আজ কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে থাকবে।বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাংলার বহু জেলায় জলীয়বাষ্প ঢুকছে।এর জেরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও ঠাণ্ডা ফেরার কোনো আশা নেই।যত দিন এগোবে তাপমাত্রার পারদ চড়বে।
আজ দার্জিলিং, কালিম্পং বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগণা ,দক্ষিণ ২৪ পরগণা ,২ মেদিনীপুর ,কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ,পুরুলিয়া ,ঝাড়গ্রাম মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে। আজ থেকে বাড়বে উত্তরবঙ্গের হিমালয়ের সংলগ্ন জেলাগুলির তাপমাত্রা। আবার অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কেটে গেলে বাড়বে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা। তবে শীতের বিদায় হয়ে গেলেও আগামী ২৪ ঘন্টার পর থেকে চারদিন খুব মনোরম আবহাওয়া থাকবে বাংলা জুড়ে। আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রা সেরকম কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
পুরভোট (WB Municipal Elections 2022) শুরু হতে না হতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার (North 24 Parganas) একাধিক জায়গা থেকেই অশান্তির (Unrest Incident) ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে।উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বাদ যায়নি বনগাঁও।
বনগাঁ পৌরসভার (Bangaon Municipality) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপল্লি বুথে নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর নির্বাচনী এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্দল প্রর্থীকে (Independent Candidate) বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়া নির্দল প্রার্থীর দুই মেয়ের ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই থানার দ্বারস্থ হন তিনি। পাশাপাশি এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সীমা বিশ্বাসের ঠাকুর পল্লী বনবিহারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূল ভোট লুট করছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। আর এই অভিযোগ তুলে কেঁদে ফেলেন তিনি। বুথের বাইরে বসে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, "এভাবে কখনও ভোট হয়? একজনের ভোট আর একজন দিয়ে দিচ্ছে। আমি কখনও এইরকম ভোট দেখিনি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সবাই দু-তিন বার করে ভোট দিচ্ছে।" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বন্দনা দাস। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের উপরে হামলা চালিয়েছে এবং নাটক করছে।
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক কেন্দ্র থেকে উত্তেজনার ঘটনা সামনে আসছে। বারাসত পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেই ছবি করতে গেলে সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডেই সিপিএম সমর্থক ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যেও হাতাহাতি হয়েছে। তার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সেখানেও সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সকাল থেকেই বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারাসতে। এছাড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩১ নম্বর বুথে তৃণমূল বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএম প্রার্থীর। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। পাল্টা তাদের অভিযোগ, সিপিআইএম এলাকায় বুথ জাম করছে। সাধারণ ভোটারদেরকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।
এই অশান্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সুপ্রিমোর উপর তোপ দাগেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সাংসদের উপর আক্রমণ হতেই তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'এখন কোথায় যেভাবে ভোটগ্রহণ চলছে তাতে গণতন্ত্র নয় মমতা তন্ত্র চলছে।'
তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে বুথ থেকে বিজেপি এজেন্টকে বের করে দেন ওই যুবক বলে অভিযোগ।১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী টুম্পা দে'র অভিযোগ, সকাল থেকেই ওই যুবক তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদেের এজেন্টকে বার বার বুথ থেকে বের করে দিচ্ছে। ছাপ্পা দেওয়ার জন্যই যুবক ভেতরে বসে ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি আকণ্ঠ মধ্যপান করেছিল ওই যুবক, দাবী বিজেপি প্রার্থীর।
বিজেপি প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রথমে ওই যুবককে ওখানেই বসিয়ে রেখেছিল। পরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে তাকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর দাবী, এই যুবক তাদের পোলিং এজেন্ট নয়। এমন কোনও লোকের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সঠিক পদক্ষেপ করেছে। প্রাথী বলেন, 'আমি শান্তির প্রতীক, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই করতে দিতে হবে।'
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI1947, যা ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে গিয়েছিল, ইউক্রেনের কিয়েভে NOTAM (এয়ার মিশনের নোটিশ) এর কারণে দিল্লীতে ফিরে আসছে।একই সঙ্গে রাশিয়ার হামলা নিয়ে ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ এটাকে অহেতুক আক্রমণ বলেছেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে এটি অগণিত জীবনকে বিপদে ফেলবে। তিনি বলেন, 'ইউক্রেনে রাশিয়ার বেপরোয়া ও বিনা উসকানিতে হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের অনেক চেষ্টা ও সতর্কতা সত্ত্বেও রাশিয়া আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়েছে যা ঠিক নয়।'
ইউক্রেনের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে রাশিয়ার হামলায় দেশটির নৌবাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলায় কিয়েভ ও খারকিভে ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড পোস্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এসব হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার হামলার পর সতর্কতা হিসেবে ইউক্রেন সব বেসামরিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ইউক্রেনের আধিকারিকরা বলছেন, রাশিয়া কিয়েভের বেশ কয়েকটি স্থানকে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেন আত্মরক্ষা করবে এবং জিতবে।
রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণার সাথে সাথে ইউক্রেনের ১১টি শহরে একযোগে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার খবর আসতেই অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়ে যায়। অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছুঁয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনা অবশেষে বৃহস্পতিবার যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ফেলে ফিরে যাওয়া উচিত্। এই বক্তব্যের পরপরই ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ও রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। খবর অনুযায়ী, ক্রমাটোস্কে দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। ক্রিমিয়া হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করছে রুশ সেনারা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এই যুদ্ধ এড়ানো যাবে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যেসব দেশ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে তাদেরও এর মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। এমন ফলাফল ইতিহাসে কখনওই ঘটেনি। তিনি বলেন, এই বিরোধ আমাদের জন্য জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। ইউক্রেন নব্য-নাত্সিদের সমর্থন করছে, তাই আমরা এটি আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
করোনার ভ্রূকুটি কাটিয়ে উঠে ফের স্কুল কলেজ খুলে গেছে বাংলায়। বড়রাই শুধু নয়, বহুদিন পর স্কুলে যাচ্ছে ছোটরাও। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক সব ক্লাস আবার আগের মতো শুরু হয়েছে অফলাইনে। এই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে মঙ্গলবার।
জানা গিয়েছে, চঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালিতলার বাসিন্দা নিতাই দে। তার সাথে স্ত্রী সুমীর সঙ্গে চোদ্দ বছর আগে বিবাহ হয়। নিতাই ও সুমীর একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ে মৌসুমীর বয়স পাঁচ আর ছেলে শুভমের বয়স বারো।বিয়ের প্রথম-প্রথম ভালোই কাটছিল তাদের।
নাম এসেছিল লটারিতে। তবে ভর্তি হতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণিতে। যদিও হার মানতে নারাজ বাবা মা। অবশেষে দ্বারস্থ হলেন বর্ধমান আদালতের। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাবেন, বললেন খান রেখা পূর্বাশা পারভিনের পরিবার। ২০২০ সালে ভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও আর্থিক অনুদান দিতে না পারায় মেয়েকে ভর্তি করতে পারেননি বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক প্রথমে ভর্তি করার কথা জানালেও পরে তিনি নিজেই ফোন করে বলেন ভর্তি করা যাবে না তাঁদের মেয়েকে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভর্তির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা আসেননি ভর্তির জন্য। সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে ভর্তি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান বাবা-মা। শেষমেষ তাঁরা দ্বারস্থ হলেন আদালতের। হাইকোর্ট এমনকি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন বলে জানান অসহায় বাবা জাহিরউদ্দিন খান রেখা।
অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক বলেন, "এ সব অভিযোগ চক্রান্ত। আর ডোনেশন চাওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এটা হতেই পারে না। ২৪০ টাকা দিলে স্কুলে ভর্তি করা যায়, সেখানে এক লাখ টাকা অসম্ভব। আর অনেকেই স্কুলের উন্নতির জন্য টাকা দেন সেটা আলাদা বিষয়। ওই পরিবার যদি হাইকোর্ট যায় তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন। এই পথে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না বলে সাফ জানান তিনি।" স্কুলে ভর্তি না হতে পেরে আপাতত বাড়িতেই পড়াশোনা করছে খান রেখা পূর্বাশা পারভিন। আর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় বাবা মা। তবে কবে স্কুলের মুখ দেখবে ওই পড়ুয়া তা তো সময়ই বলবে!
ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তাঁর খুনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশ সুপারের কথায় উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে বাগনান থানায় পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার সৌম্য রায়। আনিস খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবার পুলিশি তদন্তের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছে। সে বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবদিকেই তদন্ত করা হবে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং সত্য উদঘাটন করা হবে। পরিবারের তরফ থেকে যা যা অভিযোগ এখনও পর্যন্ত উঠে এসেছে, তাঁর ভিত্তিতেই পরবর্তী তদন্ত এগোবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নের বৈঠকে আনিস হত্যার তদন্তে একটি বিশেষ সিট গঠনের ঘোষণা করেছেন। এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে তদন্তকারী দল গঠিত হবে সেখানে কারা থাকবেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো রকম নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও আনিসের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে এসে পৌঁছয় নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনার সব দিক গুলি ধরে তদন্ত করা হবে বলে জানালেন তিনি।
আরও এক মহামারী অপেক্ষা করছে! জানালেন বিল গেটস
আনফোল্ড বাংলা ডেস্ক: প্রায় আড়াই বছর পরে কোভিড ১৯ মহামারী অবশেষে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ভবিষ্যতে আরো একটি মহামারী সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।
গেটস উল্লেখ করেছেন কোভিড -১৯-এর প্রকোপ টিকার মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। গেটসই, ডিসেম্বরে ওমিক্রন তরঙ্গ সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছিলেন। এবার বলেছেন, বিশ্ব "আরেকটি" মহামারীর সম্মুখীন হতে চলেছে। যেটি এই সময় এটি একটি ভিন্ন "প্যাথোজেন" হবে। গেটস আমেরিকান টিভি নিউজ চ্যানেল সিএনবিসিতে বলেন, "গুরুতর রোগের ঝুঁকি, যা প্রাথমিকভাবে বয়স্ক হওয়া এবং স্থূলতা বা ডায়াবেটিস হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত,। পরবর্তী মহামারীর জন্য তৈরি হওয়ার খরচ অবশ্য এত বেশি নয়। এটা বিশ্ব উষ্ণায়নের মত নয়। হ্যাঁ, যদি আমরা দ্রুত সচেতন হই, তাহলে আমরা তাড়াতাড়ি ধরতে পারব"।
তিনি আরও বলেছিলেন, 'হু'-এর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২২ সালের মাঝামাঝি বিশ্বব্যাপী ৭০% টিকা দেওয়ার লক্ষ্য। তবে এটা "খুব দেরি" হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তা সত্ত্বেও, গেটস কোভিড-১৯ মহামারীর তীব্রতা হ্রাসের বিষয়ে আশাবাদী। বর্তমানে, বিশ্বের প্রায় ৬১% লোকের অন্তত একটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।
কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে হেলমেট বিহীন মদ্যপ 3 বাইক আরোহীর 'দাদাগিরি' । গ্রেফতার 3 অভিযুক্ত । অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি তারা তৃণমূল সমর্থক । অভিযোগ, কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছে বাইক ছাড়ার জন্য । দু'পক্ষের চিত্কার চেঁচামেচিতে গ্রামের রাস্তায় লোকজনও জমে যায় (Civic Volunteer assaulted)।
মালদা, 21 ফেব্রুয়ারি : মদ্যপ অবস্থায় হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন 3 বাইক আরোহী । ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের গাড়ি থামাতে বলেন । এরপরেই বিপত্তি শুরু । তিন বাইক আরোহীর দাবি, তাঁরা তৃণমূলের কর্মী । সিভিক ভলান্টিয়ার তারপরও তাঁদের কাছে বাইক ছাড়ার জন্য টাকা দাবি করেছেন । কয়েকজনকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ইউনিফর্মের কলার ধরে ধস্তাধস্তিও করতে দেখা যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ (Malda Police Arrested 3 Accused) । অবশেষে 3 বাইক আরোহীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ।
প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর শহিদ মোড়ে ডিউটি করছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার । সেইসময় হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে সতর্ক করছিলেন । সেই রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে আসছিলেন মাসুদ আলম, মহম্মদ আলি ও নাজিমুল নামে তিন যুবক । তাঁদের 3 জনেরই মাথায় হেলমেট ছিল না । তা দেখে তাঁদের বাইক আটকান রাকেশ পাশওয়ান নামে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার । এরপরেই শুরু হয় বচসা ও ধস্তাধস্তি ।
তিন বাইক আরোহীর অভিযোগ, সেই সময়ে কোনও পুলিশ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না । তা সত্ত্বেও সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের বাইক আটকায় । এমনকি বাইক ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে দু'হাজার টাকা দাবিও করেছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার । টাকা না দেওয়ায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের উপর চড়াও হন ।
আলাউদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "বারদুয়ারি থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর আসছিলাম । শহিদ মোড়ে দেখি, প্রচুর মানুষের ভিড় । সবাই বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ার বাইক ছাড়ার জন্য টাকা নিচ্ছে । সেখানে কোনও পুলিশ অফিসারও ছিল না । অফিসার ছাড়া সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও গাড়ি ধরতে পারে না । সিভিক ভলান্টিয়ারকে কেউ ধাক্কাধাক্কি করেনি । তবে এখানে পুলিশ দিনে 50টি গাড়ি ধরে । তার মধ্যে মাত্র পাঁচটির চালান কাটে । বাকি গাড়িগুলি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।"
সিভিক বানিয়েছে মমতা সরকার, কটাক্ষ শুভেন্দুর
যদিও ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার রাকেশ পাশওয়ান জানিয়েছেন, "অফিসারের উপস্থিতিতেই আমি হেলমেটহীন ওই বাইকটি আটক করেছিলাম । কিন্তু বাইক আরোহীরা গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে । আমি তাদের কথা না শোনায় তারা আমাকে ধাক্কাধাক্কিও করে । আমার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যে।" হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, ওই 3 বাইক আরোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুরের অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, "আমরা শুনেছি, গাড়ি আটকে সিভিক ভলান্টিয়ার নাকি টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিন বাইক আরোহী । যারা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেছে, তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল । পুলিশের কাছে আমার আবেদন, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এখানে দলের কোনও বিষয় নয় । কর্মরত অবস্থায় পুলিশ কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর হাত তোলা অপরাধ । তেমনই উর্দি পরে টাকা দাবি করাও অপরাধ । তাই আমি এই ঘটনায় যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি তুলছি (Police Started Further Investigation)।"
জানা গিয়েছে, একটি ক্রেনের সাহায্যে গাড়িটি জল থেকে তোলা হয়েছে। দেহগুলিও উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, উজ্জ্বয়নে বিয়ের জন্য যাচ্ছিল গাড়িটি। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি নদীর জলে পড়ে যায়।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'কোটায় বরযাত্রীদের একটি গাড়ি চম্বল নদীতে পরে যাওয়ায় বর-সহ ৯ জনের মৃত্যুর যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্থ দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। আমি জেলাশাসককে ফোন করে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছি। নিহতদের পরিবারকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর তাঁদের এই আঘাত সহ্য করার শক্তিএবং মৃতদের আত্মাকে শান্তি দিন।'
সমস্ত তথ্য সংগ্রহ -সংবাদ প্রতিদিন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মৃত মহিলার নাম বেবী বিবি(৪৫)।তার ছেলে সিভিক ভলেণ্টিয়ার রফিকুল ইসলাম শনিবার রাতে মানিকচক থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন।রবিবার সকালে ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে মাকে ডাকাডাকি করলে দরজা না খুললে সন্দহ হয় ছেলের।খবর চাউর হতেই ভিড় জমাই স্থানীয়রা।বাড়ির মেন গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখেন ঘরের ভিতরে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ।তবে কে, কী কারণে খুন করলো বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবার পরিজনেরা।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন মানিকচক থানার পুলিশ বাহিনী।দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।
প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে পাড়ারই এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।কিন্তু সেই পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার একতারা এলাকায়। খবর পেয়ে রবিবার সকালে দুই বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বাসনা পুরকাইত (৩৪) ও মানস সাউ(২৯)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একতারা গ্রামের জ্বালানি পাড়ার বাসিন্দা পিনাকী মণ্ডলের সঙ্গে বছর দশেক আগে বাসনার বিয়ে হয়েছিল। বাসনা ছিলেন পিনাকীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। স্বামী ও সত্ছেলে বাইরে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী যুবক মানস সাউয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বাসনা।
মানস স্থানীয় রায়পাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকলেও আসল বাড়ি সাগরের সাপখালিতে। এর মাঝেই শনিবার রাতে সত্ ছেলে সুদীপ পুরকাইতের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন দু'জন। এরপর ওই দিন রাতে মানস ও বাসনা দু'জন নিজেদের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাদেশের শেরপুর সীমান্তে ফের বন্যহাতির দেহ উদ্ধার
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন : বাংলাদেশের শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকা থেকে আবার একটি বন্য হাতির দেহ উদ্ধার করা হল। শনিবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী আঠারোঝোড়া থেকে হাতির দেহটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।এই নিয়ে গত চার মাসে, শেরপুরের বিভিন্ন সীমান্তে তিনটি বন্য হাতির দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা এলাকায় একটি, এর ঠিক ১০ দিন পর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতার মায়াঘাসী গ্রাম থেকে আরেকটি বন্য হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
বন বিভাগ জানায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী হালচাটি গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত সীমান্তসংলগ্ন আঠারোঝোড়া পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির দেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা বন বিভাগকে খবর দেন। পরে রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক মহম্মদ মকরুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে বন বিভাগের লোকজন সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে ।
উদ্ধার করা হাতিটি মাদি বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা । এটির বয়স আনুমানিক ৭-৮ বছর । খাবারে বিষক্রিয়াজনিত কারণে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে বন বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্য হাতির দল ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার লোকালয়ে নেমে আসছে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে চা বাগানের ভাদে লাইনে গিয়েছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ একটি বিষাক্ত সাপ তাঁর হাতে ছোবল মারে।রাতেই স্থানীয়দের তত্পরতায় ওই যুবককে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।হাসপাতালেই চিকিত্সা চলছিল তাঁর। রাত তিনটে নাগাদ সব শেষ। যমে-মানুষে টানাটানির জেরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছে।রাতেই মালবাজার বনদপ্তরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে। চা বাগানের শ্রমিক মহল্লা থেকে উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আমতা থানার দক্ষিণ খান পাড়ায়। পুলিশের দাবি, তাদের কোনও কর্মী বা আধিকারিক এই ঘটনায় যুক্ত নন। মৃত আনিস খান (২৮) আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।মৃতের বাবা সালাম খানের অভিযোগ, গভীর রাতে পুলিশের পোশাক পরা লোক এসে ঘরে ঢুকে তাঁর ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তাঁর কথায়, রাতের বেলায় চারজন আসে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক এবং বাকি তিনজনের গায়ে সিভিক পুলিশের পোশাক ছিল। তারা এসে ঘরে ঢুকে ছেলের খবর জানতে চায়। এদের মধ্যে একজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে এবং বাকি তিনজন ছাদে উঠে যায় ছেলের খোঁজে। এরপর ছাদ থেকে আনিসকে ফেলে দিলে সে কার্নিসে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তিনি চিত্কার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে তুলে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত আনিস রাজনৈতিকভাবে আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
রহস্য দানা বেঁধেছে এই ঘটনায়। কে বা কারা যুক্ত আছে সেবিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। মৃতের বাবার দাবি, তিনি যখন বলেন ছেলের খবর জানি না তখন দুষ্কৃতীরা বলে আনিস আধঘণ্টা আগে বাড়ি এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা পরিষ্কার, দুষ্কৃতীরা আনিসের আসার খবর পেয়েছিল। সেক্ষেত্রে এলাকারই কেউ এই ঘটনায় যুক্ত আছে কি না সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: আবারও এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কুলতলির মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার মানুষ। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক গৃহবধূ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ উপকূল থানার ভুবনেশ্বরীর পয়লা ঘেরির বুল্টি হালদারের (২৫) সঙ্গে বছর দশেক আগে বিনোদপুরের বাসিন্দা বাবুসোনা মণ্ডলের বিয়ে হয় দেখাশোনা করে।তাঁদের ৯ বছরের একটি মেয়ে (মেনকা) ও ৫ বছরের একটি ছেলে (মণীশ)। আর এই নিয়েই তাঁদের জীবন যাপন। পেশায় দিনমজুর বাবুসোনা ওরফে দীপকের সঙ্গে কিছু দিন হল স্থানীয় এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এই খবর জেনে যায় বাবুসোনার স্ত্রী বুল্টি।
তাই নিয়েই প্রায়দিন সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার উভয় পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হওয়ার পরেও শনিবার সকালে বাপের বাড়ি চলে যান বুল্টি। সেখানে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এই খবর জানাজানি হতেই বুল্টির স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
অভিযুক্ত ছিল ৪৯ জন, বাকি ১১ জনের আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনানো হল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ভারতিয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।রায় শোনানোর সময় বিশেষ বিচারপতি এআর প্যাটেল জানান, বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবার ১ লক্ষ টাকা করে, গুরুতর আহতেরা ৫০ হাজার এবং স্বল্পাহতরা ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একমাত্র উসমান আগরবাত্তিওয়ালাকে অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু ছিল। আইপিসি, ইউএপিএ, এক্সপ্লোসিভ সাবস্টান্সেস অ্যাক্ট, প্রিভেনশন অফ ড্যামেজ টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত ৪৯ জনের প্রত্যেককেই ২.৮৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি, এই মামলায় অভিযুক্ত ৭৮ জনের মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই আমেদাবাদে বিভিন্ন স্পটে পরপর ২২টি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সরকার পরিচালিত হাসপাতাল, আমেদাবাদ পুরনিগম পরিচালিত এলজি হাসপাতাল, বাস, পার্ক করা সাইকেল, গাড়ি এবং আরও বিভিন্ন জায়গায় বোমা রাখা হয়েছিল। মোট বোমা রাখা হয়েছিল ২৪টি তবে কালোল এবং নারোদায় রাখা দুটো ফাটেনি। সেদিনের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ জনের এবং আহত হয়েছিলেন অন্তত ২০০ জন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইমেল পাঠিয়ে এই মামলার দায়স্বীকার করে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এই ঘটনার আগে অবধি এই জঙ্গি সংগঠনের নাম শোনা যায়নি।
আজকাল ওয়েবডেস্ক
তাঁর স্বর্ণালঙ্কার যত্ন করে রাখার জন্য ছিলেন একজন সহকারী। তিনি গয়নাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। শোনা গিয়েছে, একটি করে মিউজিক অ্যালবাম মুক্তি পেলেই বাপ্পী একটি সোনার বা হীরের গয়না কিনতেন। তাঁর ধারণা ছিল, এটি করলে তাঁর ওই মিউজিক অ্যালবাম হিট হবে। কিন্তু প্রতিটি গয়না পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখে দেওয়া হত নির্ধারিত বাক্সে। তবে তাঁর গয়না অন্য কেউ স্পর্শ করবেন তা পছন্দ করতেন না বাপ্পী। একবার তাঁর এক সহকারী তাঁর গয়নার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে বিনয়ের সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বাপ্পী। কেউ যাতে তাঁর শরীর ও গয়না স্পর্শ করতে না পারেন, তার জন্য সকলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেন বাপ্পী। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পর কি হবে তাঁর সোনার গয়নার? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর অনুরাগীদের একাংশ।
বাপ্পীর একজন পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, বাপ্পীর দুই সন্তান বাপ্পা (Bappa Lahiri) ও রিমা (Reema) ঠিক করেছেন, বাপ্পীর বাকি জিনিসের মতোই তাঁর গয়নাগুলিও সংরক্ষণ করা হবে। গয়নাগুলি সংরক্ষণ করা হবে দুটি ভাগে।
একটি ভাগে থাকবে তাঁর নিয়মিত পরা গয়না। সেগুলি বাক্সে যত্ন করে সাজানো থাকবে। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে তাঁর বিশেষ উপলক্ষ্য অনুযায়ী পরার গয়না। সেগুলিও আলাদা ভাবে বিশেষ বাক্সে তুলে রাখা হবে। বাপ্পীদা সোনা ভালোবাসতেন। ফলে অনেকেই তাঁকে স্বর্ণমূদ্রা বা মূর্তি দিতেন উপহার হিসাবে। সেগুলিও আলাদা ভাবে সংরক্ষিত থাকবে।
সমপূর্ণ তথ্য -HOOP HAAP
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations) ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন বিষয়ে এবার রাশিয়াকে (Russia) সতর্কবার্তা দিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে সেরগিয়ে কিস্তলেতসা (Sergiy Kyslytsya) বলেছেন সেনা মোতায়েন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে যে সমর্থন একত্রিতকরণের কাজ চালাচ্ছে রাশিয়া সেই নিয়েই সাবধান করছে তারা।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে বলা হয়েছে, "রাশিয়ার কাছে সেনা প্রত্যাহার এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র রয়েছে। তা না করে যদি আন্তজার্তিক প্রতিক্রিয়া একত্র করে বিকল্প পথ ভাবার চেষ্টা করে সেটি ঠিক হবে না।" সূত্রের খবর, রাশিয়া, ইউক্রেনের সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ডনবাসে স্তানিতসিয়া লুহানস্কায় গোলাবর্ষণ শুরু করেছে।
তিনি এও বলেন, "ইউক্রেন শান্তি, নিরাপত্তা, এবং স্থিতিশীলতা চায় শুধু নিজের জন্য নয়, পুরো ইউরোপের জন্যও। একই সঙ্গে রাশিয়া যদি উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য বেছে নেয়, ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করবে। " অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে সরাসরি কী আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে মুখ না খুললেও ইঙ্গিতে 'রুশ আগ্রাসনে'র বিরোধিতা করার দাবি জানিয়েছে, সূত্রের খবর।
এছাড়াও, বাইডেন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সামান্য খবর পেলেই দেখতে পেলেই যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা ও তার মিত্র শক্তিরা। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে কড়া প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হবে।
আদি বাস সাইবেরিয়ায়। ইউরোপ, এশিয়ার উত্তর অংশে দেখা মিললেও ভারতে তার দেখা পাওয়া বিরল। বিশালাকার সেই সাইবেরিয়ান মিউট সোয়ান পাখির (Siberian Mute Swan Bird) দেখা মিলল দক্ষিণ চব্বিণ পরগণার (South 24 Parganas) রামনগর থানার আসুরালি গ্রামে।
কয়েকদিন আগেই এই মিউট সোয়ান পাখিটিকে দেখা গিয়েছিল বারুইপুর এলাকায়। এর পর পাখিটি সেখান থেকে উড়ে গিয়েছিল। রাজ হাঁস প্রজাতির এই বিশালাকার পাখিটিকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি দিঘিতে দিনভর ঘোরাফেরা করতে দেখেন আসুরালি গ্রামের বাসিন্দারা। বিশালাকার পাখিটিকে দেখে গ্রামবাসীদের মধ্যে কৌতূহল ছড়ায়। পাখিটির নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেটিকে ধরে বন দফতরে খবর দেন গ্রামবাসীরা। এর পর বন দফতরের কর্মীরা এসে পাখিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মিউট সোয়ান পাখিটির ওজন প্রায় ১৫ কেজি। বন দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সচরাচর এত বড় আকারের মিউট সোয়ান পাখি দেখা যায় না।
শারীরিক পরীক্ষার পর সেটিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, সাধারণ পুরুষ মিউট সোয়ান পাখির ওজন হয় ৯ থেকে ১৪ কেজির মধ্যে। মেয়ে পাখিগুলির ওজন হয় তুলনামূলক কম।
সাইবেরিয়া বাদে উত্তর আমেরিকাতেও মিউট সোয়ান পাখিদের দেখা মেলে। পরিযায়ী হিসেবে তারা মাঝে মধ্যে উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অংশেও উড়ে যায়। কিন্তু ভারতে এই পাখির দেখা পাওয়া বিরল বলেই জানা যাচ্ছে। যেহেতু অন্যান্য রাজ হাঁস প্রজাতির পাখিগুলির তুলনায় এই পাখি কম ডাকাডাকি করে, তাই তাদের নাম মিউট সোয়ান। ১৯৮৪ সাল থেকে ডেনমার্কের জাতীয় পাখির স্বীকৃতিও পেয়েছে এই পাখি।ট
Anisuddin Molla
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে স্কুলে এসে বা অনলাইনে এই পরীক্ষা দিতে পারবে। প্র্যাকটিক্যালের ১২ টি বিষয়ের লিঙ্ক প্রকাশ করেছে সংসদ। রাজ্যের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে যে, ১৫ মার্চের পর ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর জমা দিতে হবে। এবার নিজের স্কুলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে আগের মতোই অন্য জায়গায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৯ হাজার ৯৯১ টি স্কুলের পড়ুয়া। ৭ মার্চ বাংলা, ৮ মার্চ ইংরেজি, ৯ মার্চ ভুগোল, ১১ মার্চ ইতিহাস, ১২ মার্চ জীবনবিজ্ঞান ১৪ মার্চ অঙ্ক, ১৫ মার্চ ভোতবিজ্ঞান, ১৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়। ২ এপ্রিল শুরু হবে উচ্চ মাধ্য়মিক। শেষ হবে ২০ এপ্রিল। উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্য়াকটিক্যাল পরীক্ষায় কোনও প্রশ্ন পাঠাবে না সংসদ। স্কুলগুলি মূল্য়ায়ন করে তাঁরা নম্বর সংসদে পাঠাবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রশ্ন করা এবং খাতা দেখা দুই দায়িত্বই ছিল স্কুলের।
কোভিডের জেরে গত দুই বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তালা ঝুলেছে। স্কুলের মুখ দেখেনি ছাত্র-ছাত্রীরা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মতো পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায়। তবে কোভিড এই মুহূর্তে অনেকটাই কমে এসেছে। তাই এবার হতে চলেছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক দুই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাই। তার ফলে স্বস্তিতে অভিভাবক এবং স্কুল পড়ুয়ারাও। প্রসঙ্গত, কোভিড ভ্যাকসিনেশনের উপর আটকে ছিল স্কুল। উল্লেখ্য, স্কুল খোলার দাবিতে ৪ টি মামলা হয়। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরাতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করেন একজন স্কুল শিক্ষক। ওই মামলাকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় জন্য বহু পড়ুয়ারই পড়াশোনা থেকে মন উঠে গিয়েছে। আর পড়াশোনা করছে না। এখানেই শেষ নয়, অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে । যার ফলে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। অপরদিকে পর্যাপ্ত ডিজিটালাইজ পরিকাঠামো না থাকায় অনেক পড়ুয়াই অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। নানা কারণের জেরেই স্কুলছুটদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সেই অভিশাপ পেরিয়ে এখন আলোর মুখে রাজ্য়ের প্রায় সব স্কুল।
বিষয়টি হয় তো অবিশ্বাস্য মনে হবে। তবে এমন এক ধরনের পাখি আছে যারা বৃষ্টির জলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আর সেই পাখিটির নাম চাতক পাখি। এই পাখির নামটা অনেকেই শুনেছেন। এই পাখিই বৃষ্টির জল ছাড়া অন্য কোনো জল পান করে না।
ইংরেজিতে এই পাখির নাম- 'পায়েড কুক্কু' (Pied cuckoo)।
আবহমান কাল ধরেই লক্ষ্য করা গেছে, দক্ষিণ ভারতের ট্রপিক্যাল অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে উড়ে আসার কয়েকদিন পরই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তাই এই পাখিটির আগমণ 'আবহাওয়ার পূর্বাভাস ' বার্তাও বহন করে। কবি-সাহিত্যিকদের বর্ণনায় যেন, এরাই পিছু পিছু ডেকে নিয়ে আসে বর্ষাকে।
এই চাতক পাখি সাদা-কালো বর্ণের মিশ্রণের। এই পাখিটির ঝুঁটি, ঘাড়, পিঠ ও ডানা কালো। ডানার পাশটায় সামান্য সাদা ছোপ। গলা, বুক, পেট, লেজের নিচটা কালো কিন্ত লেজের প্রান্ত সাদাটে। চোখ, পা কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। চেহারায় রাগী ভাব। তবে অত হিংস্র নয়। 'গ্রামাঞ্চলের মানুষ এদেরকে বড় বুলবুল পাখি বলে ভুল করে। ' সাধারণত এরা গাছের উঁচু ডালে থাকে তবে, মাঝেমধ্যে মাটিতে নেমে আসে। মাটিতে এদের হাটার ভঙিও অন্যরকম, তারা হাঁটে লাফিয়ে লাফিয়ে।
এই চাতক পাখির প্রধান খাবার পিঁপড়া, শুয়োপোকা, ঘাসফড়িং, লতাগুল্মের কচিপাতা। তাছাড়া এরা শুধুমাত্র বৃষ্টির জল পান করে। বৃষ্টির সময় আকাশে উড়ে উড়ে পড়ন্ত বৃষ্টির ফোটা পান করে এরা তৃষ্ণা মেটায়।
জুন থেকে আগস্ট মাসে কোকিলের মতো পরের বাসায় ডিম পাড়ে এরা। এরা নিজেরা বাসা বাঁধতে জানে না। একবারে ডিম পারার সংখ্যা এক থেকে দুইটি। দেখা গিয়েছে, ডিম পাড়ার আগে পুরুষ পাখিটি ছলনার আশ্রয় নেয়, সে সুরেলা ডাক দেয় যাতে অন্য পাখির মনযোগ সরাতে পারে এবং এই সুযোগে স্ত্রী পাখি ডিম পেড়ে আসে। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সাধারণত সময় লাগে ১৮থেকে ২০ দিন।
এই পাখি ২০ বছর বাঁচে। লোকমুখে শোনা যায় এই পাখি মৃত্যুর সময় মাটিতে পিঠ ঠেকিয়ে, পা দুটোই উপরের দিকে তুলে, ঠোঁট হা করে, চোখ দুটো খুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে মারা যায়।
তথ্ এক ঝলক