হাঁসখালি নাবালিকার গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনাও গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যেই নদিয়া হাঁসখালি নাবালিকার গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় সোমবার সকাল থেকেই হাঁসখালিতে বিজেপির ডাকে এখানে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ। সোমবার ওই মৃত নাবালিকার বাড়িতে যাবে আজ বাম-বিজেপি-র মহিলা প্রতিনিধি দল।
বিস্তারিত আসছে..
Post A Comment:
0 comments so far,add yours