এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুলতানা বেগম বলেন, তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্র মিরজা মহম্মদ বখতের সঙ্গে। উত্তরাধিকারসূত্রে লালকেল্লার অধিকারী তিনি, ভারত সরকার নয়।
সুলতানা বেগম থাকেন কলকাতার একটি ঘিঞ্জি বস্তি এলাকায়। সেই বস্তি এলাকার যে ছবি ওই সংবাদমাধ্যমের আলোকচিত্রির ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে, তা দেখলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই বেরিয়ে আসবে না। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে সুলতানা বেগম বলেন, 'ভাবতে পারেন, যাঁর হাত দিয়ে তৈরি হয়েছিল তাজমহল, তাঁর এক বংশধরের স্ত্রী আজ এই অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।' তিনি বলেন, ১৯৮০ তে স্বামী মিরজা মহম্মদ বখতের মৃত্যু পর থেকে শুরু জীবনযুদ্ধ।
ইতিহাস বলছে, স্বামী মিরজা মহম্মদ বখতেরও জীবনের শেষ কয়েকটা দিন কেটেছে চরম দুর্দশায়। দিল্লি থেকে গরুর গাড়ি করে চলে গিয়েছিলেন ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমারে। কোনওভাবে দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে আসেন সুলতানা বেগম। শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকান খোলেন। কিন্তু রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে ভাঙা পড়ে সেই রাস্তা। আয় বলতে মাত্র ছয় হাজার টাকার পেনসন।
লালকেল্লার মালিকানা চেয়ে সুলতানা বেগম দিল্লি হাইকোর্টে একবার মামলাও করেছিলেন। গত সপ্তাহে আদালত সেই মামলার গুরুত্ব দিতে অস্বীকার করে। তবে প্রশ্ন করে কেন, এই দেড়শো বছরের মধ্যে বাহাদুর শাহ জাফরের কোনও উত্তরাধিকারী এই দাবি তুলে আদালতে দ্বারস্থ হল না। যদিও সুলতানা বেগম এবং তাঁর আইনজীবী বিবেক মোর জানিয়েছেন, এই লড়াইয়ের শেষ দেখেই তিনি ছাড়বেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours