বগটুই হত্যাকাণ্ডে সিবিআই হেফজতে মূল অভিযুক্ত আনারুল শেখ -সহ ১১ জন। তাদের প্রত্যেককে নিজেদের হেফাজতের নিল সিবিআইয ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফজত তাদের। তদন্তকারীরা মনে করছেন. এই ১১ জনের ভূমিকাই নারকীয় হত্যালীলায় সব থেকে বেশি। অভিযুক্তদের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে জেরা করা হবে।

রাজ্য পুলিশের থানা বা অফিসে সিবিআই জেরা করতে নারাজ। যেহেতু এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে একাধিক জনের, তাই তদন্তকারীদের মধ্যে মহিলাও রয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন মহিলা ভয়ের কারণে মুখ খোলেননি, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলা তদন্তকারীরা রয়েছেন।

টিমে ৩ জন মহিলা তদন্তকারী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে মূল ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারবেন। সিবিআই দল রবিবারও বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাবে। একটি দল ঘটনাস্থলে যাবে, একটি দল যাবে হাসপাতালে। আক্রান্তদের বয়ান নেবেন তাঁরা। আরেকটি টিম অভিযুক্তদের জেরা করবে। আরেকটি টিম যাবে বাতাসপুরে, যেখানে অভিশপ্ত সেই পরিবারের বাকি সদস্যরা রয়েছেন।

একেবারে আটঘাট বেঁধেই ময়দানে নেমেছেন তদন্তকারীরা। আজ ফের গ্রামে যাবে সিএফএসএলে-র টিমও। ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ চান তদন্তকারীরা। ‘থ্রি ডি স্ক্যানার’ ব্যবহার করে প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাত্‍ ঘটনাস্থলে পুনর্নির্মাণ করা হবে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ে সিবিআই আসার পর থেকেই তদন্তকারীদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবিত ছিল কেন্দ্র। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ১ প্ল্যাটুক সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্গাপুরে সিআরপিএফের ১৫৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ন আছে, সেখান থেকে এই জওয়ানদের আনা হয়েছে। আরও বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে খবর।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours