তার কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয় দোহা থেকে উগান্ডার এনতেবে শহরগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের ফ্লাইটে ওঠার প্রায় ১ ঘণ্টা পর এমনি জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক ডা. আয়েশা খতিব। আমি গিয়ে দেখি যে, ওই অসুস্থ নারীর আশপাশে ভিড় করছিলেন অনেক লোক। সেইসময় তিনি ভেবেছিলেন কেউ হয়তো হার্ট অ্যাটাক করেছেন।কিন্তু আমি ওই নারীর কাছে গিয়ে দেখলাম সেই নারী অন্তঃসত্ত্বা এবং শুরু হয়েছে তার প্রসব বেদনা।'
অন্য দুই যাত্রীর সহযোগিতায় তিনি ওই নারীর চিকিত্সা শুরু করেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন অনকোলজির নার্স এবং একজন ডক্টর উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) শিশু বিশেষজ্ঞ।
জন্মের পরই শিশুটি তীব্র চিত্কার দিয়ে ওঠে। ডা. খতিব বলেন, আমি শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ করেছি। সে পুরোপুরি সুস্থ আছে। তার মায়ের শারীরিক অবস্থাও বেশ ভালো আছে।
আমি সবাইকে বললাম যে, একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। এই খবরে পুরো বিমানেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সবাই তালি বাজিয়ে নতুন শিশুকে স্বাগত জানান।
ডা. বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে শিশুটির মা তার সন্তানের নাম তার নামেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আয়েশা খতিবের নামের সঙ্গে মিল রেখে শিশুটির নাম 'মিরাকল আয়েশা' রাখা হয়েছে।
ডা. আয়েশা খতিব খুশি হয়ে মিরাকেল আয়েশাকে একটি স্বর্ণের চেন উপহার দিয়েছেন। ওই চেনের সঙ্গে থাকা লকেটে আরবিতে আয়েশা লেখা আছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours