গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অসুস্থতার সংবাদে ভক্ত- অনুরাগীরা ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছিলেন সকলেই। এবং জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোভিড সংক্রমণজনিত সব জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রায় ভালোই আছেন তিনি।নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা আর দেখা যাচ্ছে না গায়িকার। হৃদযন্ত্রের জটিলতাও এখন নিয়ন্ত্রণে। এই খবরূ বেশ খানিকটা স্বস্তি এসেছে ভক্ত মহলে। এই মুহূর্তে বাইপাস লাগোয়া অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছিল, দুপুর ২টো নাগাদ বর্ষীয়ান গায়িকার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসতে চলেছে। পরবর্তী আপডেট সংবাদ এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে চিকিত্সকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন শিল্পীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল দেখে। বাকি বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনা হবে। পরবর্তী চিকিত্সা কীভাবে হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূ্র্তে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সারাক্ষণই পর্যবেক্ষণে রেখেছেন পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম।
সংগ্রামী জীবন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। সাথেই মনে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা। ১৯৭১ সাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু । আশ্রয় নেই, কষ্টের জীবন। যার গেছে এমন সময় তিনিই বলতে পারবেন কী বিভীষিকাময় সময়।
সেই উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে গণ আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। গান গেয়ে সংগ্রহ করেন অর্থ। সেই অর্থ তুলে দিয়েছিলেন উদ্বাস্তুদের কল্যাণে। প্রচুর কাজ করেছেন এই শিল্পী।কন্ঠকে কাজে লাগিয়েছেন এই দুঃসময়ে। ও তিনি অর্থ সাহায্য করেছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের এবং গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাপী সচেতনতা।
বাংলাদেশের শিল্পী সমর দাস বাংলাদেশে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন, সেই বেতার কেন্দ্র স্থাপনেও অর্থ সাহায্য করেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির উপলক্ষে তিনি গেয়েছিলেন 'বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে'।বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি উপলক্ষে তিনি'বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে' গানটি গেয়েছিলেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours