এক তরুণীকে 'গণধর্ষণে'র অভিযোগ উঠল ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিস।
এক তরুণীকে 'গণধর্ষণে'র অভিযোগ উঠল ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিস।
অভিযোগ,কোন্নগর চটকল এলাকায় ওই যুবতীকে 'গণধর্ষণ' করে ৪ বন্ধু।
অভিযোগের ভিত্তিতে পি শিবা রাও, ভি হরিশ, বি বিবেক ও আকাশ জানা নামে এলাকারই যুবক ৪ অভিযু
ক্তকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিস। অন্যদিকে, এদিন সকালেই চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অর্ণব ঘোষ শ্রীরামপুর মহিলা থানায় পৌঁছে যান। তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কমিশনার জানান, "গতকাল রাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের। সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট মামলা করে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিওর কথা শুনেছি। তবে এখনও সেটি হাতে পাইনি।"
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা কোন্নগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কে বেবির বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর 'এবারের মত' অভিযুক্তদের ছেড়ে দিতে বলেন। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি গতকালই ঘটনার কথা জেনেছেন। তাঁকে কেউ এবিষয়ে জানায়নি।পুলিস অভিযুক্তদের ধরেছে। আইনানুযায়ী তাদের ব্যবস্থা হবে। কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসও বলেন, "পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। গতকাল অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে আমাদের কোনও ব্যাপার নেই। আইন আইনের পথে চলবে।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত জম্মু কাশ্মীর। জঙ্গিদের নিশানায় সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের গাড়ি। হামলায় মারা গিয়েছেন এক এএসআই। আহত একাধিক জওয়ান। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ জম্মু চাড্ডা ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে। সিআইএসএফ জওয়ানদের বাস লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।
৩৭০ ধারা কাশ্মীর থেকে বিলোপ করার পর জঙ্গি কার্যকলাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। একের পর এক অভি।ান চালিয়ে জঙ্গি নাশকতা অনেকাই আটকাতে সমর্থ হয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা বাহিনী। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ মাথাচারা দিয়েছে উপত্যকায়। গতকাল থেকে একের পর এক জঙ্গি নাশকতার ঘটনা ঘটে চলেছে ভূস্বর্গে। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ সিআইএসএফের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। অতর্কিত হামলায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। তবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বেশি সময় লাগেনি। জঙ্গিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গুলি বিনিময় হয় জওয়ানদের। তবে কাউকে ধরা যায়নি। জঙ্গিরা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর।
জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন এক এএসআই। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন জওয়ান। তাঁদের হাসপাতোল ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর জঙ্গিদের সঙ্গে এখনও এনকাউন্টার চলছে। এক জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে খবর। জম্মুর সুজওয়ান এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান শুরু করেছে সেনা। ফের উত্তেজনা ছড়িয়েেছ গোটা এলাকায়।
এদিকে আর দুদিন পরেই কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় যাবেন তিনি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে এই জঙ্গি নাশকতার ঘটনায় অন্য কিছু আঁচ করছেন গোয়েন্দারা। এদিকে কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের আগে অন্তর্ঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযান চলছে। মোদীর সফরের আগে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর আগে শান্তিপূর্ণ ছিল উপত্যকা। কোনও রকম নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে কাশ্মীরের কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। তারপরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আবার এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। কাশ্মীর পুলিশের এডিজি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, অপারেশন চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
source:oneindia.com
ফের গুলিচালনার ঘটনায় অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর (Sonarpur)। দিনেদুপুরে পুলিশের একেবারে নাকের ডগায় ভরা বাজারে গুলি চালিয়ে পালাল এক দুষ্কৃতী। এখনও ফেরার সে। যদি ব্ল্যাংক ফায়ার করায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সোনারপুর থানার অদূরে, পুলিশের (Police) স্টিকার লাগানো গাড়ি চড়ে এসে এভাবে হামলার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার কাছে, সোনারপুর ফ্লাইওভারের নীচে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ গোপাল নামে এক ব্যাক্তি ব্রিজের তলায় মাছের আড়তের কাছে এসে উপস্থিত হয়। এর অদূরেই সোনারপুর পুলিশ স্টেশন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তার গাড়িতে 'পুলিশ' স্টিকার লাগানো ছিল। অভিযোগ, মাছের আড়তে থাকা লোকজনকে হুমকি দেয় গোপাল। তারপরই বন্দুক হাতে শূন্যে এলোপাথাড়ি গুলি (Blank Fire) চালাতে থাকে। যদিও গুলিতে কেউ জখম হয়নি। গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গোপাল।
পুলিশের নাকের ডগায় দিনেদুপুরে ভরা বাজারে এভাবে গুলিচালনার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোনারপুর থানার কাছেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ বাসিন্দা সকলেই। এর আগেও সোনারপুর এলাকায় এভাবে দুষ্কৃতী তাণ্ডব দেখা গিয়েছে। তবে এবার 'পুলিশ' স্টিকার লাগানো গাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পুলিশ প্রশাসনের কপালেও। গোপাল নামে ওই দুষ্কৃতী এখনও অধরা। পুলিশ তার খোঁজে নেমেছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, নজরদারি।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (central project) নাম পরিবর্তন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এই অভিযোগ বারে বারে করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । এব্যাপারে উত্তর দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারি করা আদেশে তিনি বিষ্মিত বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের নির্দেশিকা শাসকদলের অ্যাডেন্ডাকেই প্রকাশ করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ওই নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে নাম দিচ্ছে আর অযাচিত প্রশংসা দাবি করছে। এব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
বিষ্মিত শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষ্মিত বলে জানিয়েছেন। অরবিন্দ কুমার মিনা কার নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলির নামকরণ করেছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের বিবেচনায় কাজটি করে থাকলে, কেন এমন করেছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি ওই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই ধরণের আচরণ কেন্দ্রীয় সরকারি ক্যাডারদের পক্ষে অশোভন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যেসব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন
শুভেন্দু অধিকারী এদিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং স্বচ্ছ্ব ভারতের নাম পরিবর্তন করে বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা এহবং মিশন নির্মল বাংলা করে দেওয়া অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনার বিরুদ্ধে করেছেন। বিরোধী দলনেতা এদিন ২০ এপ্রিলের সরকারি নির্দেশনামার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, এটা ভুল নয়, ইচ্ছাকৃত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছেন আইএএসরা
এদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলেছেন, সংসদে মাননীয় সদস্যরা আইন প্রণয়নের পরেই প্রকল্পগুলিকে কার্যকর করা হয়। একজন পদস্থ আধিকারিকের এই ধরনের আচরণ শুধুমাত্র অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস রুলস-এর নির্ধারিত নিয়ম লঙ্ঘন করে না বরং সংসদের মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ করে।
যদিও বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে দুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক শিবির বলছে শুভেন্দু অধিকারীরাই নানা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করার বৃথা চেষ্টা তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। তৃণমূল বলছে রাজ্যের বকেয়া থাকা টাকার দাবি নিয়ে বরং শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিন। তাহলে তা রাজ্যের পক্ষে ভাল হবে।
source:oneindia.com
দিন কয়েক আগেই গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। বাড়িতে ফিরে আসলেও কাজ থেকে বেশ কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন মাল্লা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। মালাইকা স্বীকার করেছেন যে তিনি শারীরিকভাবে নিরাময় করলেও, মানসিকভাবে 'এটি পুরোপুরি ঠিক হননি।' ঘটনার জেরে কীভাবে মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি, সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন।
গত ২ এপ্রিল গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা। মুম্বইয়ের খোপোলির কাছে হাইওয়ের উপর তিনটি গাড়ির ধাক্কা লেগে এই ঘটনা ঘটে। তড়িঘড়ি এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেত্রীকে। জানা যায়, সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। পরের দিন তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অ্যাক্সিডেন্টে মালাইককার গাড়ির অবস্থামিড ডে-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ঘটনা সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, 'এমন একটা জিনিস, যেটা আমি মনে করতেও চাই না। কিংবা এটা এমন কিছু নয় যা আমি ভুলতে পারি। শারীরিকভাবে আমি সুস্থ হয়েছি, কিন্তু মানসিকভাবে অনুভব করি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হইনি। যদি এমন কোনও সিনেমা দেখি যেখানে দুর্ঘটনা বা রক্ত দেখানো হচ্ছে, আমার চোখের উপর ভেসে উঠতেই, ভয়ে শিউরে উঠি আমি। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, এবং এক সময় অতিক্রম করতে সক্ষম হব।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'আমি হতবাক ছিলাম। (সংঘর্ষে) আমার মাথা ব্যাথা করছিল, এবং আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম আমি বেঁচে আছি কি না। খুব বেশি রক্ত ক্ষরণ হয়েছিল, কী ঘটছে তা বোঝার জন্য খুব বেশি হৈচৈ হচ্ছিল। আমি প্রচণ্ড একটা ঝাঁকুনি অনুভব করেছিলাম এবং হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত বাকিটা ছিল অস্পষ্ট।'
প্রায় দু-সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার পর এই সপ্তাহের শুরুতে কাজে ফেরেন মাল্লা। সেট থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, 'শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন'। মালাইকা এবং তাঁর প্রেমিক অর্জুন কাপুর সম্প্রতি আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরের রিসেপশন পার্টিও যোগ দিয়েছিলেন।
ভিডিও বার্তায় আপ নেত্রী আতিশি অভিযোগ করেছেন, 'রামনবমী' এবং হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) দিন দেশে যত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তাতে বিজেপির (BJP) হাত রয়েছে। ওই সমস্ত ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ক্ষোভের বশে আপ নেত্রী দাবি করেন, বিজেপির সদর দফতর এবং অমিত শাহের বাড়িতে বুলডোজার চালানো উচিত। তবেই দেশের সমস্ত অশান্তি থামবে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেছেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলছে না বিজেপি। বরং কেবল অশান্তি ছড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে অশান্তির ঘটনা ঘটে। এরপরই উত্তর দিল্লি পুরসভা (NDMC) তরফেও ঘটনাস্থলের 'অবৈধ' দোকানপাট ভেঙে দেওয়া হয়। যদিও পুরসভার এই ভাঙার সিদ্ধান্তের উপর আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট।
এ বছরের ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে ২২% ভোট পেলেন বর্ষীয়ান অতি-বাম রাজনীতিক জাঁ-লিক মেলশঁ। ১৯৬৯-এর জাক দুক্লো ২১.৩% ভোট পাওয়ার পর অতি-বামের এতটা রমরমা দেখেনি ফ্রান্স। ভেবে দেখলে, এ হয়তো একটা সামাজিক প্রতিরোধই। কয়েক বছর ধরেই অতি-দক্ষিণপন্থার দুর্বার অগ্রগতি দেখছে ফ্রান্স।
সত্যি বলতে কী, ২০২২-এর ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোনও নির্বাচন গোটা পৃথিবীতেই হয়নি সাম্প্রতিক অতীতে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় বা ব্রেক্সিটের চাইতেও প্রবলতর হতে চলেছে এর অভিঘাত। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, তার প্রভাবটা হবে সুবিশাল। এর প্রধান কারণ অবশ্যই আজকের ফ্রান্স তথা ইউরোপের অভিবাসী-অধ্যুষিত চরিত্র, যা বিপন্ন করে তুলেছে সামাজিক ভারসাম্যকে।
ফরাসি দেশে অতি দক্ষিণপন্থার এই সাম্প্রতিক শ্রীবৃদ্ধির অনেকটাই অবশ্য উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় তাদের শতাব্দী-লালিত উপনিবেশের উত্তরাধিকারে সম্পৃক্ত। দেশ জুড়ে আজ আফ্রিকান অভিবাসীর বন্যা। ফরাসি ফুটবলে জ়িনেদিন জ়িদান, থিয়েরঁ অঁরি, কিলিয়ান এমবাপের মতো মহাতারকার আবির্ভাব মুদ্রার এক পিঠ মাত্র। অন্য পিঠে ক্রমেই বদলে যাচ্ছে দেশটার জনবিন্যাস, ধর্মীয় চরিত্র, শ্বেতাঙ্গ বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভ্যাস, কথ্য ভাষা, সংস্কৃতির প্রতিটা স্তর, সামাজিক পরিমণ্ডল, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অতি দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেত্রী মেরিন ল্য পেঁ-র বক্তব্য, ফ্রান্স ফরাসিদেরই জন্য। সাধারণ ফরাসি জনতা আরও বেশি করে শরিক হচ্ছেন এই চিন্তাধারার। ক্রমেই তাই নড়বড়ে হয়ে পড়ছে সামাজিক সুস্থিতি, সহাবস্থানের পরিবেশ। শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম অতিমারি কিংবা ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলা একটা যুদ্ধ, আর তার সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দেয় এই সামাজিক টানাপড়েন। তীব্র দক্ষিণপন্থার সহচর হয়ে পাশে থাকে উগ্র জাতীয়তাবাদ।
আর তাই, রুসো, ভলতেয়ারের মতো চিন্তানায়কদের দেশের নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে এ বার ২৩.৫% ভোট পেলেন মেরিন ল্য পেঁ, যিনি অভিবাসনের বিরুদ্ধে, নিষিদ্ধ করতে চান হিজাব, অতীতে ব্রেক্সিটের স্টাইলে 'ফ্রেক্সিট' করে ফ্রান্সকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বার করার কথা বলেছেন, এবং ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে নির্বাচনের প্রচারেও ব্যবহার করেছেন। আশঙ্কায় ভুগছেন সে দেশের মুসলিম এবং ইহুদিরা।
ইমানুয়েল মাকরঁ (ছবিতে) নামের নেতাটি অবশ্য জীবনের প্রথম নির্বাচনেই তৈরি করেছিলেন নতুন এক ফরাসি রূপকথা, হয়ে যান ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। আজকের ফরাসি সমাজের প্রেক্ষিতে, ক্ষয়িষ্ণু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পটভূমিতে মাকরঁর মধ্যপন্থী ভারসাম্যের রাজনীতির প্রভাব অপরিসীম। অতি-ডান আর অতি-বামের প্রবল মেরুকরণে দীর্ণ ফরাসি সমাজের অনিবার্য এক ভাঙনকে আপাতত তিনি রুখে দিয়েছেন। তবু, এটাও ঠিক যে, পাঁচ বছরের শাসনকালে দক্ষিণপন্থার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এক প্রকার ব্যর্থই হয়েছেন মাকরঁ। এবং তাঁর নিজের অনেক পদক্ষেপও হয়েছে ডান-ঘেঁষা। যেমন, ২০২১-এর 'অ্যান্টি-সেপারেটিজ়ম ল', যা মুসলিম-বিরোধী বলে সমালোচিত হয়েছে ঘরে-বাইরে। আবার ২০১৮ সালে মাকরঁ ডিজ়েল ট্যাক্স বাড়ানোর ফলে ফ্রান্সে শুরু হয় 'ইয়েলো ভেস্ট' প্রতিবাদ। সেও তাঁর শাসনকালের এক তীব্র অস্বস্তি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় সর্বাধিক দুই পর্বে। নির্বাচনে জনতা সরাসরি ভোট দেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে। প্রথম পর্বে কোনও প্রার্থী ৫০%-এর বেশি ভোট না পেলে সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর সরাসরি লড়াই হয় দ্বিতীয় পর্বে, দু'সপ্তাহ পরে। এ বারে প্রথম পর্বে ২৭.১% সমর্থন পাওয়া ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গে লড়াই হতে চলেছে ২৩.১% ভোট পাওয়া তীব্র দক্ষিণপন্থী মেরিন ল্য পেঁ-র। ২০১৭-তেও এঁদের মধ্যে লড়াই ছিল দ্বিতীয় পর্বে, তাতে ৬৬% ভোট পেয়ে বিশ্ব-রাজনীতিতে এক স্বপ্নের অভিষেক ঘটেছিল ৩৯ বছরের মাকরঁর। আজকের মাকরঁ পোড়-খাওয়া রাজনীতিক, কিন্তু আস্তিনে লুকোনো তাসের ম্যাজিক তাঁর আর অবশিষ্ট নেই কিছু। এ বারের নির্বাচনী চালচিত্রটাও অনেক বৈচিত্রপূর্ণ। প্রথম পর্বে মেরিন ল্য পেঁ ছাড়াও ৭%-এর বেশি ভোট পেয়েছেন তাঁর চাইতেও কট্টর দক্ষিণপন্থী প্রাক্তন মিডিয়া পণ্ডিত এরিক জেম্যুর। দ্বিতীয়
পর্বে এই সব ভোটের সিংহভাগই পড়বে মেরিন ল্য পেঁ-র বাক্সে।
২৪ এপ্রিলের দ্বিতীয় পর্বের ভোট বদলে দিতে পারে ফরাসি সমাজকে, সেই সঙ্গে ইউরোপেরও রাজনীতি আর সামাজিক প্রেক্ষিতকেও। প্রাক্-নির্বাচনী সমীক্ষায় দ্বিতীয় পর্বের ভোটে মেরিন ল্য পেঁ-র প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা মাকরঁর তুলনায় কম হলেও ভোট শতাংশের পার্থক্যটা কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। এই সামান্য পার্থক্যটা ধুয়ে-মুছে যেতে পারে সহজেই। যেমন, দ্বিতীয় পর্বে যদি বামপন্থী কিংবা মধ্যপন্থী ভোটাররা ভোট দিতে উত্সাহ কিছু কম দেখান, তা হলেই জিতে যেতে পারেন মেরিন ল্য পেঁ। মাকরঁ সম্ভাব্য বিপদের আঁচ পেয়ে স্মরণ করিয়েছেন ছ'বছর আগেকার ব্রেক্সিটের-অঘটনের কথা। আর যদি তেমনটা সত্যিই হয়, সেটা কেবলমাত্র এক রাজনীতিকের জয় এবং অন্য জনের পরাজয় হয়েই থাকবে না, বাঁধ-ভাঙা জলরাশির মতো তীব্র দক্ষিণপন্থার জোয়ারে ভেসে যেতে পারে অভিবাসী-বিধ্বস্ত ফ্রান্স, এবং বাকি ইউরোপ। 'লিবার্তে, এগালিতে, ফ্র্যাতার্নিতে'র দেশ 'আত্মসমর্পণ' করতেই পারে, দক্ষিণপন্থার কাছে।
এ বারের নির্বাচন তাই যেন ২০২২-এর ফরাসি বিপ্লব। এই নির্বাচনে মাকরঁ জিতলে অতি-দক্ষিণপন্থায় খানিকটা হলেও রাশ পড়বে— ফ্রান্সে, ইউরোপে। ম্যার্কেলের বিদায়ের পরে ইইউ-এর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও মাকরঁর কোনও বিকল্প নেই এই মুহূর্তে। যদিও তীব্র দক্ষিণপন্থার সঙ্গে কত দিন যুঝবেন মাকরঁ, না কি তাঁর ভারসাম্যের মধ্যপন্থাও একটু একটু করে ক্রমশ আরও দখিন-ঘেঁষা হয়ে পড়বে, সেটাই দেখার।
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৩৮০ জন নতুন করে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৩ জন সক্রিয় রোগী বেড়েছে দেশে। এর ফলে ভারতে এখন মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৩ হাজার ৪৩৩ জন। অর্থাত্ বর্তমানে মাত্র ০.০৩ শতাংশ রোগী চিকিত্সাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৫৬ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে ভারতে এখন মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৬২। দেশে বর্তমানে মৃত্যুহার রয়েছে ১.২১ শতাংশ।
এই মুহূর্তে দিল্লির পাশাপাশি হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। উল্লিখিত দুই রাজ্যের আবার দিল্লি সীমান্তবর্তী অঞ্চলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯ জন, হরিয়ানায় ৩১০ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ১৭০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাত্ দেশের নতুন সংক্রমণের সাড়ে ৬২ শতাংশই হচ্ছে এই তিন রাজ্যে।
দেশের অন্য প্রান্তে দিল্লির প্রভাব পড়েনি ঠিকই। কিন্তু সেখানেও যে সংক্রমণ বাড়বে না তা এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে উদ্বেগের কোনো ব্যাপার নেই। সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতাল কার্যত কাউকেই ভরতি করতে হচ্ছে না।
যাঁকে নিয়ে এই হাজার বিতর্ক, এই মুহুর্তের খবর অনুযায়ী শরীর একেবারেই ভালো নেই তাঁর।বুকে ব্যথা কমছেই না কেষ্ট দার। করা হবে সিটি অ্যাঞ্জিও। তার জন্য উডবার্ন থেকে বেশ কয়েক দিন বাদে বেরোলেন তৃণমূল নেতা। বেরিয়েই উঠলেন অ্যাম্বুলেন্সে।নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রামরিক হাসপাতালে।
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বার চারেক হাজিরা এড়িয়েছিলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে। তবে গত বারে তিনি জানিয়েছিলেন মুখোমুখি বসবেন। সেই মতো বোলপুর থেকে আসেন কলকাতা। হাজিরার সকালে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে গাড়ি বেরোলেও পৌঁছায় নি, উল্টে মাঝ রাস্তা থেকে ঘুরে গাড়ি যায় SSKM। সেদিন থেকেই ভর্তি তিনি।
টি ভি নরেন্দ্রণ - টাটা স্টিল দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিনিয়োগ করে এসেছে। ৬০০ কোটি বিনিয়োগ হবে খড়গপুরে। ইউনিট আরও বাড়বে। এছাড়া টিসিএস ও হোটেলেও বিনিয়োগ হবে।
সঞ্জীব মেহেতা - পানীয় জল নিয়ে এই রাজ্যে অনেক কাজের সুযোগ আছে। খাদ্য উত্পাদন থেকে হসপিটালিটি, সবেতেই সুযোগ বাড়ছে এই রাজ্যে।
রিশাদ প্রেমজি, উইপ্রো - আমাদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের যোগাযোগ আছে। রাজারহাটে আমরা কাজ শুরু করছি আগামী কয়েক মাসে।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা - রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ পরিকাঠামো প্রস্তুত। রাজ্যে কোনও সমস্যা নেই। বেঙ্গল মানে এখন ব্যবসা। তাই নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করুন।
সজ্জন জিন্দল - পরিকাঠামো ও ভৌগোলিক অবস্থানের জেরে বাংলায় বিনিয়োগ করতে সুবিধা ও আদর্শ পরিবেশ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার কাজ করতে কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয়নি। আগেকার মতো অবস্থা এই রাজ্যে আর নেই। ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র আমরা গড়ছি।
সঞ্জীব পুরী - অনেক দিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হল। বোঝা গেল বাংলা মানে ব্যবসার আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ছে। আইটিসির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে। পাঁচলায় ফুড প্রসেসিং করছি আমরা। কৃষি ও পর্যটন এই দুই ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ। বাংলা যে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, তা সাধুবাদ যোগ্য। কলকাতা আমাদের কাছে একটা ঘর। রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ আছে। ৪৫০০ কোটি টাকা গ্রিন ফিল্ড ফেসিলিটিতে আমরা বিনিয়োগ করেছি। ফুড প্রসেসিংয়ে আমরা বিনিয়োগ করছি। বাংলার পর্যটনে অনেক বিনিয়োগের জায়গা আছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামপুরে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে পেশায় কৃষক নিতাইয়ের সংসার। আচমকাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন নিতাই। কী কারণে অসুস্থতা জানা যায়নি। এক দিন পরিবারের অজ্ঞাতে বাড়ি ছেড়ে হারিয়ে যান তিনি। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে অকুলপাথারে পড়েন স্ত্রী। আশপাশের গ্রামগঞ্জ ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে সন্ধান করেও কোথাও স্বামীকে খুঁজে পাননি কল্পনা। আশা ছেড়ে এক দিন দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে তিনি চলে যান বাপের বাড়িতে। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় কেটেছে। দুই পুত্রের এক জনের বয়স এখন ৩০ বছর। অন্য জনের ২৭।
হঠাত্ই গত সপ্তাহে কল্পনাকে শালতোড়া থানার পুলিশ খবর দেয়, নিতাইয়ের খোঁজ মিলেছে। পুলিশ জানায়, নিতাই রয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার ভূমায়। ভিডিয়ো কলে নিতাইকে এক ঝলক দেখেই চিনতে পারেন কল্পনা। বুধবার ওড়িশার ভূমা গ্রাম থেকে নিতাইকে সঙ্গে নিয়ে শালতোড়া থানায় আসেন নিতাইয়ের এতদিনের আশ্রয়দাতা হেমন্ত দাস নামের ওই চিকিত্সক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
হেমন্ত বলেন, ''২২ বছর আগে এক দিন সকালে হঠাত্ দেখি গ্রামের কাছে রাস্তার ধারে গাছের তলায় এক যুবক শুয়ে রয়েছে। গায়ে প্রচণ্ড জ্বর। বাড়িতে এনে চিকিত্সা করে সুস্থ করে তুলি ওকে। ওর প্রতি মায়া পড়ে যায়। তার পর থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকত সে। নিজের নাম ঠিকানা কোনওভাবেই মনে করতে পারত না।'' তাঁর সংযোজন ২২ বছর কেটে যাওয়ার পর শুধু নিজের গ্রামের নাম বলতে পারল! আমি ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে শালতোড়া থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজ ওকে পরিবারের হাতে তুলে দিলাম।''
তিনি আরও বলেন, ''গত ২২ বছরে ধীরে ধীরে ওর সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আজ পরিবারের কাছে ছাড়তে এসে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে শেষমেশ যে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারছি, এটাই বড় আনন্দের।''
নিতাইয়ের স্ত্রী বলছেন, ''স্বামীকে এভাবে ফিরে পাব ভাবিনি। স্বামী বেঁচে রয়েছেন এ বিশ্বাস ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছিল ততই ধীরে ধীরে কমছিল আশা। আজ ২২ বছর পর স্বামীকে ফিরে পেলাম এর থেকে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে?''
অপহরণের পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে অপহরণকারীরা। এরপরই কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগের পরপরই আসরে নামে কলকাতা পুলিশ। তড়িঘড়ি শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরই মেলে ব্যবসায়িক শত্রুতার ক্লু।
বুধবার রাত পর্যন্তও ওই ব্যবসায়ী কোথায় আছেন, তা বোঝা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না ওই ব্যবসায়ীকে। তবে, তদন্তসূত্রে পুলিশ জানতে পারে, পুলিশ সেজে অপহরণ করা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই বুধবার রাতে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল লালবাজারে বৈঠকে বসেন।
সেই বৈঠকের পরই যুগ্ম কমিশনার অপরাধ মুরলীধর শর্মা কসবা থানায় চলে আসেন। এক ঘন্টা বৈঠকের পরে উদ্ধার অপারেশন শুরু করে লালবাজার। আর শেষমেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেলে সাফল্য। টালিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। একইসঙ্গে মূল ষড়যন্ত্রকারী সহ পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অপহরণের কাজে লাগানো দুটি গাড়িও।
তিনি আরও জানান যে, এই চুক্তি সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবে। পাশাপাশি চিন-সলোমন দ্বীপপুঞ্জের এই নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি তৃতীয় কোনও দেশের উপর প্রভাব ফেলবে না বলেও তিনি জানান।
তবে সোমবার এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা। আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই চুক্তির পিছনে চিনের অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে জানান, এই চুক্তি হলে চিন সলোমান দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই চুক্তি সলোমন দ্বীপপুঞ্জে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি এই চুক্তির ফলে বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ অঞ্চলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তবে স্পষ্টতই সলোমান নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ পাত্তা পায়নি খোদ সলোমানের কাছেই। আমেরিকার সাবধানবাণীকে উপেক্ষা করেই চিনের সঙ্গে হাত মেলাল এই দ্বীপপুঞ্জ। কিছু দিন আগেই আমেরিকা এবং নেটো দেশগুলির বার্তাকে উপেক্ষা করেই ইউক্রেনের উপর আঘাত হেনেছে রাশিয়া। রাশিয়ার তেল এবং গ্যাসের রফতানি বন্ধ করার পর ক্রেমলিন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়লেও তারা নিজেদের আগ্রাসন বন্ধ করেনি। তবে কি আর্ন্তজাতিক রাজনীতিতে গুরুত্ব কমছে আমেরিকা এবং নেটো দেশগুলির? বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্লেয়িং 11 থেকে কারা আউট হতে পারে?
আসলে, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংসের প্লেয়িং-11 এ পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। এই পরিবর্তন দলের বোলিং লাইনআপের সাথে যুক্ত। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের ফাস্ট বোলার ক্রিস জর্ডান অনেক দামি প্রমাণিত হয়েছিলেন। তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে, অধিনায়ক জাদেজা তাকে গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচের 18তম ওভারটি দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি তার ওভারে 25 রান দেন। তাই অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখেননি তিনি। এর বাইরে গুজরাটের বিপক্ষে একটি উইকেটও নিতে পারেননি তিনি। এমতাবস্থায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তাকে প্লেয়িং-১১ থেকে বিদায়ের পথ দেখাতে পারে দলটি। একই সময়ে, ক্রিস জর্ডানের জায়গায় অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ খেলা অলরাউন্ডার রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে প্লেয়িং-11 এ সুযোগ পেতে পারেন। চেন্নাই সুপার কিং এই খেলোয়াড়কে দেড় কোটিতে কিনেছে। হাঙ্গারগেকার 140 KMPH গতিতে বল করতে পারেন। এছাড়াও তিনি লোয়ার অর্ডারে পাওয়ার হিটিং করতে পারেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
MI বনাম CSK: চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য সম্ভাব্য প্লেয়িং-11
রুতুরাজ গায়কওয়াড়, রবিন উথাপ্পা, মঈন আলী, শিবম দুবে, আম্বাতি রায়ডু, এমএস ধোনি (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা (অধিনায়ক), ডোয়াইন ব্রাভো, মহেশ তিক্ষানা, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর, মুকেশ চৌধুরী
চান্দাউলি বাজারের একটু ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত সেই হার্ডওয়্যারের দোকানটি। মালিকের নাম অংশু সিং। ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতেরও কিছু পরে ঘটনাটি ঘটে। চোর এসে দোকানে ঢোকে এবং খুব একটা কসরত না করেই ক্যাশ কাউন্টারে যা টাকা ছিল, সব নিয়ে নেয়। আর তারপরই তার নজরে আসে সিসিটিভি ক্যামেরাটি। কিন্তু নজরদারির ক্যামেরা যেন তাকে বিন্দুমাত্র ভয় দেখাতে পারেনি! বরং আনন্দই দিয়েছে। কারণ, ক্যামেরাটা দেখার পরই সে নাচতে শুরু করে দেয়। প্রশ্ন উঠছে, লুঠতরাজের উদযাপন করছিল সেই চোর? সেই উত্তরের খোঁজেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
পরদিন সকালেই মালিক অংশু সিং যথারীতি দোকানে পৌঁছে যান। সেখানে এসে তিনি লক্ষ্য করেন যে, শাটার ভাঙা রয়েছে। দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখেন যে, ড্রয়ারে রাখা সব টাকা গায়েব। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ লক্ষ্য করেন। সেখানেই তাঁর নজরে আসে চোরের এমনতর অদ্ভুত কীর্তি।
বেশি দেরি না করে তিনি তখনই পৌঁছে যান চান্দাউলি পুলিশ স্টেশনে। পুরো ঘটনাটা জানান। জমা দেন সিসিটিভি ফুটেজও। তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তদন্ত চলছে, যত দ্রুত সম্ভব সেই চোরকে পাকড়াও করা হবে।
সকাল সকাল ময়নাগুড়ির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Mainaguri Snake) তুমুল হট্টগোল। দরজা খুলতেই স্বাস্থ্য কর্মীরা দেখেন ইয়া বড় একটা সাপ হেলতে দুলতে আউটডোরের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকছে। তার মুখে ধরা রয়েছে আস্ত একটা ব্যাঙ (Frog)। এমন দৃশ্য দেখেই শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
ঘটনাটা কী? হামিরপুরের (Hamirpur)বিয়েবাড়িতে সন্ধেটা দিব্যি আনন্দেই কাটছিল সকলের। সুন্দর করে সাজানো মণ্ডপে অতিথি-অভ্যাগতদের ভিড়। হাজির বর-কনে। বরের সাজপোশাকও বেশ রাজকীয়। কনের পরনে লাল লেহঙ্গা, মাথায় ভারী ওড়না, শরীরে সোনার গয়না। এবার মালাবদলের পালা। বর তো দিব্যি মালা দিলেন কনের গলায়। কিন্তু কনে মালাবদল করতে গিয়ে এ কী করলেন! বরকে কষিয়ে দিলেন দুই থাপ্পড়! আর ছুটে বেরিয়ে গেলেন বিয়ের আসর থেকে।
অতিথিদের কয়েকজন অতি-উত্সাহে বিয়ের ভিডিও করছিলেন। আচমকাই ফ্রেমে সংঘর্ষ! মালাবদলের সময় কনের থাপ্পড় বরকে। ফ্রেমবন্দি হয়ে রইল সেই দৃশ্যও। আর মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল। ঘটনা দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা। বরের গাত্রবর্ণের জন্য ভরা বিয়ের আসরে কনের এই আচরণে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ তাঁরা। সকলের টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে বিয়ের মণ্ডপে বরকে কনের চড় মারার ভিডিওটি। সেইসঙ্গে তুমুল সমালোচনা।
বিয়ের আসরে অদ্ভুত কিছু দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া নতুন ঘটনা নয়। কোথাও কনের মুখ দেখার পর পছন্দ না হওয়ার বরের অসংবেদনশীল আচরণ, তো কখনও কনেকে অতিথিদের সামনে সরাসরি অপমান। তবে হামিরপুরের ঘটনা যেন ঠিক উলটো। বর স্রেফ কালো হওয়ায় কনে যেভাবে বরমাল্য দিতে গিয়ে বরকে ঠাসিয়ে থাপ্পড় কষালেন কনে, তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে নেটদুনিয়ায়।
— Ch. krishan Bhati (@ChKrishanBhati3)
শনিবার মাঝরাতে বেঙ্গালুরুর কাছে রামনগরের ঘটনা। খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জাহির পাশা।
শনিবার মুবিনাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর বাবা ঘোষ পাশা। কাছেই বাড়ি তাঁর। তবে মায়ের উপর বাবার মারধরে খবর তাঁকে দেন মুবিনার বড় ছেলে। খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে এসে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন পাশা। পরে তিনিই অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে।
পুলিশকে পাশা জানিয়েছেন, এর আগেও বহু বার মুবিনার উপর অত্যাচার করেছেন জাহির। প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। বেশ কিছু দিন আগে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে সবার সামনেই স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন জাহির। সেই সময়ই মুবিনাকে পর্ন ছবিতে দেখতে পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেন জাহির। তার পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে সমস্যা শুরু হয়।
এমনকি ২০ দিন আগে জাহিরের অত্যাচারে জখম মুবিনাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। মুবিনার বাবা পাশা এই সব ঘটনার কথা জানার পরই পুলিশকে বিষয়টি জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুবিনাই তখন বাধা দিয়েছিলেন তাঁকে। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে নিষেধও করেছিলেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জাহিরকে গ্রেফতার করা হয়নি।
দেগঙ্গার দোগাছিয়া গ্রামে এক চিলতে মাটির বাড়িতে বাবা-মা ও দুই বোনকে নিয়ে থাকতেন মিরাজুল ইসলাম। বছর কুড়ির যুবকের স্বপ্ন ছিল একটা পাকা বাড়ির। টাকা রোজগার করতে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন্ রাজ্যে। মাকে বলেছিলেন, টাকা জমিয়ে ফিরে এসে শুরু করবেন পাকা বাড়ির কাজ। সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মিরাজুলের।
রবিবার কর্নাটকের কারখানায় ম্যানহোল সাফ করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হয় মিরাজুলের। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গার বিভিন্ন গ্রামের আরও চার যুবকের। এ দিন বিকেলে মিরাজুলের সঙ্গেই ফাজিলপুরের মহম্মদ ওমর ফারুক ও দক্ষিণ আমুলিয়া গ্রামের নিজামুদ্দিন সাহাজির দেহ আসে। সরাফত আলি ও সামিউল ইসলামের দেহ রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
পাঁচ যুবকের মৃত্যুসংবাদ আসার পর থেকেই শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারগুলি। মঙ্গলবার দোগাছিয়া, ফাজিলপুর, রায়পুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, শোকস্তব্ধ এলাকার মানুষ। দোগাছিয়া গ্রামের ফরিদা বিবি বলেন, 'আমাদের গ্রামেরই দুই ছেলে মারা গিয়েছে। ভাবতেই পারছি না যে, ওরা আর কখনও বাড়িতে ফিরবে না। গোটা গ্রামের প্রায় কারও বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি।'
গ্রামের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন মণ্ডল, সাবুর আলিরা জানান, এলাকায় কাজ না থাকায় দলে দলে গ্রামের ছেলেরা বাইরে কাজে চলে যাচ্ছে।
কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার বাজপে এলাকায় একটি মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করতেন ওই যুবকেরা। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই একটি ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মৃত পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের হাতে দু'লক্ষ করে টাকা তুলে দেন। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'আমরা সমস্ত রকম সাহায্য নিয়ে পরিবারগুলির পাশে থাকব।'
এ দিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বামেদের একটি প্রতিনিধি দল দেগঙ্গায় আসেন। মৃণাল বলেন, 'দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলের ওঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।' প্রশাসনের তরফে পরিবার-পিছু ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। মৃণালের কথায়, 'এ রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েকে ভিন্ রাজ্যে যেতে হয়।'
সিপিএম সূত্রের খবর, শ্রমিকদের মৃত্যুতে ম্যাঙ্গালোরের ওই সংস্থার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সেখানকার দলীয় কর্মীরা মৃত শ্রমিকদের পরিবারপিছু ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সংস্থাটি প্রথমে দু'লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানায়। তবে দলীয় কর্মীদের লাগাতার আন্দোলনে কোম্পানির তরফে শেষ পর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক আরও দশ লক্ষ করে বাড়ানোর জন্য লড়ছেন কর্মীরা।
মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেগঙ্গা এক ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান বিদেশ। তিনি তাঁর পাঁচ বছরের অর্জিত সাম্মানিক থেকে ২০ হাজার টাকা করে এককালীন অনুদান হিসেবে পাঁচটি পরিবারের হাতে তুলে দেন।