জেলাজুড়ে যত্রতত্র চালু হয়ে গিয়েছে টোটোর চলাচল। সেই সব টোটো শুধু গ্রাম বা শহরের পাড়ার মধ্যে দিয়েই চলাচল করছে তাই নয়, রীতিমত লম্বা দৌড় দিচ্ছে বাসের রুট ধরেও। আর তার জেরেই যাত্রী হারাচ্ছে বেসরকারি বাস। ফলে বাসের মালিক থেকে কর্মী সবার আয়েই পড়েছে টান।বার বনার এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি। অগত্যা তাই সোমবার থেকে লাগাতার বাস ধর্মঘট চালু করে দিলেন হুগলি জেলার বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যরা। সেই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন বাসকর্মীরাও। আর এই হুট করে বাস বন্ধের জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় সমস্যার মুখে পড়ে যান নিত্যযাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই হুগলি জেলা জুড়ে এই বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেন বাসমালিকেরা। সেই সঙ্গে তাঁরা জেলার সদর শহর চুঁচুড়ায় একটি সভাও করেন। সেই সভা থেকেই তাঁরা জানিয়ে দেন, প্রশাসন দ্রুত তাঁদের সমস্যার সমাধান না করলে তাঁরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই ধর্মঘট চালিয়ে নিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে বাস মালিকেরা জানিয়েছেন, বাসের রুট ধরে টোটো চলায় শুধু তাঁরা যাত্রী হারাচ্ছেন বা আয়ের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না এটাই নয়, বড় রাস্তা ধরে টোটো চলাচল করায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাস মালিকদের দাবি, কোভিডের জেরে জেলায় এখন মাত্র ৪০ শতাংশ বেসরকারি বাস চলে। বেশ কিছু রুটে তো বাস চলাচল বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কেননা যাত্রীর অভাব ও জ্বালানীর অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি। বাস মালিকদের দাবি, বাসের রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত অটো, ট্রেকার চলছে। তার জেরে যাত্রী তো কমেইছিল, টোটো এসে বাকি যাত্রীও কেড়ে নিচ্ছে। এতে জ্বলানীর দামটুকুও আর উঠছে না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা এই ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours