দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হল মা ও দুই শিশুসন্তানের দেহ। এই ঘটনায় শনিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার ৪ নম্বর গরানকাটি গ্রামের নিমতলাতে। কী কারণে আত্মহত্যা করলেন ওই মহিলা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা।
পেশায় দর্জি আমিরুল সর্দার কাজের তাগিদে হাওড়ায় থাকেন।
আমিরুলের বাবা সাহেব আলি সর্দার থাকেন আন্দামানে। বাড়িতে দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে থাকতেন আমিরুলের স্ত্রী রিজিয়া সর্দার। ওই দম্পতির ৯ বছর বয়সি একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। সে তার দিদার সঙ্গে পিসির বাড়িতে থাকে।
সাধারণত ভোরবেলাই ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস রিজিয়ার। শনিবার বেশ বেলা হয়ে গেলেও রিজিয়া এবং তার দুই সন্তানের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর শাশুড়ি বউমাকে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন। তখন দেখা যায় ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। হাজার ডাকাডাকি করেও রিজিয়ার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
তাতে সন্দেহ হয় রিজিয়ার শাশুড়ির। প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তিনি। এরপর প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন তাঁরা। ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ঘরের মধ্যে রিজিয়া ও তার দুই শিশুপুত্রর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ঘরে দুর্গন্ধও পান তাঁরা। প্রতিবেশীদের ধারণা সম্ভবত রিজিয়া কীটনাশক পান করে দুই শিশুপুত্র-সহ আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে কুলতলি থানার আইসি অর্ধেন্দুশেখর দে সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই বাড়ির ভিতর থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে রিজিয়া তাঁর দুই সন্তান নিয়ে আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখয়ছে পুলিশ।
বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হল মা ও দুই শিশুসন্তানের দেহ।কুলতলি থানা এলাকার ৪ নম্বর গরানকাটি গ্রামের নিমতলার ঘটনা।কী কারণে আত্মহত্যা করলেন ওই মহিলা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours