তাই লাদেন আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে আগাম জামিনের চেষ্টা করছিল সে।তবে হাঁসখালি-কাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে সিবিআই হন্যে হয়ে খুঁজছিল রঞ্জিতকে। তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। ফোনের সূত্র ধরেই তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, শনিবার দুপুরে পরিবারের দুই সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে রানাঘাট আদালতে আসবে লাদেন। সেখানেই পাতা হয় ফাঁদ।
আদালত চত্বর থেকেই তাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। হাঁসখালির ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পর এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার। মূল এফআইআরে নাম না থাকলেও তদন্তে বার বার উঠে আসছিল তাঁর নাম। ওই ঘটনাকে ঘিরে যে অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছিল তাতে তিন যুবকের কথোপকথনেও উঠে আসে লাদেনের নাম।
এ ছাড়া রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রভাকর পোদ্দারকে জেরা করে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যান যে ব্রজগোপাল গয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে লাদেন উপস্থিত ছিল। লাদেন ব্রজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ব্রজের পাড়াতেই তার বাড়ি। ব্রজ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা হয়েছিল সে এবং তার পরিবার। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রজ জেরায় স্বীকার করেছে যে, রঞ্জিত গত ৪ এপ্রিল তার বাড়িতে উপস্থিত ছিল।
তদন্তকারীদের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রভাকর জেরায় বলেছে, ''আমি ব্রজের বাড়িতে বমি করেছিলাম। লাদেন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আমি ওর কাছে জল চাই। এর পর জল দিতে ও ব্রজের বাড়িতে ঢোকে।'' এই তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসতেই তাঁরা লাদেনের খোঁজ শুরু করেন। দফায় দফায় তারা লাদেনের বাড়িতে তার খোঁজ যান। তবে এত দিন অধরা ছিল সে। শনিবার দুপুরে সেই লাদেন সিবিআইয়ের জালে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours