পরিস্থিতি ঠিক কি ঘটেছে তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, চারটি শিশু মাঠে পড়ে রয়েছে। প্রত্যেকের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। পায়ে ঢোকানো বাঁশ। চলছে বেধড়ক মার। মারধরের সময় অভিযুক্ত রবিয়াল খান উত্সাহ জোগাতেও দেখা গিয়েছে অনেককেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ উঠেছে সেটির মালিকও রবিয়াল খান নন। তা অন্য এক গ্রামবাসীর। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ামাত্রই রবিয়াল নিজের ছেলে-সহ চার শিশুর উপর নির্মম অত্যাচার করে। প্রত্যেকেরই বয়স দশ থেকে বারো বছরের মধ্যে। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্থানীয় গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের বিডিও ওয়াসিম রেজা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
পুলিশও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রবিয়ালকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সন্দীপ দাস ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'বিষয়টি খুবই গুরুতর। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ অবশ্য ঘটনার আধঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।' এদিকে, নির্যাতিত শিশুগুলিকে গড়বেতা এক নম্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই চার শিশু। আতঙ্কে অঝোরে কেঁদেই চলেছে তারা। ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে চার শিশুর হাত-পা বেঁধে নির্মম মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতার জবা গ্রামে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours