বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা তখন ওই বিল্ডিংয়ে ছিলেন। আচমকাই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আটকে পড়েন শ্রমিকরা। তাদের ঝলসানো দেহ পাওয়া যায় বিল্ডিংয়ের প্রথম তলা থেকে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১১ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে আগুন লাগল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, ভোর ৩টে নাগাদ ফায়ার কন্ট্রোল রুমে কল আসে এবং প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। আগুন নেভানোর পর ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দমকল আধিকারিকরাও বলেন, ওই ভবনের প্রথম তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন ১১ জন শ্রমিক। যে বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে, সেখানে কেবলমাত্র একটি অভ্যন্তরীণ সর্পিল সিঁড়ি ছিল। ফলে তারা আগুনের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
পুলিশ ও দমকল আধিকারিকদের ধারণা, ভেতরে আটকে পড়া ব্যক্তিরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় গোডাউনের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তারা বের হতে পারেননি। আধিকারিকরা প্রাথমিক তদন্তে এটাই ধারণা করছেন। বিশাল অগ্নিকাণ্ডের পরে গোডাউনের একটি দেয়াল ধসে পড়ে, তার ফলে ভিতরে থাকা লোকদের গোডাউন থেকে বের হতে বাধা দেয়।
পুলিশ ও দমকল তদন্তে নেমে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ওই বিল্ডিংয়ে অগ্নিনার্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না। যদি তা থেকে থাকে, আগুন লাগার পর কেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কাজ করল না। বিল্ডিংয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা শ্রমিকরা জানতে পারার আগেই তাঁরা আগুনোর ঘেরাটোপে পড়ে যান। ফলে কেউই বেরিয়ে আসতে পারেনি। ১২ জন ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি ১ জনের খোঁজ চলছে। তিনি বেরিয়ে এসেছেন কি না, তার খোঁজ এখনও মেলেনি।
পুলিশ এই ঘটনায় স্বত্বঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। কারখানা বা গোডাউনের মালিকের খোঁজ চলছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কী ছিল, তা জানবেন তদন্তকারীরা। আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে কারখানা। মজুত সমস্ত মালই পুড়ে খাঁক হয়ে গিয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours