March 2022

পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, আইসিকে (IC) প্রকাশ্যে উলঙ্গ করার হুমকি দিয়ে সমালোচনার মুখে বিজেপি নেতা।

ঘটনা শুনলে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়।আইসিকে (IC) প্রকাশ্যে উলঙ্গ করার হুমকি দিয়ে বিতর্ক জড়ালেন এক বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ছাতনা থানার দুবরাজপুর মোড়ে স্থানীয় একটি পুকুর খননের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করে বিজেপি। সেই অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি কর্মীদের । এই সময়ই বিজেপির নেতা জীবন চক্রবর্তী ছাতনা থানার আইসি আশিস জৈনকে প্রকাশ্যে উলঙ্গ করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূল (TMC)। অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপির দাবি, জীবন চক্রবর্তী দলের কেউ নয়। পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে আটক করেছে।


বাঁকুড়ার ছাতনা গ্রামের বাঁকাপাড়া নামের একটি পুকুরে 'জল ধরো জল ভরো' প্রকল্পে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে খনন কার্য শুরু করে রাজ্য সরকার। এই পুকুর খননের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার ছাতনার দুবরাজপুর মোড়ে জীবন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পথ অবরোধ করে বিজেপি। অবরোধের জেরে বাঁকুড়া পুরুলিয়া রাস্তায় যান-চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।


বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর ছাতনা থানার আইসি আশিস জৈন এর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পথ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী মাইক হাতে আইসিকে উলঙ্গ করে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়।আইসির পরিবার তুলে বিভিন্ন কটূক্তি করেন বলেও অভিযোগ। জীবন চক্রবর্তীর সাফাই, 'আইসি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত'।


তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যর কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ছাতনার ওই কর্মসূচি বিজেপির দলীয় কর্মসূচি ছিল না। জীবন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।

ঢালাই মেসিন নিয়ে যাওয়ার পথে মেসিন ভ্যান উলটে বিপত্তি। আহত চালক সহ ৩। আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ২ নং ভরতপুর অঞ্চলের অযোধ্যাপুর এলাকায় ঢালাই মেসিন নিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি মেসিন ভ্যান উলটে যায়।ঘটনাস্থলেই আহত হয় চালক সহ তিন জন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। স্থানীয় মানুষজন ও পুলিশ আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে বলে সূত্রের খবর।

বেঙ্গালুরুতে বাঙালি নার্সকে 'গণধর্ষণ'। ৪ সাতারুকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জানা গিয়েছে, এ রাজ্যেই নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চাকরি করতেন নির্যাতিতা।অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিল তাঁর পূর্ব পরিচিত। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল।নির্যাতিতার দাবি, ২৪ মার্চ তাঁকে নিজের ফ্ল্য়াটে দুপুরে খাবার নিমন্ত্রণ করে ওই যুবক। ওই ফ্ল্যাটেই থাকত অভিযুক্তের আরও ৩ বন্ধু। ৪ মিলে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরের দিনে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে তাঁর এক বন্ধু। সেদিনই অভিযোগ দায়ের করা হয় স্থানীয় সঞ্জয়নগর থানায়। শেষপর্যন্ত বেঙ্গালুরু শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। অভিযুক্তেরা সকলেই দিল্লির বাসিন্দা। সাঁতারের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে তারা বেঙ্গালুরুতে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।




এক প্রেমিক নিলামে তুললেন ইংল্যান্ডের প্রেস্টন শহরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের আহ্বান জানিয়ে। তুমি আমার প্রেমিকাকে ধর্ষণ করতে পারো - এমনই লিখলেন অনলাইনে তোলা নিলামের শিরোনামে ওই প্রেমিক।

২০ বছর বয়সী ওই তরুণী জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্যুইটারে নিজের এমন অভিজ্ঞতার কথা।শেয়ার করেছেন সেই ঘটনার কথা পরিচয় প্রকাশ না করা তার এক বন্ধুও। নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায় তরুণীর বন্ধুর করা টুইট। সেই টুইট ৫০ হাজার লাইক ও রিট্যুইট হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যেই।


প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন করেছিলেন দীর্ঘ ৪ বছর ধরে। কিন্তু সে কথা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তিনি সেই প্রেমিক যে এমন কাণ্ড করে বসবেন।


টুইটে বলা হয়, প্রেমিকের ফোনে তাদের এনগেজমেন্ট রিংয়ের কোনো তথ্য রয়েছে কিনা তা খুঁজতে গিয়ে চমকে যান প্রেমিকা। তিনি কয়েকটি ই-মেইলে দেখতে পান, তার প্রেমিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করেছেন।


যেখানে বলা হয়েছে, তার প্রেমিকাকে যারা ধর্ষণ করতে ইচ্ছুক; তারা যেন যোগাযোগ করেন। 'আপনি আমার প্রেমিকাকে ধর্ষণ করতে পারেন।'


তরুণীর বন্ধু আরো বলেছেন, ওই প্রেমিক তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় নানা ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতো। সেগুলো অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দিতো। আর এই ভিডিও ছবি দেখিয়ে নিজের প্রেমিকাকে ধর্ষণের চুক্তি করতেন তিনি।


এ ঘটনায় ওই তরুণী পুলিশের দ্বারস্থও হন। পরে প্রেমিক তার কাছে ক্ষমা চায়। তবে ওই তরুণী তাকে ক্ষমা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ।

ক্যানিং থানার অন্তর্গত হাটপুকুরিয়ার তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের এক গৃহবধূর নাম অষ্টরানী সর্দার। বুধবার রাতে তিনি বাড়ির শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। রাতের অন্ধকারে আচমকা তার পায়ে একটি সাপ (Snake) ছোবল মারে। মুহূর্তে তিনি সাপটিকে (Snake) ছাড়িয়ে ছুড়ে ফেলে দেন।পরিবারের সদস্যরা ঘটনার কথা জানতে পেরে সাপটির (Snake) খোঁজ শুরু করেন। সাপটিকে তাঁরা পেয়েও যান। সাপটিকে (Snake) মেরে ব্যাগের মধ্যে নিয়ে তাঁরা সোজা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজির হন অষ্টরানী সর্দারের চিকিত্‍সার জন্য। ঘড়ির কাঁটা তখন প্রায় রাত ১০ টার ঘরে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তখন রোগী দেখছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্পবিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সক সমরেন্দ্রনাথ রায়। গৃহবধূ হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হাজির হওয়ায় তিনি কৌতুহলী হন। ব্যাগে কী রয়েছে জানতে চাইলে গৃহবধূ বলেন, ব্যাগের মধ্যে সাপ রয়েছে। সেই সাপ তাঁকে কামড়ে দিয়েছে। সাপ শুনেই হুলস্থূল পড়ে যায় জরুরি বিভাগে চিকিত্‍সা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবার-পরিজনদের মধ্যে। চিকিত্‍সক সমরেন্দ্রনাথ রায় ওই গৃহবধুর ব্যাগ থেকে সাপটি বের করেন। যদিও সাপটির দেহে তখন প্রাণ নেই। সমরেন্দ্রনাথ রায় জানান মৃত সাপটি বিষহীন (চিতি বোড়া)। সেকথা শুনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন গৃহবধূ। চিকিত্‍সক বলেন 'সাপটিকে মেরে ফেলা উচিত হয়নি। কারণ সাপ পরিবেশের বন্ধু। তাছাড়া চিতিবোড়া সাপ বিষহীন।'
অর্ণব আইচ: মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ। নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার জয়িতা দাস নামে এক ছাত্রী। বুধবারই আদালতে তোলা হয় ধৃতকে। তাঁকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালে দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকা থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জয়িতা।ফের তিনি গ্রেপ্তার হলেন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।

পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ময়দান এলাকার বাসস্ট্যান্ডে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ব্যাগটির ভিতর ছিল বেশ কিছু লিফলেট, ডিভিডি, হাতে লেখা পোস্টার ও মাওবাদী পুস্তিকা। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জিনিসগুলি উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে তুলে দেন। গোয়েন্দারা তদন্ত করে কিছু তথ্য ও নথি পান। ডিভিডিগুলি খতিয়ে দেখা হয়। সেগুলির সূত্র ধরেই মুর্শিদাবাদের দুই যুবকের সন্ধান মেলে। এসটিএফের কাছ থেকে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র। তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু মাওবাদী পুস্তিকা ও হাতে লেখা পোস্টার উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, কলকাতা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই হাতে লেখা পোস্টারের সঙ্গে মিল ছিল মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া মাওবাদীদের পোস্টারগুলির। সেই সূত্র ধরেই তাদের জেরা শুরু হয়। জেলা পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জেরা করেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফ আধিকারিকরাও।

জেরার মুখে ধৃতরা গোয়েন্দাদের জানায় যে, তারা পোস্টার ও মাওবাদী পুস্তিকাগুলি নিয়ে এসেছে নদিয়ার ছোট জাগুলিয়া থেকে। ধৃতরা স্বীকার করে যে, মাওবাদী নেত্রী জয়িতা দাসই এগুলি তাদের দিয়েছে। সেইমতো ছোট জাগুলিয়ার একটি বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে ভিতর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জয়িতাকে। এখানেই আশ্রয় নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে থাকছিল সে।

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, মাওবাদীদের মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির নেত্রী ছিলেন জয়িতা। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় তাঁর নাম উঠে আসে। তখনই গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, মাওবাদীদের ছাত্র সংগঠন ইউএসডিএফ-এর সক্রিয় সদস্যা ও ক্রমে নেত্রী হন জয়িতা। কলকাতার সিটি কমিটির নেত্রী হন তিনি। কলকাতায় মাওবাদীদের 'মুখোশ সংগঠন'গুলির মাধ্যমে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অভিযোগ, নোনাডাঙায় জমি আন্দোলনের পিছনে ছিলেন তিনি। এর সঙ্গে কলকাতায় মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করার পিছনেও ছিলেন তিনি। বহুবার জঙ্গলমহলে গিয়ে মাওবাদী শীর্ষনেতাদের সঙ্গে জয়িতা বৈঠক করেছিলেন। প্রথমবার গ্রেপ্তারির পর তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ লাগু করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, জয়িতার সঙ্গে সঙ্গে অন্য কয়েকজন পুরনো মাওবাদী নেতা ও নেত্রী সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জয়িতাকে জেরা করে সেই তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ। নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার তরুণী।
বুধবারই আদালতে তোলা হয় ধৃতকে।
তাকে ৭ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শ্রীনগরে সম্প্রতি এক এনকাউন্টারে দুজন জঙ্গির মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রাক্তন সাংবাদিক, তার নাম রয়িস আহমেদ ভাট। ‘‘ভ্যালিনিউজ সার্ভিস” নামের একটি খবরের পোর্টাল চালাতেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, তিন বছর আগে আগস্ট মাসে জঙ্গী দলের নাম লেখান তিনি তার বিরুদ্ধে দুটি জঙ্গী কার্যকলাপের জন্য এফআইআর করা হয়েছিল, পুলিশের তালিকা তাকে ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল অন্যজন জঙ্গির নাম হিলাল আহমেদ  রাহ। তিনি অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারার বাসিন্দা। তাকেও পুলিশ ‘ সি ’ ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছিলো। এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীরা ৩০ টি এনকাউন্টার করেছেন ।  
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বোমা বিস্ফোরণের পর এখনও থমথমে বাসন্তীর (Basanti) ফুলমালঞ্চের সর্দারপাড়া। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। ফারুক সর্দার নামে যুবকটি বারুইপুর হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। ওই হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন মঙ্গলবার রাতেই প্রাণ যায় তাঁর।মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ার বাসিন্দা হামিরুদ্দিন সর্দারের বাড়িতে আগুন লাগে। ভিতর থেকে ৫-৬ বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের মানুষজন। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বালতি করে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন (Fire)নেভানোর কাজে হাত লাগায়। তবে তাতেও রক্ষা মেলেনি। মাটির বাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেই সময় জখম হন ফারুক সর্দার নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী। তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তকরণের ভাবনাচিন্তাও চলছিল। তবে তার আগেই সব শেষ। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালেই প্রাণ যায় ওই তৃণমূল কর্মীর।

প্রাথমিকভাবেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে বোমা (Bomb) বাঁধার কাজ চলাকালীনই বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হামিরুদ্দিনকে ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে। ফারুক সর্দার সেই সময় ওই বাড়িতে ঠিক কী করছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুইতে (Bagtui) উপপ্রধান খুন হন। এরপর ওইদিন রাতেই গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর নিজেই খোদ বগটুইয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যজুড়ে পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে বহু দুষ্কৃতী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এরপরও বাসন্তীর সর্দারপাড়ার এই বাড়ি থেকে মজুত হওয়া বোমা উদ্ধার করা কেন গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বোমা বিস্ফোরণের পর এখনও থমথমে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চের সর্দারপাড়া।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর।
স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ক্লাস টুয়েলভে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, পড়তেই হবে পড়ুয়াদের। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ জারী করেছে অল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE)। মঙ্গলবার অল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE) এর তরফে একটি নির্দেশিকা সামনে আনা হয়েছে।যাতে বলা হয়েছে স্নাতক স্তরে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ - ২৯টি স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি ডিগ্রি কোর্সের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ টির ক্ষেত্রে ক্লাস টুয়েলভে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, পড়তেই হবে পড়ুয়াদের।

অপশনাল বিষয়ের মধ্য থেকে পড়ুয়ারা বেছে নিতেন পারেন তাদের পছন্দের বিষয়। রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স, তথ্য প্রযুক্তি, জীববিদ্যা, তথ্যবিদ্যা অনুশীলন, বায়োটেকনোলজি, টেকনিক্যাল ভোকেশনাল বিষয়, কৃষি, ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাফিক্স, বিজনেস স্টাডিজ, এন্ত্রেপ্রেনিউরশিপ এর মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া যাবে পছন্দের বিষয়। ১৫টির মতো কোর্সের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ক্লাস টুয়েলভে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং অঙ্ক পড়তেই হবে।

একজন শিক্ষার্থী যিনি ক্লাস টুয়েলভে অঙ্ক রাখেননি কিন্তু বাকী দুটি বিষয় পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন ছিল, তারা এখনও সংশোধিত নিয়মের অধীনে কৃষি প্রকৌশল, বায়োটেকনোলজি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবেন। আর্কিটেকচার, প্যাকেজিং টেকনোলজি এবং ফ্যাশন টেকনোলজি কোর্সে এই সংক্রান্ত কোন বাধ্যবাধকতা নেই বলেও জানান হয়েছে AICTE এর তরফে। স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য তিনটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মোট প্রাপ্ত নম্বর কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ (সাধারণ) এবং ৪০ শতাংশ (সংরক্ষিত প্রার্থীর ক্ষেত্রে) হতে হবে।২০১৯-২০২০ অ্যাকাডেমিক সেশন পর্যন্ত, স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ক্লাস টুয়েলভে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা বাধ্যতামূলক ছিল। তৃতীয় অথবা অপশনাল বিষয়ের মধ্যে রসায়ন, বায়োটেকনোলজি, বায়োলজি এবং টেকনিক্যাল ভোকেশনাল সাবজেক্টের মধ্যে থেকে পড়ুয়ারা তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারতেন।

এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে BE এবং BTech কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অঙ্ক এবং ফিজিক্স আর আবশ্যিক বিষয় নয়। এই দুটি বিষয় এখন থেকে ঐচ্ছিক বা অপশনাল হিসাবে রাখার সুপারিশ করে AICTE। এই নয়া নির্দেশ ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। শিক্ষাবিদদের বড় অংশ AICTE -র এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির মূল ভিত্তি হল অঙ্ক। ফলে এমন একটি বিষয়কে বাদ দিয়ে স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নত হবে না। তার প্রেক্ষিপ্তেই আবার অঙ্ক, পদার্থবিদ্যার মত বিষয়কে স্কুল স্তরে বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে AICTE
গরুপাচার মামলায় মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর রাত গড়াতেই তাঁর মঙ্গলকামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেন দলের বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা। তারাপীঠের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।তবে অনুব্রত নিজে এই যজ্ঞে হাজির হতে পারেননি। কেন না তিনি মঙ্গলবারই আসানসোলে গিয়েছেন লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচারে। যদিও এই মহাযজ্ঞ কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুকুমার, অশোক, ত্রিদীপরা। তবে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছে, আদালতে রক্ষাকবচ না পেতেই এ বার তারা মায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত।

গত ফেব্রুয়ারিতেও তারাপীঠে ঘটা করে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত। সে সময়ে প্রেক্ষিতটা ছিল স্বস্তির। এই একই মামলায় মাসখানেক আগে কলকাতা হাই কোর্টই সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। রক্ষাকবচ পাওয়ার দিনই তারাপীঠে মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। সেই সঙ্গে ভোগ নিবেদন, দরিদ্র ও নরনারায়ণ সেবারও আয়োজন করেছিলেন কেষ্ট।

এ বারও সেই একই মামলা। তবে এ বার আর কবচ মিলল না কেষ্টর। হাই কোর্ট তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি। উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, এই মামলায় একক বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তা বহাল থাকবে। অর্থাত্‍ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করলে এ বার তাঁকে যেতেই হবে সিবিআইয়ের কাছে।

গরুপাচার মামলায় চার বার অনুব্রতকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ অনুব্রতের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, ''বার বার আদালতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কোনও তদন্তে আদালত এ ভাবে সিবিআইয়ের হাত বাঁধতে পারে না।'' মঙ্গলবার একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিতর্কের মাঝেই ফের এগারোশো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প থেকে সমুদ্রের মাঝে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয় শরণার্থীদের দল।প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ২০টি বাসে টেকনাফের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তারা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দেয় শরণার্থীরা। এদিন বিকেলে আরও একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করে। রাতে চট্টগ্রামে রাখা হয় ওই শরণার্থীদের। বুধবার সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছে দেওয়া হয় তাদের। রোহিঙ্গাদের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ১৪ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক জানান, এবার ১৩ দফার প্রথম ধাপে প্রথম অংশে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে। অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, এবার ২ থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বলে রাখা ভাল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১২ দফায় প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে হাসিনা সরকারের উদ্যোগে ভাসানচরে পাঠানো হয়। এছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সবমিলিয়ে মিলিয়ে এখন ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।

এদিকে, সমুদ্রের মাঝে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচড়ে থাকতে নারাজ রোহিঙ্গাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ঝড়জল থেকে শুরু করে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে সেই দ্বীপে। রাষ্ট্রসংঘ এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়টি সুনজরে দেখছে না। কিন্তু সমস্ত আপত্তি উড়িয়ে শরণার্থীদের স্থানান্তরিত করতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

বিতর্কের মাঝেই ফের এগারোশো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করল বাংলাদেশ (Bangladesh)।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প থেকে সমুদ্রের মাঝে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয় শরণার্থীদের দল।
মঙ্গলবার ২০টি বাসে টেকনাফের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তারা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দেয় শরণার্থীরা।

 

রামপুরহাট 'গণহত্যার' পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যেই তত্‍পর হয় পুলিশ। আর সেই তত্‍পরতা বাড়তেই অধিকাংশ জেলা থেকেই উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। বাদ গেল না পূর্ব বর্ধমানও।

জেলা থেকে ফের উদ্ধার প্রচুর সংখ্যক বোমা।

দেওয়ানদিঘি থানার তালিত রেল গেটের কাছে পীরতলা লাগোয়া মাঠের ঘটনা। সেখানেই পরিত্যক্ত দুটি জারের ভিতর মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণ বোমা। শনিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেখা যায় বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কের পাশের একটি মাঠের মধ্যে দুটি জারে বোমা গুলি রাখা রয়েছে। এদিকে, বোমের হদিস পাওয়ার পরই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। যেহেতু গভীর রাতে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে সেই কারণে আশপাশের গ্রামের লোকজন সেভাবে টের পায়নি। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখতে পেয়ে বোমার বিষয়ে জানতে পারেন এলাকাবাসী। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্কে ভুগতে থাকেন স্থানীয়রা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের সরাইটিকর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে নাইলনের ব্যাগে চারটি বোমা উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। আর এরপরই শনিবার রাতে ফের তালিতের এই ঘটনায় জেলা পুলিশ মহলেও আলোড়ন পড়েছে।

এক এলাকাবাসী বলেন, “আমাদের বাড়িতে ছোট-ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। কেউ যদি বল ভেবে সেই বোমায় হাত দেয় কী হবে? বিষয়টি শোনার পর থেকেই আমরা খুব ভয়ে রয়েছি। এই মাঠেই ছেলেরা খেলতে আসে। যদি কিছু হয়ে যেত!” অন্যদিকে, আর এক এলাকাবাসী বলেন, “দু’টো ড্রামে বোমা রাখা রয়েছে।ভোর পাঁচটা নাগাদ বেরিয়ে দেখি পুলিশ জড়ো হয়েছে মাঠে। আমরা জিজ্ঞাসা করতেই পুলিশ জানাল এখানে বোমা রাখা রয়েছে কেউ এলাকায় আসিস না। যারাই এই কাজ করছে ভালো হচ্ছে না। যদি হঠাত্‍ বোমাগুলি ফেটে যেত তাহলে কী হত? এই এলাকায় অনেক ছেলে-মেয়ে, ছোট বাচ্চারা আসে খেলা করতে। কিছু অঘটন হতেই পারত।”





 



বগটুই হত্যাকাণ্ডে সিবিআই হেফজতে মূল অভিযুক্ত আনারুল শেখ -সহ ১১ জন। তাদের প্রত্যেককে নিজেদের হেফাজতের নিল সিবিআইয ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফজত তাদের। তদন্তকারীরা মনে করছেন. এই ১১ জনের ভূমিকাই নারকীয় হত্যালীলায় সব থেকে বেশি। অভিযুক্তদের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে জেরা করা হবে।

রাজ্য পুলিশের থানা বা অফিসে সিবিআই জেরা করতে নারাজ। যেহেতু এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে একাধিক জনের, তাই তদন্তকারীদের মধ্যে মহিলাও রয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন মহিলা ভয়ের কারণে মুখ খোলেননি, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলা তদন্তকারীরা রয়েছেন।

টিমে ৩ জন মহিলা তদন্তকারী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে মূল ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারবেন। সিবিআই দল রবিবারও বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাবে। একটি দল ঘটনাস্থলে যাবে, একটি দল যাবে হাসপাতালে। আক্রান্তদের বয়ান নেবেন তাঁরা। আরেকটি টিম অভিযুক্তদের জেরা করবে। আরেকটি টিম যাবে বাতাসপুরে, যেখানে অভিশপ্ত সেই পরিবারের বাকি সদস্যরা রয়েছেন।

একেবারে আটঘাট বেঁধেই ময়দানে নেমেছেন তদন্তকারীরা। আজ ফের গ্রামে যাবে সিএফএসএলে-র টিমও। ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ চান তদন্তকারীরা। ‘থ্রি ডি স্ক্যানার’ ব্যবহার করে প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাত্‍ ঘটনাস্থলে পুনর্নির্মাণ করা হবে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ে সিবিআই আসার পর থেকেই তদন্তকারীদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবিত ছিল কেন্দ্র। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ১ প্ল্যাটুক সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্গাপুরে সিআরপিএফের ১৫৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ন আছে, সেখান থেকে এই জওয়ানদের আনা হয়েছে। আরও বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে খবর।

 

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট যদি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করে তবে 'স্থায়ী' যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে হুতি বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতির এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের জেদ্দায় ফর্মুলা ওয়ান রেসের কাছে একটি তেলের প্ল্যান্টে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পরে হুতিদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির এ ঘোষণা এল।

এদিকে গতকাল শনিবার ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হুতিরা বলেছে, সৌদি জোট একটি বিদ্যুত্‍ কেন্দ্র, একটি জ্বালানি সরবরাহ কেন্দ্র এবং রাজধানীর একটি সামাজিক বিমা কার্যালয়ে হামলা করেছে।

এই হামলার পরে হুতির রাজনৈতিক নেতা মাহদি আল-মাশাত তিন দিনের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা এবং সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

মাহদি আল-মাশাত বলেছেন, 'এটি একটি আন্তরিক আমন্ত্রণ এবং সকল পক্ষের আস্থা অর্জনের জন্য আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির একটি বাস্তব পদক্ষেপ।'

আল-মাশাত আরও বলেন, 'আমরা এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্থায়ী রূপ দিতে প্রস্তুত যদি সৌদি আরব ইয়েমেনে অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেয়।'

তবে সৌদি আরব হুতির এ আহ্বানে এখনো সাড়া দেয়নি।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সালে দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হাদি সরকারকে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা থেকে উত্‍খাত করে। এরপর হাদি সরকারের সমর্থনে ২০১৫ সালে সেখানে হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি জোট। সেই অভিযান এখনো অব্যাহত আছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।






 উপপ্রধান খুনের পরে হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের। মৃতদেহ শনাক্ত করতেও যেতে পারেননি। তাঁকেও এ বার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মৃত মিনা বিবির মেয়ে মফিজা বিবি।

অভিযোগ পেয়ে রামপুরহাট থানা মফিজা বিবির সুরক্ষার জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করেছে।

ঘটনার রাতে বহটুই গ্রামে প্রথম ফটিক শেখের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতেই মারা যান তাঁর স্ত্রী মিনা বিবি। তাঁদের মেয়ে মফিজার বিয়ে হয়েছে স্থানীয় দখলবাটি গ্রামে। ঘটনার দিন মফুজা মুম্বইয়ে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে আসার দিন মফিজা বিবি মুম্বই থেকে গ্রামে আসেন। ওই দিনই শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। তার পরেই তাঁকে চন্দনকুন্ঠা, দখলবাটি, বগটুই গ্রাম থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় জানিয়ে মফিজা বিবি শুক্রবার রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তত্‍পর হয়ে মফিজার শ্বশুরবাড়িতে পাহারার ব্যবস্থা করে।

 

শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগে মাসি ও তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Basirhat Police)। এই ঘটনা থ্রিলার সিনেমার নৃশংসতাকেও যেনও হার মানল। দিদির মেয়েকে অপহরণ করে মোবাইল ও টাকা পূর্ব পরিচিত বন্ধু কাছে দেওয়ার নামে ফাঁদ। ১১ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে বছর ২৩-র মাসি রোজিনা বিবি, ও তাঁর বন্ধু বছর ২০-র সহর আলী সরদার ওরফে সাগর।

দিদির মেয়েকে অপহরণ করে মোবাইল ও টাকা পূর্ব পরিচিত বন্ধু কাছে দেওয়ার নামে ফাঁদ। ১১ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে বছর ২৩-র মাসি রোজিনা বিবি, ও তাঁর বন্ধু বছর ২০-র সহর আলী সরদার ওরফে সাগর। মোবাইলে টাকা পৌঁছে দেওয়ার নাম করে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে খোদ নিজের মাসি রোজিনা। তারপর বন্ধু কাছে রাতে পৌঁছে দিয়ে সে। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে মহাকুমার মাটিয়া থানার বিবেকনগর কুলতলা ব্রিজ এর ঘটনা ।

আরজিকরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্‍সধীন

জানা গিয়েছে, ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ১১ বছরের শিশুকন্যা রাত্রিবেলায় নিখোঁজ হয়ে যায়। তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাবা খুদু মন্ডল পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। সারারাত নিজের আত্মীয় অন্যত্র খোঁজ করার পর, খুঁজে পাওয়া যায় না। এরপর মাটিয়া থানা অপহরণের অভিযোগ করেন। শুক্রবার বিকেল বেলা মাটিয়ার বিবেকনগর কুলতলা ব্রিজ কাছে ঐ শিশুকন্যার অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর মাটিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে প্রথমে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর অবস্থা অবনতি হলে তারপর কলকাতার আরজিকরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।



নিজের মাসি ও তার বন্ধু এই পরিকল্পনায় ছাত্রীকে ধর্ষণ

এই ঘটনা তদন্তে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় এই শিশুকন্যার নিজের মাসি ও তার বন্ধু এই পরিকল্পনায় শিশু কন্যা ধর্ষিত হয়। ইতিমধ্যে প্রথমে নির্যাতিত শিশুকন্যার বাবা অপহরণের অভিযোগ করে থানায়। তারপর শিশুকন্যা মেডিকেল পরীক্ষা করে জানা যায় সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ এই অভিযোগের ভিত্তিতে মাসি রোজিনা বিবি ও তার বন্ধু সহর আলী সরদার ওরফে সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত দুজনকেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ

প্রসঙ্গত, রাজ্যে ধর্ষণ সহ একাধিক শিশু নিগ্রহের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মা-বাবারা। এর মধ্যে ঘটে যাওয়া অন্যতম নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল জোড়াবাগানকাণ্ডে। জোড়াবাগানে ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে ঠান্ডা মাথাতেই খুন করে কেয়ারটেকার। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উঠে আসে, নির্যাতিতার শরীর থেকে বিরিয়ানি ও চিপসের খাদ্যবশেষ পাওয়া গিয়েছে। অনুমান, বিরিয়ানি এবং চিপসের লোভ দেখিয়ে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নাবালিকাকে। এর পরই অচৈতন্য করা হয় তাকে। এখানেই শেষ নয়, কেয়ারটেকারের মোবাইলে পর্ণোগ্রাফিও পাওয়া গিয়েছে। এবং ওই কেয়ার টেকার মদ্যপ অবস্থায় পর্ণোগ্রাফি দেখে তারপরই উত্তেজিত অবস্থায় নাবালিকাকে ছাদে নিয়ে যায়। যদিও ওই কেয়ারটেকার এই খুনের ঘটনায় অপরাধ কবুল করে নিয়েছে।


 স্যুট-বুট পরে অফিসে আসত ওরা। তিনটে শিফটে চলত কাজ। বেতনও ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু কী কাজ চলত তা জানার পরই চোখ কপালে খোদ গোয়েন্দাদের। কল সেন্টারের আড়ালে দেদার চলত প্রতারণা চক্র। পুলিশের জালে গ্রেফতার ১৩ জন যুবক। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ জনের চার দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি ৯ জনের চার দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২৯ নম্বর বেলুড় রোডে গত এক বছর ধরে কল সেন্টার চালাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন যুবক। দিনে তিনটি শিফটে কাজ করত। বেতন ছিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কয়েকদিন আগে গোয়েন্দারা খবর পায় ওই কল সেন্টার থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে গোয়েন্দাদের একটি দল ওই কল সেন্টারে অভিযান চালায়। মোট তেরো জন যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে ৪ টি ল্যাপটপ, ৮ টি কম্পিউটার, মাইক্রোফোন এবং প্রচুর কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দেশের এবং বিদেশের গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে টোপ দিতেন। ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট বাকি আছে। সেক্ষেত্রে তারা মোবাইলে একটি লিংক শেয়ার করতেন। গ্রাহক সেই লিংক ক্লিক করলে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হত।

এইভাবে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই কল সেন্টার একটি মূল প্রতারণা চক্রের এজেন্ট হিসাবে কাজ করত। তাদের ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল দুপুরে হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ গোপনীয়তা বজায় রেখে লিলুয়ার বেলুড় রোডের ওই আবাসনে অভিযান চালায়।


এক গৃহবধূর বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে তাঁর ওপরে শারীরিক নির্যাতন চালালো প্রতিবেশী এক যুবক। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই গৃহবধূ। যার ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। লোকলজ্জার ভয়ে নির্যাতিতা ওই মহিলা আত্মঘাতী হবার চেষ্টা করেন।

কিন্তু অবশেষে ক্যানিংয়ের একটি মহিলা সমিতির সদস্যার সাহায্যের তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্দেশখালি শিকারীচর পাড়া এলাকায় ।আপাতত ওই গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্যানিং থানায়।

জানা যায়, শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী এবং তাঁর শাশুড়ি আধার লিঙ্ক করার জন্য স্থানীয় গোলাবাড়ি বাজারে গিয়েছিলেন। যার ফলে সেই সময় একাই বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবক রাকিব উদ্দিন মোল্লা তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আর তারপরেই ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক । সেই সময় ওই গৃহবধূর বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তাঁর জা, কিন্তু তাকেও অভিযুক্ত ওই যুবক বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি তাকে খুন করার চেষ্টাও করে ওই যুবক।



এ ঘটনায় গৃহবধূর জা'য়ের চোখ এবং মুখে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় । এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় মুখ দেখানোর পরিস্থিতি থাকবে না বলে লোকলজ্জার ভয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। সেই সময় খবর পেয়ে সেখানে এসে উপস্থিত হয় প্রতিবেশী এক মহিলা। তিনি উদ্ধার করেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে। প্রতিবেশী ওই মহিলা ক্যানিংয়ের তালদি এসটি এসসি ওবিসি এবং মাইনোরিটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যা বলে জানা যায়। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ এবং তাঁর জা'কে মহিলা সমিতির ওই সদস্যা নিয়ে আসে ক্যানিংয়ে।

তারপর ওই মহিলা সমিতির সহযোগিতায় নির্যাতিতা গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্যানিং থানায়। অভিযোগ পাওয়ার পর ক্যানিং থানার পুলিশ ওই গৃহবধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় বলে জানা যায়। এছাড়াও আক্রান্ত ওই গৃহবধূর জা'কে চিকিত্‍সার জন্য পাঠানো হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। তালদি মহিলা সমিতির সম্পাদিকা রুপালি মন্ডলের কথায়, তাঁরা নির্যাতিতা মহিলার মুখ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনেছেন এবং অভিযুক্ত ওই যুবকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। যাতে দ্বিতীয়বার এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটানোর কেউ সাহস না করে। এছাড়াও নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ওই যুবক যেন এই জঘন্য কাজের জন্য যথোপযুক্ত শাস্তি পায়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


বাবা বিধায়ক। রাজ্য তথা নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেই বিধায়করে ছেলের বিরুদ্ধেই উঠল অত্যন্ত গুরুতর অভিযোহ খোদ বিধায়কের ছেলে (MLA’s Son) যে এমন কাজ করতে পারেন, তা বিধায়কের সমর্থকরাও বুঝে উঠতে পারছেন না।

এবার ঘটনা প্রসঙ্গে আসা যাক। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ার জেলার রাজগঢ় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত শাসকদলের বিধায়ক জোহারি লাল মিনার ছেলে ও তাঁর ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে দৌসা জেলার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে বিধায়কের সমর্থকরাও অবাক হয়ে গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধর্ষণের ঘটনায় বিধায়ক পুত্র দীপক মিনাই প্রধান অভিযুক্ত। বাকি ৪ জনের মধ্যে আরও একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর নাম বিবেক শর্মা।

বিবেকের বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। দৌসা জেলার মান্ডাওয়ার থানার এসএইচও নাথু লাল জানিয়েছেন, বিবেক নির্যাতিতা কিশোরীকে গণধর্ষণের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করে দেওয়া হুমকি দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নাথু লাল জানিয়েছেন, “রাজগঢ়ের বিধায়কের ছেলে দীপক মিনা সহ ৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভারতীয় দণ্ড বিধির অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।” ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের ভিত্তি শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। ওই এসএইচও জানিয়েছেন ফেব্রয়ারি মাসে মাহওয়া-মান্দাওয়ার রোডের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য একটি ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়। বাড়ি থেকে টাকা ও সোনার গয়না উধাও হওয়ার পর ওই কিশোরীর বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়ছিল। তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ তখন তদন্তে নেমে বিষয়টি জানতে পারে। প্রথমে বিবেককে গ্রেফতার করা হয়, তারপরই বাকিদের জড়িত থাকার ঘটনা জানা গিয়েছিল।

  

নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া এই রাজ্যেও। মোবাইলে গেম খেলতে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ খোদ মাসি ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে। বর্তমানে ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক।

দু’ঘণ্টা ধরে চলেছে তার অস্ত্রোপচার। রক্তাক্ত হয়েছে ক্ষুদ্রান্ত। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ২ অভিযুক্ত।

বসিরহাটের মাটিয়ার ঘটনা। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানালো নৃশংসতা। নিজের দিদির মেয়েকেই অপহরণ খোদ মাসির। প্রেমিকের কাছে ফোন ও টাকা পৌঁছানোর নাম করে নাবালিকাকে অপহরণ করে মাসি ও তার প্রেমিক।

জানা গিয়েছে, ২৪ মার্চ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। নির্যাতিতার বাবা পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। এদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় সারারাত খোঁজ করতে থাকেন তাঁরা। পরে মাটিয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে মাটিয়ার বিবেকনগর কুলতলা ব্রিজের কাছে ওই শিশুকন্যাকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর মাটিয়া থানার পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নাবালিকাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, শিশুকন্যার নিজের মাসি ও তার প্রেমিক পরিকল্পনা করেই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। মোবাইলে গেম খেলতে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল ফোন তার প্রেমিকের কাছে পৌঁছে দিতে বলে ওই নাবালিকার মাসি। মাসির কথামত সেই কাজ করতেও যায় বাচ্চা মেয়েটি। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ।

পরে শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করে জানা যায় সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে মাসি ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত দু’জনকে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক শত্রুতার বদলা নিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এদিকে, নির্যাতিতা নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কিশোরীর চিকিত্‍সার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, সার্জারি, মেডিসিন, সাইকোলজি বিভাগের চিকিত্‍সক। এর পাশাপাশি, পিকু বিভাগের বিশেষজ্ঞ এবং ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকও নজর রাখছেন কিশোরীর শারীরিক অবস্থার উপর।

  ওই বাড়িতে স্বামী স্ত্রীর অশান্তি হত নিত্য। সে কথা জানতেন প্রতিবেশীরা। শনিবার সন্ধ্যাতেও হয়েছিল। তাই বিশেষ আমল দেননি। কিছুক্ষণের মধ্যে স্তব্ধও হয়ে যায় সব কিছু। কিন্তু আচমকাই ওই ঘরের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শোনা গিয়েছিল। সেটা শুনেই ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা।

দেখেন মেঝেতে চাপ চাপ পড়ে রক্ত। দুটো শরীর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে। রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ছোট্ট শরীরটাও। পাশেই পড়ে বছর পঁয়ত্রিশের যুবক। মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোচ্ছে। বাকি দুজনের শরীরে প্রাণ নেই বুঝতে পেরেই প্রথমে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন যুবক। মর্মান্তিক ঘটনা পুরুলিয়ার কাশীপুরের রাঙ্গাডি গ্রামে। গৌতম মাহাতো নামে ওই যুবক এখন হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌতম সেভাবে কাজ করতেন না। সংসারে আয় ছিল কম। এদিকে, বদমেজাজি গৌতমের সঙ্গে প্রায়ই তাঁর স্ত্রীর ঝামেলা হত। শনিবার রাতেও তাই হয়েছে। তারপর সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপরই গভীর রাতে সে ঘরে ঢুকে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। সন্তানকে নিয়ে তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। আকস্মিক হামলায় সেভাবে প্রতিরোধও করতে পারেননি। আর বাচ্চাগুলোর প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও নেই। ফলে বিনা বাধাতেই কুপিয়ে নিজের সন্তান স্ত্রীকে খুন করে গৌতম। অভিযোগ তেমনই। পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

স্ত্রী ও সন্তানদের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বিষ খায় গৌতম। কিন্তু ততক্ষণে প্রতিবেশীরা চলে আসেন। তাকে কাশীপুর কল্ললি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। দেহগুলি পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেন সে এই কাজ করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অপেক্ষা করা হচ্ছে গৌতম সুস্থ হওয়া পর্যন্ত। এরপর তাকে জেরা করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করত গৌতম, তা থেকেই এই ঘটনা কিনা, তা দেখা হচ্ছে।

 

লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে দিশাহারা দেশবাসী। উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে আগামী মাস থেকে দেশজুড়ে দাম বাড়তে চলেছে ৮০০ অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের(medicine)। শুক্রবার ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি এই তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি(NPPO)। বলার অপেক্ষা রাখে না এই মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়তে চলেছে দেশের সাধারণ মানুষ।

জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে যে সকল ওষুধের দাম বাড়ছে তার মধ্যে রয়েছে জ্বর, সংক্রমণ, ত্বকের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা ও হৃদরোগের ওষুধ। পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির সূচকে এই দাম বৃদ্ধি হচ্ছে ১০.৭ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, "বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের আর্থিক উপদেষ্টার দপ্তরের পেশ করা পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক ২০২১ ক্যালেন্ডার ইয়ারে বার্ষিক ১০.৭৬৬০৭ শতাংশ বাড়ছে ২০২০ সালের তুলনায়। ড্রাগস (প্রাইস কন্ট্রোল) অর্ডার, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এটি সংশ্লিষ্ট সকলের নজরে আনা হচ্ছে।"

উল্লেখ্য, ৫ রাজ্যে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর একই মূল্যবৃদ্ধিতে দিশাহারা দেশের সাধারণ মানুষ। হুরমুড়িয়ে দাম বেড়েছে পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের। ফলস্বরূপ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। এরই মাঝে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তের মাসিক বাজেটে বড়সড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্য অনুযায়ী, প্যারাসিটামল, আজিথ্রোমাইসিন, ফেনোবার্বিটোন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড, মেট্রোনিডাজোল, ফেনিটোইন সোডিয়ামের মতো অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম বাড়বে।

 এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ১৬ মার্চ। এবার পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ । এ দিন পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে

প্রসঙ্গত, পরীক্ষা শুরুর আগে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।ওই বৈঠকে প্রশ্নপত্র যাতে বের না হয় সেজন্য পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।যদিও পরে হাইকোর্ট ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না বলে রায় দেন। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখের কিছু বেশি। তবে, সূত্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজ্যের একাধিক স্কুলে পরীক্ষার জন্য আবেদন করা প্রার্থীর সংখ্যার মধ্যে অনেক সংখ্যক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।এই প্রসঙ্গে পর্ষদের সভাপতি জানিয়েছেন ফলাফল যেদিন প্রকাশিত হবে, সেদিনই জানা যাবে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কত । পর্ষদের তরফ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তরপত্রের মূল্যায়নের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষকদের। সেক্ষেত্রে উত্তরপত্র কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।

 

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকার পরেই তত্‍পর পুলিশ প্রশাসন। হাবড়ায় গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী, উদ্ধার দুটি পাইপগান সহ চার রাউন্ড কার্তুজ (Arms in West Bengal)। ধৃত দুষ্কৃতীদের নাম প্রশান্ত লোধ(৫৬) এবং কিরণ বিশ্বাস (৩৬)। ধৃতদের মধ্যে প্রশান্তের বাড়ি হাবড়া বাণীপুর ইতনা নতুন কলোনি এলাকায়।

বৃহস্পতিবার রাতে হাবড়া বাণীপুর শ্মশান এলাকায় যখন আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে আসছিলেন, তখন হাবড়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রশান্তকে গ্রেফতার করে। তল্লাশি চালালে ধৃতের কাছ থেকে একটি পাইপগান এবং দু রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। পাশাপাশি হাবড়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবড়া বিড়া নবপল্লী এলাকায় কিরণ বিশ্বাস (৩৬)-এর বাড়ি থেকে একটি পাইপগান এবং দুরাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয় এবং কিরণকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে এবং গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। হাবড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন ধৃতদের বারাসাত আদালতে তোলা হয়।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মালদহের চাঁচোলে অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। রামপুরহাটের ঘটনার পর রাজ্যের সমস্ত থানার পুলিশকে বোম ও অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ পৃথক দুটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মারুপ আলি (৩০), চাঁচলের মতিহারপুর পঞ্চায়েতের বাকিপুরের বাসিন্দা। অন্যজন অনুপ মালো (২০), চাঁচল পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা । ধৃত দুজনকেই তাদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে পাহাড়পুরের বাসিন্দা অনুপ মালোর বিরুদ্ধে এর আগে পুরানো ডাকাতি মামলা রয়েছে।

এদিকে, এলাকার দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। নাম শফিকুল গাজী এবং সিজারুল গাজী। গতকাল রাতে শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয় সোলাদানা থেকে এবং সিজারুলকে গ্রেফতার করা হয় চাঁপাপুকুর রোড থেকে। বহুদিন ধরেই এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। গতকাল রাতেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই দু'জনকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুজনের কাছ থেকে দুটি রিভলবার এবং এক রাউন্ড করে গুলি। আজ তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

আবার আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে নওদা থানার পুলিশও। বৃহস্পতিবার রাতে নওদার বর্ষারধার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ৯ এমএম পিস্তল চার রাউন্ড গুলি, একটি ৭.৬৫ এম পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন। তাদের শুক্রবার বহরমপুর আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃত হাসিবুর সেখের বাড়ি নওদার সোনাটিকুরি ও প্রতীক ভৌমিকের বাড়ি নদীয়ার ধানতলা এলাকায়।






রভূমের বগটুই-কাণ্ডের তদন্তে আর রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখল না কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার আদালতের রায়ে জানিয়ে দেওয়া হল, এই মামলার তদন্ত করবে সিবিআই।

গত বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছিল এই সংক্রান্ত মামলাগুলোর শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

শুক্রবারের রায়ে আদালত জানায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজ্য যেন সহযোগিতা করে। তার পর সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। জানানো হয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে দোষীদের।

এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। তদন্তকারী দলে রয়েছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহ। এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিংহ এবং জিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল রাজ্যের সিট।

হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করা যাবে না। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআই-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি। মামলার তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, তা ওই দিনই জানাতে হবে আদালতে।

মামলার রায়ে সিবিআইয়ের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছে হাইকোর্ট। বলা হয়েছে, শুধু অভিযুক্তরা নন, এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করা হলে, তাঁকেও গ্রেফতার এবং হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।

উল্লেখ্য, রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে হাইকোর্টে গৃহীত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা-সহ দায়ের হয়েছিল পাঁচটি মামলা। গত বুধবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলাগুলির শুনানি হয়। এই ঘটনাকে 'সিরিয়াস ক্রাইম' বলে উল্লেখ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিটকে বগটুই-কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কেস ডায়েরি জমা দেন। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে হাইকোর্ট।

 টাটা কোম্পানির নকল মাল তৈরি হচ্ছে নদিয়ায়, চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের!

কুহেলি দেবনাথ, নদিয়া

গাড়ি দূষণ থেকে বাঁচবে। তার জন্য প্রয়োজন হয় এক ধরণের পার্টসের। মাইল‌েজ বাড়ানোর জন্যও প্রয়োজন রয়েছে যন্ত্রাংশের। তা বানায় টাটা।

তেমনই সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে নদিয়ায়!

টাটা কোম্পানির ছাপ দিয়ে! এমন অভিযোগ উঠেছিল কিছুদিন আগেই। আর সেই মতো টাটার পক্ষ থেকে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও নবদ্বীপ থানার পুলিশ এদিন হানা দেয় নদিয়া জেলার নবদ্বীপ শহরের ২০ নং ওয়ার্ডের তেঘড়ি পাড়া এলাকায়। সেখানে একটি অটোমোবাইল দোকান থেকে উদ্ধার করে সেই নকল সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ প্যাকেট নকল যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দোকানের মালিক জগত্‍বন্ধু ঘোষকে।

এদিনের অভিযানে পুলিশ আধিকারিকদের পাশাপাশি ছিলেন অভিযোগকারী তথা টাটা কোম্পানির অপারেশন ম্যানেজার আনসার খান। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ভারী যানবাহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি মূলত দূষণ রোধ ও মাইলেজ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে টাটার নাম করে নকল সামগ্রী বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাচ্ছিলাম। তারপরই পুলিশে জানানো হয়।

এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, কারা তৈরি করে, সে ব্যাপারে খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অন্যান্য জায়গাতেও হয়তো এই ধরণের সামগ্রী বিক্রি হয়ে থাকতে পারে। বিস্তারিত খোঁজ নিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 





 প্রেম কোনও বাধা মানে না। সত্যিকারের মনের টান থাকলে কোনও বাধাই আসলে বাধা নয়। কাঁটা বিছানো প্রেমের পথ এক লহমায় ফুলের চাদরে ঢাকা পড়তে পারে। সেকথাই প্রমাণ করলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) রাজু ও জয়া। রূপান্তরিত নারীকে বিয়ে করে নজির গড়লেন যুবক।

৬ বছর আগে এক পুরুষের সঙ্গে শুরু হয়েছিল প্রেম কাহিনি। সে সময় অবশ্য ছিল তা সমকাম। কারণ, গ্রামের মেলায় এক পুরুষকেই যে মন দিয়ে বসেছিলেন রাজু। তাঁর সেই প্রেমিকই আজ নববধূ জয়া। লিঙ্গভেদ ভালবাসার পথে বাধা হতে পারেনি। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিও প্রেমের পথ মসৃণ হতে দেয়নি। বাধা এসেছে। চড়াই উতরাই পেরতে হয়েছে। কিন্তু কেউ কারও হাত ছাড়েননি। সম্পর্ককে দাম্পত্যের নাম দেওয়ার আশায় লিঙ্গ বদল করেন। নানা অস্ত্রোপচারের পর রাজুর স্ত্রী জয়া আদ্যোপান্ত একজন নারী হয়ে ওঠেন।

সেই জয়া-রাজুরই বিয়ের আসরে জমজমাট আলিপুরদুয়ার। আর পাঁচটা বিয়ের মতো বাজল সানাই। বাড়ি ভরতি অতিথি। আমন্ত্রিতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। মালাবদল, সাতপাক, অগ্নিসাক্ষী রেখে নতুন জীবন শুরু করলেন জয়া ও রাজু। জীবনের বিশেষ দিনে খুশির যেন শেষ নেই দু'জনের। রাজুর কথায়, 'বিশ্বাস ছিল একদিন না একদিন আমাদের সম্পর্ক পরিণতি পাবেই। আজ পরিণতি পেয়েছে। বিয়ে করেছি। খুব ভাল লাগছে।'

মন থেকে ভালবাসলে যে সবই সম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন রাজু ও জয়া। রূপান্তরিত একজনকে বিয়ে করে যে কেউ নতুন জীবন শুরু করতে পারেন, তা বিশ্বাসই হচ্ছে না জয়ার আত্মীয়দের। বিয়ের আসরে অংশ নিয়ে খুশি তাঁরা। নবদম্পতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নববধূর দিদা রিয়া বর্মন। এখনও সমাজে রূপান্তরিতদের বাঁকা চোখে দেখেন অনেকেই। অধিকার রক্ষার নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যেতে হয় তাঁদের। তবে সমাজ যে একটু একটু করে সাবলীল হচ্ছে, তা বোধহয় জয়া-রাজুর পদক্ষেপেই স্পষ্ট।




একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যেতে পারে ভারতের বেশকিছু শহর। এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের Intergovernmental Panel for Climate Change বা IPCC-র তরফ থেকে। অন্যদিকে ভারতের যে সকল শহরের ক্ষেত্রে এমন সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেই সকল শহরের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কলকাতা।

এইভাবে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের Intergovernmental Panel for Climate Change বা IPCC, এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে। IPCC সোমবার এই জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের হাতে।

এই রিপোর্টে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কিভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এই রিপোর্টে যেসকল শহর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেই তালিকায় কলকাতা ছাড়াও ভারতের আরও কয়েকটি শহর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরও কয়েকটি শহরকেও এই তালিকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে দেখানো হয়েছে।

রিপোর্টে যেসকল আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল, পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতায় আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কলকাতার ক্ষেত্রে তেমন পরিকাঠামো নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে এই তালিকায় যে সকল শহরগুলি রয়েছে সেগুলি হল টোকিয়ো, ওসাকা, করাচি, ম্যানিলা, তিয়ানজিন, জাকার্তা। ২০৫০ সালের মধ্যে ২০টি বড় শহর জলের তলায় চলে যেতে পারে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে গত পাঁচ বছরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়। এই মতো পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কলকাতা ছাড়াও দেশের আরও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি শহরে চলে যেতে পারে জলের তলায়।

শ্বশুর বাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজন্য মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বাবার বাড়ির লোকজন।তাঁদের অভিযোগ 'বিয়ের দু'বছরের পরেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি বধূ মান্তু দাস। তার কারণেই পূ্র্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার ভাতশালা গ্রাম নিবাসী শ্বশুর বাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে বধূকে প্রাণে মেরে দিয়ে তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে'। বুধবার সকালে বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের আনা এমন অভিযোগ ঘিরে ভাতশালা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে এদিন বিকাল পর্যন্ত বধূর বাবার বাড়ির লোকজন নাদনঘাট থানায় যদি কোন লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। তবে পুলিশ বধূ মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।

বধূ মান্তু দাসের দিদি সর্বানী রায় এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাঁর বোনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অশান্তি লেগে থাকতো। বিয়ের দুই বছর পরেও সন্তান না হওয়া নিয়ে অশান্তার মাত্রা বাড়ে। মান্তুকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন চিকিত্‍সকের কাছে চিকিত্‍সা করাতে নিয়ে যায়। কিন্তু মান্তুর স্বামীর কোনো চিকিত্‍সা করানো হয় না। সর্বানী রায় বলেন, সন্তানের জন্ম দিতে না পারার সব দায় মান্তুর উপর চাপিয়ে দিয়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মান্তুর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো শুরু করে। সর্বানী রায় জানান, মান্তু আত্মহত্যা করেছে বলে বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের জানায়। সেই খবর পেয়েই তারা কালনা মহকুমার শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান ।সেখানে পৌঁছে দেখেন মান্তুর মৃতদেহ সেখানে পড়ে রয়েছে। পুলিশ এদিনই বধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। সর্বানী রায় বলেন, তাঁরা মনে করছেন তাঁর বোন বিয়ের দু'বছর পরেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেনি বলে জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকজন শ্বাসরোধ করে প্রাণে মেরে মান্তুর দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই বধূর মৃত্যর কারণ জানা যাবে। তাঁর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।