মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকার পরেই তত্পর পুলিশ প্রশাসন। হাবড়ায় গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী, উদ্ধার দুটি পাইপগান সহ চার রাউন্ড কার্তুজ (Arms in West Bengal)। ধৃত দুষ্কৃতীদের নাম প্রশান্ত লোধ(৫৬) এবং কিরণ বিশ্বাস (৩৬)। ধৃতদের মধ্যে প্রশান্তের বাড়ি হাবড়া বাণীপুর ইতনা নতুন কলোনি এলাকায়।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মালদহের চাঁচোলে অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। রামপুরহাটের ঘটনার পর রাজ্যের সমস্ত থানার পুলিশকে বোম ও অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ পৃথক দুটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মারুপ আলি (৩০), চাঁচলের মতিহারপুর পঞ্চায়েতের বাকিপুরের বাসিন্দা। অন্যজন অনুপ মালো (২০), চাঁচল পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা । ধৃত দুজনকেই তাদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে পাহাড়পুরের বাসিন্দা অনুপ মালোর বিরুদ্ধে এর আগে পুরানো ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এদিকে, এলাকার দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। নাম শফিকুল গাজী এবং সিজারুল গাজী। গতকাল রাতে শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয় সোলাদানা থেকে এবং সিজারুলকে গ্রেফতার করা হয় চাঁপাপুকুর রোড থেকে। বহুদিন ধরেই এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। গতকাল রাতেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই দু'জনকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুজনের কাছ থেকে দুটি রিভলবার এবং এক রাউন্ড করে গুলি। আজ তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
আবার আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে নওদা থানার পুলিশও। বৃহস্পতিবার রাতে নওদার বর্ষারধার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ৯ এমএম পিস্তল চার রাউন্ড গুলি, একটি ৭.৬৫ এম পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন। তাদের শুক্রবার বহরমপুর আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃত হাসিবুর সেখের বাড়ি নওদার সোনাটিকুরি ও প্রতীক ভৌমিকের বাড়ি নদীয়ার ধানতলা এলাকায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours