নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করল চিন এবং সলোমান দ্বীপপুঞ্জ। মঙ্গলবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ''চিন এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চিনের স্টেট কাউন্সিলর এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলে, আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্তঃসরকারি পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।দুই দেশের মধ্যে একে অপরকে নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়েই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।'
তিনি আরও জানান যে, এই চুক্তি সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবে। পাশাপাশি চিন-সলোমন দ্বীপপুঞ্জের এই নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি তৃতীয় কোনও দেশের উপর প্রভাব ফেলবে না বলেও তিনি জানান।
তবে সোমবার এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা। আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই চুক্তির পিছনে চিনের অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে জানান, এই চুক্তি হলে চিন সলোমান দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই চুক্তি সলোমন দ্বীপপুঞ্জে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি এই চুক্তির ফলে বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ অঞ্চলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তবে স্পষ্টতই সলোমান নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ পাত্তা পায়নি খোদ সলোমানের কাছেই। আমেরিকার সাবধানবাণীকে উপেক্ষা করেই চিনের সঙ্গে হাত মেলাল এই দ্বীপপুঞ্জ। কিছু দিন আগেই আমেরিকা এবং নেটো দেশগুলির বার্তাকে উপেক্ষা করেই ইউক্রেনের উপর আঘাত হেনেছে রাশিয়া। রাশিয়ার তেল এবং গ্যাসের রফতানি বন্ধ করার পর ক্রেমলিন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়লেও তারা নিজেদের আগ্রাসন বন্ধ করেনি। তবে কি আর্ন্তজাতিক রাজনীতিতে গুরুত্ব কমছে আমেরিকা এবং নেটো দেশগুলির? বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours