স্ত্রী চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই অবস্থায় এইভাবে মৃত্যু আসবে ভাবতে পারেননি হয়ত। সন্তান সহ নিজের প্রাণ গেল স্বামীর হাতেই। স্বামী অসম পুলিশের কনস্টেবল। নিজের সার্ভিস রিভলভার ব্য়বহার করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ডিব্রুগড় জেলায় সদর পুলিশ স্টেশনের কাছেই অফিসের কোয়ার্টারে এই খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

নিজের স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিকি চেতিয়া। তিনি অসম পুলিশের একজন কনস্টেবল। নিজের সার্ভিস রিভলভার ব্যবহার করেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর খুন করেন বলে জানা গিয়েছে।

চার বছর আগেই বিয়ে হয়েছে বিকি ও জয়শ্রীর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। বিয়ের পর থেকে নিজেদের অশান্তির জেরেই তাঁদের মধ্যে বাদানুবাদ চরমে ওঠে। সেই বাদানুবাগ গতকাল বীভত্‍স আকার নেয়। সেই থেকেই এরকম হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বিকি। রবিবার নিজের সার্ভিস রিভলভার বের করে গুলি চালিয়ে দেন নিজের ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর দিকে। ঘটনার দিন বিকি মদ্যপ ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকেই গুলি করেন বিকি। একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। পারিবারিক সমস্যার কারণেই চেতিয়া তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন।”

ঘটনার দিন বিকির স্ত্রী জয়শ্রীর গুলি লাগার পরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার রাতেই অসম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ডাক্তাররা শত চেষ্টা করেও প্রাণে বাঁচাতে পারেননি জয়শ্রীকে। এরপরই সোমবার সকালে ডিব্রুগড় পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করেন একশোর বেশি স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি অভিযুক্ত কনস্টেবেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্ত শুরু দিয়েছে পুলিশ। এই খুনের পিছনে কারণ জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিকি চেতিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours