ঘটনার বিবরণ
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির কামারতোর গ্রামে। মৃত শিশুটির নাম গোলাম সরোবর। তিনদিন আগে দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তের শুরুতেই মহম্মদ মেকাইল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সত্য। এরপর শুক্রবার রাতে মৃতদেহের হদিশ পায় পুলিশ। মৃতদেহের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। পুলিশ মনে করছে বাচ্চাটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হতে পারে। পাশাপাশি তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেও মেলার মাঠের পাশে কবরস্থানের ঝোপে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বা বন্য জন্তুও খুবলে খেয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
এদিকে, ঘটনায় পুর্বে গ্রেফতার মেকাইলের পাশাপাশি মৃতের মা সেলি খাতুনকেও শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও এক সন্দেহভাজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবার অভিযোগ করে বলছে, মৃতের মায়ের সঙ্গে মেকাইলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, আর ছেলে তা দেখে নেওয়াতেই পথের কাটা সরিয়ে ফেলতেই মা ও তার প্রেমিক খুন করেছে বলে মনে করছে তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে শনিবার সকালে তাদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
মৃত শিশুটির কাকা বলেন, “তিনদিন আগে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে খুঁজে না পেলে পুলিশকে খবর দিই। এরপর আমরা মেকাইলকে পুলিশে ধরিয়ে দিই। তখন পুলিশ বাচ্চাটির মাকেও গ্রেফতার করে। পরে তদন্ত করতে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। ওই ব্যক্তির শিশুটির মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।”
TV9 বাংলা
Post A Comment:
0 comments so far,add yours