কোভিড পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ। ভারচুয়াল মাধ্যমে ক্লাসের ব্যবস্থা থাকলেও মোবাইল ফোন, ওই জাতীয় ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেক আর্থিক ভাবে অনগ্রসর পরিবারের পড়ুয়াই তাতে অংশ নিতে পারেনি। এর ফলে ওই সময় থেকে পাকাপাকি ভাবে অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। যোগ দিয়েছে কাজে। ফলে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মামলাকারীর দাবি, পরিস্থিতিই তাদের ওই অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, 'এইসব পড়ুয়াদের জন্য সরকার থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, এখনও তাদের কাছে স্কুল ছুটদের পরিসংখ্যান নেই। অথচ এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার ফলে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। তাই এখন সরকারের উচিত তাদের স্কুলমুখী করা।'
মঙ্গলবার মামলাটি গৃহীত হয়েছে। আগামী শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সাল থেকে বারবারই থাবা বসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কচিকাঁচারা যেতে পারছে না স্কুলে। বাধ্য হয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুললে বাকিদের জন্য বন্ধই রয়েছে স্কুলের দরজা। নবান্নের বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফের তালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours