ধর্ষণের পরই মেয়েকে দিব্যি দিয়েছিলেন কথাটি পাঁচ কান না করার জন্য। সেই শুরু। সময় যত গড়িয়েছে মেয়ের উপর বাবার শারীরিক অত্যাচার ততই বেড়েছে। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠছিল কিশোরী। বার বারই একটা কথাই বলছিল, 'বাবার সঙ্গে আর থাকতে চাই না!' তিন বছর ধরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই বাবার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, জন্মানোর পর মাকে হারিয়েছিল কিশোরী। সন্তানহারা মেয়েটিকে মানুষ করার জন্য এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখেছিল তার বাবা। সেখানেই ভাল ভাবে বেড়ে উঠছিল সে। তার যখন ছ'বছর বয়স, আবার বিয়ে করেন বাবা। তার পর মেয়েকে বাড়িতেও নিয়ে আসেন। কিশোরীর অভিযোগ, বাবা প্রথম যখন তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করে তখন দিব্যি দিয়ে বলিয়েছিলেন, 'মাথা ছুঁয়ে বল, এই কথা কাউকে বলবি না?'
অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় কিশোরী বিষয়টি তার বন্ধুদের জানায়। সেই কথাটি ধীরে ধীরে পাঁচ কান হয়। পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি ফাঁস হতেই কিশোরীকে সত্যিটা বলতে বলা হয়। এর পরই এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় কোতায়ালি থানায় গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেয় সে। বাবার ভয়ে কয়েক জন বান্ধবী ছাড়া বিষয়টি কাউকে জানায়নি বলেও দাবি করেছে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় কিশোরীর সত্ মায়ের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, বা তাঁর স্বামীর এই কুকর্মের কথা তিনি জানতেন কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে কিশোরী এখন আর বাড়ি ফিরে যেতে চায় না। থাকতে চাইছে না তার বাবার সঙ্গেও।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours