প্রেম-বন্ধুত্ব এবং স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্ককে কলঙ্কিত করার মত এক ঘটনা, যা আসলেই ঘটেছে। স্বামী এতটাই মহানুভব যে, বিয়ের পরই বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করিয়ে দেন। চমকে ওঠার মত এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের, যা জেনে হতবাক খোদ পুলিশকর্মীরাও। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নির্যাতিতার স্বামী ও তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অভিযোগ, ফুলশয্যার রাতেই স্বামী তার স্ত্রীকে বলে, 'যাও আমার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক করে তাদের খুশি কর।' ওই নারী প্রতিবাদ করলে স্বামীর বন্ধুরা তাকে ধর্ষণ করে। আশ্চর্যের বিষয়, এটি তাদের প্রেমের বিয়ে ছিল। এর পরেও এই নৃশংস ও নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটায়।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ইন্দোরের আজাদ নগর এলাকার। নির্যাতিতা অভিযোগের পর তাঁর স্বামী ও ওই দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী টিআই ইন্দ্রেশ ত্রিপাঠী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ধরা হয় এবং তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে তিনি জানান, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে তাদের জঘন্য অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে।
নির্যাতিতা পুলিশকে দেওয়া অভিযোগে জানিয়েছেন, 'অভিযুক্ত ছোটলাল মীনা ও আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সে আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯ এপ্রিল ইন্দোরে নিয়ে আসে। পরের দিন সেখানে আজাদ নগর আর্য সমাজ মন্দিরে তার দুই বন্ধু আমাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। এরপর স্বামী তার বন্ধুদের নিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। তিনজন প্রথমে এক সাথে মদ্য পান করে, তারপরে সে নির্যাতিতার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। এরই মধ্যে ছোটলাল বলে বসে, 'একবার প্লিজ আমার দুই বন্ধুকে খুশি করে দাও।' সে রাজি না হলে দীপক ও আনন্দ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।'
এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে টিআই ইন্দ্রেশ ত্রিপাঠি বলেন, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বিদিশায় তার অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইন্দোরে মেয়েটির উপস্থিতির কথা জানতে পারে বিদিশা পুলিশ। এরপর আমাদের দল তাকে খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যায়। এরপর ওই নির্যাতিতা তিন যুবকের কুকীর্তি উল্লেখ করে, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত ছোটলাল ও দীপকের বাবা কৃষিকাজ করেন। তৃতীয় অভিযুক্ত আনন্দ বর্তমানে বি.কম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours