চিতাবাঘ শিকার করে, সেটির মাংস রান্না করে চলছিল মহাভোজ। ঘটা করে সেলফি তুলে আবার পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। ভাইরাল পোস্ট দেখেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন এবং সঙ্গে সঙ্গে গ্ৰেফতার সেই ভোজনরসিকরা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চিতাবাঘের চামড়া ও নখ।ঘটনা শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ির। বাঘ খেকোদের দেখতে উপচে পড়া ভিড় থানায়। শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে।
বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার খড়িবাড়ির ফৌজিজোত এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিতাবাঘের চামড়া ও নখ উদ্ধার হয়। পাচারের লক্ষ্যেই এগুলো রাখা ছিল। ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসএসবি ৪১ ব্যাটেলিয়ান ও ঘোষপুকুর বন দফতরের যৌথ অভিযানে এই সাফল্য আসে। ধৃতদের নাম পিতালুস কেরকেট্টা, মুকেশ কেরকেট্টা ও তাপস খুড়া। এর মধ্যে পিতালুস ও মুকেশের বাড়ী কমলাবাগান এবং তাপসের বাড়ী মালবাজারে।
ঘোষপুকুর বনবিভাগের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানান, বেশ কয়েকদিন আগে ফাঁসিদেওয়া কমলাবাগান এলাকায় চিতাবাঘ শিকার করার পর সেলফি তুলে ভাইরাল হয় পোস্ট, পোস্ট ভাইরাল হতেই নজরে আসে প্রশাসনের। এরপরই এই পদক্ষেপ।
তিনি আরও জানান, পূর্ণবয়স্ক এই চিতাবাঘটির চামড়া নেপালে পাচারের ছক ছিল বলে প্রাথমিক জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা। উদ্ধার চিতাবাঘের চামড়া ১১০×৫২ সেন্টিমিটার। ধৃতদের দুটি মোটরসাইকেলও আটক করেছে বনবিভাগ। তবে চিতাবাঘের চামড়া ও নখ পাওয়া গেলেও মাথা উদ্ধার হয়নি। মাংসও মেলেনি۔ ধৃতদের পরে ফাঁসিদেওয়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ধৃতদের শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হবে। অনেক ধরণের অপরাধের অভিযোগের কথা জানা থাকলেও এইভাবে বাঘের মাংস খাওয়ার মতো অপরাধের কথা জানা নেই বলেই সাফ জানান সোনম।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বাঘের মাংস খাওয়াদের দেখতে হইচই পরে যায় এলাকায়। সংরক্ষিত প্রাণী দেহাংশ পাচারের চেষ্টা, প্রমান লোপাটের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগ ৩ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours