অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি। ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে একটি গেস্ট হাউসে (Guest House) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশের নাগরিকের। বাংলাদেশ থেকে চিকিত্সা করাতে এসেছিলেন তিনি। অসুস্থ আরও ২ জন। তাঁরা কলকাতারই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এই ঘটনার পর ওই গেস্ট হাউসটিকে সিল করেছে পুলিশ।শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ওই গেস্ট হাউসের রিসেপশনে আগুন লাগে। আগুন দোতলার ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি ঘটে এসি চলায় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা গেস্ট হাউস। সেই সময় গেস্ট হাউসে থাকা প্রায় প্রত্যেকেই ঘুমোচ্ছিলেন। তাই ঘুম ভেঙে গেস্ট হাউস ছাড়ার জন্য কার্যত হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন বেরতে পারেন। তবে অনেকেই গেস্ট হাউসে আটকে পড়েন।
খবর দেওয়া দমকলে। একে একে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দ্রুত গেস্ট হাউসে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হয়। আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কীভাবে গেস্ট হাউসে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে এ কাণ্ড ঘটেছে। গেস্ট হাউসে যথোপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।
গেস্ট হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ধোঁয়ায় বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে শনিবার সকালে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়। সামিমাতুল আফরুল নামে ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধা বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। চিকিত্সকদের মতে, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চিকিত্সা করাতে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধা। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাও চলছিল তাঁর। বৃদ্ধার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। এদিকে, এই ঘটনার পর গেস্ট হাউসটিকে সিল করে দিয়েছে পুলিশ। কী কারণে আগুন লাগল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খাস কলকাতায় গেস্ট হাউসে অগ্নিকাণ্ড।
প্রাণ গেল বাংলাদেশি নাগরিকের।
অসুস্থ আরও ২জন ভরতি হাসপাতালে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours