বেহালা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবান-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে একটি খামারবাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয় বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা এবং তাঁর সঙ্গীদের। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলার কথা।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল বেহালার চড়কতলায় মেলা মাঠের দখলদারি নিয়ে সংঘর্ষের পরই ওড়িশার বালেশ্বরে পালিয়ে যান বাবান। সেখানে এক দিন থাকার পর খড়্গপুর এবং তার পরে দিঘা চলে যান। দিঘা থেকেই হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে পৌঁছান তাঁরা।
ওই এলাকার একটি খামারবাড়িতে অভিযুক্তদের উপস্থিতির কথা জানতে পারে পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জয়পুর থেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁদের। আলিপুর আদালতে তোলা হলে ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।
গত মঙ্গলবার রাতে চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা। প্রায় এক ডজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও অধরা রয়ে গিয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বাণিজ্যিক গাড়িতে চড়ে এলাকা ছাড়েন ওই সাত অভিযুক্ত। গত পাঁচদিন ধরে বেশিরভাগ সময় গাড়িতেই কাটিয়েছেন তাঁরা। এমনকী বার দু'য়েক গাড়িও বদল হয়।
ঘটনায় প্রকাশ, দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইট ছোড়াছুড়ি এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে গুলি চলারও। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিনের বাসিন্দা হলেও এর আগে কখনও এ রকম তাণ্ডব তাঁরা আগে দেখেননি। আবার কারও দাবি, প্রশাসন শান্তি বজায় রাখার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করুক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours