এ বার রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশের ওষুধ বন্টনকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। যে ওষুধ বিলি করা হচ্ছে তার গায়ে লেখা রয়েছে বাংলাদেশের সম্পদ-সহ বিভিন্ন লেখা। ওষুধ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর ওষুধ কাউন্টার থেকে থেকেই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে।যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে যদি ওষুধ কেনা হয় তাহলে বাংলাদেশের এই ধরনের লেখা ওষুধের গায়ে থাকবে না। যদিও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন বিষয়টি তাঁর অজানা। সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয়েছে ওষুধ। সেই ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে এই ওষুধ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।
ডক্সিসাইক্লিইন নামক একটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আরও বেশ কয়েকটি গ্রুপের ওষুধ রয়েছে বলে অভিযোগ। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ার এই ওষুধ বাংলার এই সব এলাকার মানুষজনদের দিলে কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হবে কিনা সে বিষয়েও বলতে পারছেন না হাসপাতাল সুপার রজত পাল। সংসদ তথা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান দিব্যেন্দু অধিকারি বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের সচিবকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখছেন। তিনি আরও বলেছেন, একই গ্রুপের ওষুধ বাংলার বিভিন্ন ওষুধ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে এইসব বাংলাদেশি ওষুধ কেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours