নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক বলেন, পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কতটা কমে গিয়েছে এই খাতা দেখার সময় বুঝতে পেরেছি। ওই পরীক্ষার্থী যদি উত্তরে খানিকটা লেখার চেষ্টা করত তবুও তাকে কিছু নম্বর দেওয়া যেত। উদ্ভটভাবে উত্তর লেখার জন্য সেই প্রশ্নে তাকে শূন্য দেওয়া হয়েছে। আমরা অবশ্য ভুল উত্তরের পাশে কেন তা কেটে দেওয়া হয়েছে তার কারণ পাশে লিখে দিই। কারণ পরবর্তীকালে রিভিউয়ের মাধ্যমে সেই পরীক্ষার্থী খাতা দেখতে চাইলে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। অথবা কোনও আইনি জটিলতা তৈরি না হয় তারজন্য এভাবে লিখে দেওয়া হয়।
তবে একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কাছে এধরনের উত্তর আশা করা যায় না।
ঝাড়গ্রামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, এমনিতে করোনা পরিস্থিতির জন্য পড়ুয়ারা পড়াশোনার থেকে অনেক দূরে ছিল। তাছাড়া আমি যে স্কুলে আংশিক শিক্ষকতা করি, সেই স্কুলের অনেক শিক্ষক এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার গার্ড ছিলেন। তাঁদের কাছে শুনেছি, মাধ্যমিকের ইতিহাস বিষয়ে প্রশ্ন খুবই কঠিন ছিল। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের এমন অদ্ভুত উত্তর দেওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। তারা না পারলে সেই জায়গা ছেড়ে দিতেও পারত। যা খুশি উত্তর লেখা একেবারে ঠিক হয়নি।
জানা গিয়েছে, অন্যান্য জেলার পরীক্ষার্থীদের খাতা ঝাড়গ্রাম জেলার শিক্ষকরা দেখছেন। তাই যে পরীক্ষার্থী এমন উদ্ভট উত্তর লিখেছে, সে সম্ভবত অন্য জেলার বাসিন্দাই হবে। এনিয়ে ঝাড়গ্রামের পাথরা জয়চণ্ডী এসসি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অশোক মাহাত বলেন, এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দুটো প্রভাবই পড়েছে। দীর্ঘদিন তাদের বইপত্রের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে তারা আবার সেই আগের পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে পায়নি। এখনকার যা সিলেবাস তাতে তো পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হওয়ারই কথা নয়। সিলেবাস অনেক ছোট করে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপত্রে জেনেবুঝে এই ধরনের উত্তর লেখা কোনওভাবেই উচিত নয়
Post A Comment:
0 comments so far,add yours