স্থানীয় সূত্রে খবর বসুন্ধরা এবং রবিচন্দ্র দীর্ঘদিন ধরেই রেনিগুন্তার বাসিন্দা। রবিচন্দ্রের সঙ্গে প্রায় ২৫ বছরের বৈবাহিক জীবন বসুন্ধরার। তাঁদের ২০ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিবাহিত জীবন সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণভাবে চললেও সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছিল। দুজনের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি, ঝামেলা লেগে থাকত। বৃহস্পতিবার সেই অশান্তিই চরমে পৌঁছায় এবং তারপরেই স্বামীকে খুন করে বসুন্ধরা। ওইদিন প্রায় মধ্যরাতে বাড়ি ফিরেছিলেন রবিচন্দ্র এবং বাড়ি ফেরার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছুরির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রবিচন্দ্রের। বসুন্ধরা প্রথমে তাঁর স্বামীকে একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। রবিচন্দ্রের মৃত্যুর পরে তাঁর মাথাটা ধর থেকে আলাদা করে বসুন্ধরা এবং সেই কাটা মাথাটি একটি প্ল্যাস্টিক ব্যাগে ভরে থানায় গিয়ে হাজির হয়। তগবে ঠিক কি কারণে বসুন্ধরা এবং তাঁর স্বামীর মধ্যে অশান্তি হত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের অনুমান, রবিচন্দ্রের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারে বসুন্ধরা এবং তারপরেই সে তার স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours