কোভিড অতিমারির কারণে দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছিল। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা কমে গিয়েছে। কোভিডের পরবর্তী সময়ে মানুষ বিনিয়োগ করে জমি, বাড়ি, কেনা, বিক্রি বা লিজ নিতে সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়ে আবাসন শিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মী এবং শ্রমিকরা। রিয়েল এস্টেটের এই বাস্তব সমস্যা উপলব্ধি করে অর্থনীতিকে ফের ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য রাজ্য সরকার বাজেটে সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপ নেয়।
বাজেট রাজ্য জানায়, যে হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয় সেই স্ট্যাম্প ডিউটির হার ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব হয়। আগে রাজ্যের শহর এলাকায় ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। রাজ্য সরকারের ছাড়ের ফলে তা হয় মাত্র ৪ শতাংশ। একইভাবে গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি ২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গ্রামীণ এলাকায় স্ট্যাম্প ডিউটি হয় মাত্র ৩ শতাংশ। এর ফলে শুধুমাত্র শহর নয়, জেলা, পুরসভা মিউনিসিপ্যালিটির বাসিন্দারাও আবাসন কিনলে তাদের এখন অনেকটাই আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ছাড় দেওয়ায় যেমন জমি—বাড়ি—ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশেনে আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের, তেমনই নির্মাণ ক্ষেত্রের ব্যবসায় বাড়তি গতি এসেছে রাজ্যে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য শিল্পগুলিও গতি পেয়েছে।
বস্তুত, রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নেওয়ায় রাজ্যে অর্থনৈতিক গতি অনেকটাই বেড়েছে। একইসঙ্গে ব্যাপক হারে রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় রাজ্যের ভাণ্ডারে বাড়তি অর্থও আসছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের পর তাই ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তা শেষ হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। ফের আরও দু'মাস এই ছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
কোভিডের পরবর্তী সময়ে মানুষ বিনিয়োগ করে জমি, বাড়ি, কেনা, বিক্রি বা লিজ নিতে সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছিল না।চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়ে আবাসন শিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মী এবং শ্রমিকরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours