সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় কারফিউ বলবত্ থাকবে। গুজব ছড়ানো আটকাতে এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে হিন্দু নববর্ষের প্রথম দিন বা 'নব সংবত্সর' উপলক্ষে বাইক মিছিল-সহ একটি শোভা যাত্রার আয়োজন করেছিল এক হিন্দু সংগঠন। সেই মিছিলের উপরই, আশপাশের বাড়ির ছাদ ও বারান্দা থেকে কিছু অজ্ঞাত পরিচর ব্যক্তি পাথর ছুড়তে শুরু করেছিল। হিন্দু সংগঠনটির অভিযোগ, তারা চরমপন্থী মুসলিম। এরপরই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। শুরু হয় বাইক ও দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। বেশ কয়েকটি বাইক ও দোকানে আগুন লাগানো হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিওতেও বেশ কয়েকটি দোকান ও বাইরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।
পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এরপরই করৌলির জেলাশাসক রাজেন্দ্র সিং শেখাবতী ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৪ এপ্রিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত করৌলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন, এবং ৩ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং ওই এলাকার পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
মোতায়েন ৫০ জন অফিসার
রাজস্থান পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, করৌলিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন ভরতপুরের আইজি প্রফুল্ল কুমার খামেসরা এবং আইজি (আইনশৃঙ্খলা) ভরত মীনা। এডিজি সঞ্জিব নার্জারি, ডিআইজি রাহুল প্রকাশ এবং এসপি মৃদুল কাচওয়া-সহ আরও ৫০ জন অফিসার এবং ৬০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
টুইট করেছেন সিএম গেহলট
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইট করে জানিয়েছেন, করৌলির ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের ডিজির কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক দুর্বৃত্তকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করার বিষয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জনসাধারণের প্রতি শান্তি বজায় রাখার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours