নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে একমাস আগে তিনি ভর্তি হন মুম্বইয়ের ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালে। পরে আক্রান্ত হন কোভিডেও। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। তারপরেও সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার আবারও তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ফের হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। কিন্তু রবিবার সকালে সেখানেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দেশের সুরসম্রাজ্ঞীর জন্ম হয় এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তিনি বাবা দীননাথ মঙ্গেশকারকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে গান। 'মজবুর' ছবিতে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ৯২ বছরের জীবনে তিনি ৩৬টিরও বেশি ভাষায় ৩০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন ৭ দশকেরও বেশি বেশি সময় ধরে।
দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে লতা মঙ্গেশকার পেয়েছেন একাধিক সম্মান। পেয়েছেন 'ভারতরত্ন', 'পদ্মবিভূষণ', 'পদ্মভূষণ', 'বাবা সাহেব ফালকে পুরস্কার', 'মহারাষ্ট্র ভূষণ' সহ একাধিক সম্মান। দেশ বিদেশের মানুষ তাঁকে চিনেছিল 'ইন্ডিয়ান নাইট্যাঙ্গেল' হিসাবে। সিনেমা জগতে এদেশে এমন কোনও পুরস্কার নেই যা লতা মঙ্গেশকার পাননি। কার্যত তিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশের এক জীবন্ত কিংবদন্তী। রবিবার সকালে ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গাদকারি আসার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানা এদিন সকাল ৮টা ১২ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকার। ইতিমধ্যেই শোকবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোকবার্তা আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিদেশ থেকেও শোকবার্তা আসতে শুরু করে দিয়েছে। তাঁর প্রয়াণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours