ইউক্রেনের যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। কিয়েভ, খারকিভ পুরোপুরি দখল করে নেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তুমুল সংঘর্ষ চলছে, ইউক্রেন তছনছ করে দিচ্ছে রুশ মিসাইল। ইউক্রেনে আধিপত্য বিস্তারের (Ukraine Invasion) লক্ষ্যেই এগোচ্ছে পুতিন বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে ধীরে চলার অনুরোধ করলেন চিনা কর্মকর্তারা।বাইডেন প্রশাসন এমন খবর সামনে এনেছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই শীতকালীন অলিম্পিং (Winter Olympics) যা বেজিংয়ে হবে। তাই এখনই ইউক্রেন দখল ঘিরে পশ্চিমী দেশগুলো চটাতে রাজি নয় চিন। নিউ ইয়র্ক টাইমস এই খবর সামনে এনেছে। মার্কিন গোয়েন্দারা নাকি খবর দিয়েছে, চিনের সঙ্গে রাশিয়ার কথাবার্তা হয়েছে। সেখানে চিনা কর্মকর্তারা নাকি রুশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে শীতকালীন অলিম্পিক অবধি একটু ধীরগতিতে এগোতে। এখনই ইউক্রেন দখল হয়ে গেলে এবং তাকে ঘিরে পশ্চিমী দেশগুলো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সমস্যা চরমে উঠবে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যে আভাস পাওয়া গেছে যে বেজিং অলিম্পিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলা না করার বিষয়ে চিনের কর্মকর্তারা গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে রুশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছিলেন। এর পরেও পুতিন বাহিনী ইউক্রেনে হামলা চালায়। আর ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন পড়ে গেছে গোটা বিশ্বে। রাশিয়ার নিন্দায় সরব পশ্চিমের দেশগুলি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রুশ আক্রমণের বিরোধিতা করে লাগাতার ভোট পড়ছে। ১৪১টি দেশ রুশ হামলা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ভোট দিয়েছে। 



ইতিহাস বলছে, চিন-রাশিয়ার সম্পর্কে বরাবরই মৌলিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব রয়েছে। উভয়ের কূটনৈতিক মতাদর্শ এবং লক্ষ্যও এতটাই আলাদা যে, তারা যৌথ ভাবে এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারতের উপরে কোনও কৌশলগত চাপ তৈরি করতে পারবে না। তবে আমেরিকার একনায়ক-সুলভ আচরণের বিরুদ্ধে তারা একজোট। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও আঘাত এলে বা বাইরে থেকে কেউ নাক গলালে রাশিয়া এবং চিন পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে। তবে এই মৈত্রীও খুবই ভঙ্গুর বলেই মত বিশ্লেষকদের। চিনের সঙ্গে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্ক কখনই মধুর ছিল না। ২০০১ সালে পুতিন রাশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে, চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী সম্পর্ক বজায় রাখতে চুক্তি হয়। কিন্তু দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কোনও প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। এমনকি বর্তমান সময়েও রাশিয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়ায়নি চিন। বরং রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় নিরপেক্ষই থাকতে দেখা গেছে তাদের।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours