ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে।এদিন পার্টি অফিস থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সহদেব মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল নেতা (TMC leader)। সেই সময় পিছন দিক থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে চালানো গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুষ্কৃতীদের ছড়া দ্বিতীয় গুলি সহদেবের কাঁধে লাগে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার হাঁসখালি থানার বগুলার মুড়াগাছা দরগাতলা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের কাছে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাঁকে রেফার করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে।
গভীর রাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে সহদেবকে। জানা হিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাঁসখালি দক্ষিণ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির রায় বলেন, 'গত বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপির এক সমর্থকের সঙ্গে গণ্ডগোল বেঁধেছিল সহদেব মণ্ডলের। আমাদের ধারণা প্রতিহিংসাপরায়ণ বশত ওই ছেলেটি সহদেবকে খুনের চেষ্টা করেছে। রাজনৈতিক কারণে এই খুনের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত।'
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
রামপুরহাটের পর নদিয়া। এবার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা।
তবে বরাতজোড়ে প্রাণ বেঁচে গিয়েছেন তিনি।
তবে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours