ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে তার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বঙ্গ বিজেপি। এদিকে একদা যার গানে সকাল শুরু হত আপামর বাঙালির সেই বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর জীবন শুরু থেকেই বিতর্কে মোড়া। এদিকে কবীর সুমনের পিতৃদত্ত নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। এই নামেই বড় হন তিনি। ১৯৬৯ সালে তিনি পারি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই পরিচয় সোফিয়া নাজমা চৌধুরীর সঙ্গে।
ভয়েস অফ আমেরিকায় সুমনের সহকর্মী ছিলেন ঢাকার মেয়ে নাজমা। কর্মসূত্রের তাদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। সেখান থেকে প্রেম। এদিকে আমেরিকায় ১০ বছর কাটিয়ে দেশে ফিরে আসেন তারা। কিছুদিন ঢাকায় কাটিয়ে নাজমা আসেন কলকাতায়। সেই সময় তারা থাকতেন গড়িয়া স্টেশনে রোডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে। নাজমাকে বিয়ে করার জন্যই প্রথমবার ধর্মান্তরিত হন সুমন চট্টোপাধ্যায়। নাম বদলে হয়ে যান মহম্মদ ফারুক। তারপরই সুম ওরফে ফারুক ও নাজমা চাকরি করতে চলে যান জার্মানিতে। যোগদেন ভয়েস অফ জার্মানিতে। কিন্তু এরপরই তাদের জীবনে আসে নতুন মোড়। ভেঙে যায় সম্পর্ক। ডিভোর্স হয়ে যায় দুজনের। এরপরই সুমনের জীবনে মারিয়ার প্রবেশ। এরপর তাকে বিয়ে। মেয়ে ভার্জিনিয়াকে দত্তক নেন তিনি। বিয়েটা অবশ্য করেন সুমন চট্টোপাধ্যায় নামে। এরপর ১৯৯ সালে সুমনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন মারিয়া। পরে সুমন আত্মসমর্পন করে জামিন পান।
পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে সুমনের যাতায়াত বাড়তে থাকে। সেখানে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্টতা। কিন্তু মারিয়ার সঙ্গে যেহেতু তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তাই সাবিনাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অবশেষে ফের ইসলাম ধর্মের আশ্রয় নেন সুমন। তখনই সুমন চট্টোপাধ্যায় হয়ে গেলেন কবীর সুমন। বিয়ে করলেন সাবিনা ইয়াসমিনকে। এদিকে বারবার সুমনের এই ধর্মবদলকে বিশেষ ভালো চোখে দেখছেন না টিপু সুলতাম মসজিদের শাহি ইমাম। এই প্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, "এই কাজকে কখনওই সমর্থন করে না ইসলাম। এমনকী মুসলিম পার্সোনাল আইনও এই কাজকে সমর্থন করে না। যদি কোনও হিন্দু মুসলিম হয়ে পুনরায় হিন্দু হয়ে আবার মুসলিম হতে চায় তা কখনওই মান্যতা দেওয়া যায় না। ইসলামী আইন সাফ বলছে কোনও ব্যক্তি এই কাজ করলে তিনি আদপে ইসলাম ধর্মের সঙ্গেই অবমাননা করছেন।"
Post A Comment:
0 comments so far,add yours