তিনি আরও বলেছেন, "বিকিনি হোক, ঘুমটা হোক, জিন্স হোক কিংবা হিজাব, কেই কী পরতে চায় সেটা তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একজন মহিলার আছে। এই অধিকারটি ভারতীয় সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। মহিলাদের হয়রানি বন্ধ করুন,"। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা এই টুইট করেছেন #ladkihoonladsaktihoon হ্যাশট্যাগ সহ। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী 'থাম্বস-আপ' ইমোজি দিয়ে তার বোনের টুইটকে সমর্থন করেছেন।
আসলে '#ladkihoonladsaktihoon' হল আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সাত দফা কংগ্রেসের নির্বাচন যুদ্ধের অংশ। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরার নেতৃত্বে নির্বাচনের আগে প্রধান ইস্যুগুলির মধ্যে একটি হিসাবে কংগ্রেস মহিলাদের অধিকার এবং ক্ষমতায়নকে প্রথম স্থানে রেখেছে।
গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধীও ক্লাসে হিজাব পরার অধিকারের সমর্থনে কথা বলেছিলেন। তিনি টুইট করেছিলেন যে, " 'হিজাব তাদের শিক্ষার পথে আসতে দিয়ে, আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যত কেড়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী দেন। সবার কাছে জ্ঞান। সে পার্থক্য করে না।'
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্ণাটকের উডুপি, চিক্কামাগালুরু এবং মান্ডা জেলার বেশ কয়েকটি শহরে কলেজ ছাত্রদের ক্লাসরুমে হিজাব পরার অধিকারের বিরুদ্ধে মর্মান্তিক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এদিকে হিজাব কাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর উত্তাল ছিল কর্ণাটক। হাইকোর্ট ছাত্রদের বলে শান্তি বজায় রাখতে। কলেজে হিজাব পড়া ছাত্রীকে দেখে একদল গেরুয়া উত্তরীয় পড়া যুবক নাগাড়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে। একা প্রতিরোধ করে হিজাব পরিহিতা। আল্লা হু আকবর ধ্বনি দিয়ে সে একা প্রতিবাদ করে।
তাঁর সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই কলেজছাত্রীর নাম মুসকান। তিনি এই হিজাব ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের কাছে শিক্ষার প্রাধান্য সবার আগে। কিন্তু, এক টুকরো কাপড়ের জন্য আমাদের শিক্ষা ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।' কর্ণাটকে মান্ডি এলাকার কলেজের ছাত্রী মুসকান।
হিজাব পরিহিতা তরুণী মুসকান গেরুয়া উত্তরীয় পরে মিছিল করে আসা যুবক দলের 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানের সামনে অবিচল থাকার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মুসকান আরও বলেছেন, 'আমি ভয় পাইনি। কলেজে ঢোকার সময় আমি বোরখা পরা দেখে তারা আমাকে ঢুকতে দিতে চাইছিল না। তারা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে থাকলে আমি 'আল্লাহু আকবার' বলতে শুরু করি। কলেজের অধ্যক্ষও আমাকে সমর্থন করেছেন এবং আমাকে সুরক্ষা দিয়েছেন।'
দ্বাদশ শ্রেণির বাণিজ্যিক বিভাগের ছাত্রী মুসকান বলেন, 'আমাদের কাছে শিক্ষার প্রাধান্য সবার আগে। কিন্তু, তারা আমাদের শিক্ষা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটা তো গত সপ্তাহে শুরু হলো। আমরা হিজাব আর বোরকা তো বহুদিন ধরেই পরে আসছি। হিন্দু বন্ধুরাও আমাকে সমর্থন করেছে। আমি নিরাপদ বোধ করছি। সকাল থেকেই অনেকে আমাদের বলেছে, তারা আমাদের সঙ্গে আছে।'
কলেজছাত্রী মুসকান আরও বলেন, 'হিজাব আমাদেরই একটি অংশ। বহিরাগতরা এটা শুরু করেছে। প্রিন্সিপাল বোরখা না পরার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা হিজাব রক্ষার অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চালু রাখব। মুসলিম মেয়ে হিসেবে এটা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ।' এ ছাড়া মুসকান বলেন, 'ওই মিছিলের মাত্র ১০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী আমাদের কলেজের ছিল। বাকিদের বহিরাগত ছিল।'
Post A Comment:
0 comments so far,add yours