আগুন ধরানোর জন্য মূলত তিনটি উপাদানের দরকার হয় - তাপ, অক্সিজেন এবং জ্বালানী।
দিয়াশলাই বক্সের দুই পাশে যে বাদামী রং এর প্রলেপ দেখা যায় তা মূলত লোহিত ফসফরাসের। এটি ফসফরাসের প্রধান দুটি রূপভেদ (allotrope) এর একটি। আরেকটির উল্লেখ কিছুক্ষণ পরেই আসছে।
মূলত এর কারণেই ঐ পৃষ্ঠে এই রং দেখা যায়। এই লোহিত ফসফরাসের সাথে ঘর্ষণ বৃদ্ধির জন্য সূক্ষ্ম কাঁচের গুড়া মিশ্রিত করে প্রলেপ দেওয়া হয়ে থাকে।
যখন একটি কাঠিকে ঐ পৃষ্ঠে ঘষা হয় তখন কিছু তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপে লোহিত ফসফরাসের গঠন ভেঙ্গে গিয়ে ফসফরাসের অপর রূপভেদ শ্বেত ফসফরাসে রূপান্তরিত হয়।
শ্বেত ফসফরাস খুবই সক্রিয় একটি মৌল। উৎপন্ন হবার সাথে সাথে বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে সে আরও তাপ উৎপন্ন করে এবং আগুনের সূত্রপাত হয়।
দিয়াশলাই কাঠির মাথায় বেশ কিছু যৌগ থাকে। একটি হলো পটাশিয়াম ক্লোরেট ( )। শ্বেত ফসফরাসের সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপে এটি ভেঙ্গে গিয়ে প্রচুর অক্সিজেন তৈরী করে যা আগুন জ্বালানোর অক্সিজেন সরবরাহ করে।
এটি অক্সিজেনে পুড়ে সালফার ডাই অক্সাইড তৈরী হয়। দিয়াশলাই যে সোনালী রংয়ের আগুন দেখা যায় তার জন্য দায়ী এই যৌগ।
এই দহনে কিছু সময় পাওয়া যায়। ততক্ষণে কাঠিতে আগুন ধরে যায়।
তবে এখানেই শেষ নয়। কাঠির গায়ে মোমের প্রলেপ থাকে যাতে করে কাঠিতে আগুন নিয়ন্ত্রিত ভাবে জ্বলতে পারে।
কাঠির পোড়া শেষ হয়ে গেলে যাতে এটি কয়লার মত অনেক্ষণ ধরে না জ্বলে এজন্য প্রস্তুতির সময় কাঠিগুলোকে অ্যামোনিয়াম ফসফেট (
সৌন্দর্য বর্ধন ও সহজে সনাক্তকরণের জন্য যৌগগুলোকে বিভিন্ন রংয়ে রাঙানো হয় এবং সর্বশেষে যৌগগুলোকে কাঠির মাথায় আঠা দিয়ে লাগানো হয়।
সমস্ত তথ্য - সাব্বির আহমেদ / Quora
Post A Comment:
0 comments so far,add yours