উল্লেখ্য, গতবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য একটি পদ সংরক্ষিত ছিল। ওই পদে আবেদন করেন ১০০ শতাংশ দৃষ্টিহীন সঞ্জীব রজক। তিনি ২০১৭ সাল থেকে চম্পাহাটির সুশীল কর কলেজে বাংলা ভাষার সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের তরফে চাকরি প্রার্থীদের জানানো হয়, অনলাইনে পড়ানোর দক্ষতা দেখা হবে। এবং ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। মামলাকারী প্রার্থীর দাবি, তিনি নিয়োগকারী কমিটির কাছে সমস্ত নথিপত্র দিয়েছিলেন। এবং সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, যাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁর যোগ্যতা কম। এবং বিশেষভাবে সক্ষমতার শংসাপত্রটিও ভুয়ো। বিষয়টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকেও চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতেই বৃহস্পতিবার রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। তিনসপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি। বিষয়টিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি না। উপাচার্য বলতে পারবেন।' উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বিষয়টিতে বললেন, 'যদি প্রমাণ হয় যে নিয়োগের ক্ষেত্রে দূর্নীতি হয়েছে, তাহলে আদলত ব্যবস্থা নিক। নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গাফিলতি নেই। অভিযোগকারীর দাবি, ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েছে চাকরি প্রাপক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত আমাদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। আমরা সমস্ত রিপোর্ট জমা দেব। অভিযোগ যদি সত্যি হয়, আদালত ব্যবস্থা নিক।'
শিক্ষক নিয়োগে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে! মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, ভুয়ো শংসাপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের প্যানেলও প্রকাশ করা হয়নি। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours