সম্প্রতি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পার্টির 'তিব্বতি' সদস্যদের কেউই তাঁদের ধর্মীয় পোষাক পরতে পারবেন না। এমনকি তাঁদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রকাশ করে, এমন কোনও প্রতীক তাঁরা প্রকাশ্যে পরতে বা ধারণ করতে পারবেন না। সারা বিশ্বের মনোযোগ যখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতের দিকে তখন তিব্বতে নিজেদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আরও জোরালো করতে চায় চিন, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।উল্লেখ্য, ১৯৫১ সাল থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বত এবং পশ্চিম চীনের তিব্বত অঞ্চলের ওপর কঠোর দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের শান্তিপূর্ণ প্রকাশকে সীমিত করতে বাধ্য করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে নিপীড়ন, নির্যাতন, কারাদণ্ড এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হচ্ছে অঞ্চলটির মুক্তিকামী মানুষের। তবে জোরপূর্বক তিব্বত দখল করে নিলেও এই দখলকে বৈধতা দিতে একে অঞ্চলটির জন্য 'শান্তিপূর্ণ মুক্তি' বলে অভিহিত করে বেইজিং। এ ছাড়া তিব্বতের বর্তমান দালাইলামা যিনি ভারতে নির্বাসিত, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে বেইজিং।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours