চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নইলে একটা হাসপাতাল থেকে কখনও ১১টা মাথার খুলি ,# ৫৪টি হাড়গোড় (bones) বেরয়! মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলার এক হাসপাতাল থেকে এত কিছুর সন্ধান পাওয়া গেল। হাসপাতালে বেআইনি গর্ভপাত, ভ্রুণহত্যা হয় বলে সন্দেহ পুলিশের ।
তাদের ধারণা, মাথার খুলি, হাড়গোড় সব নষ্ট করে ফেলা মানবভ্রুণের। হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত এক ডাক্তার, নার্সকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাড়গোড়গুলি বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে। রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ। একটি নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণে গর্ভবতী করে দেওয়ার অভিযোগের মামলার তদন্তে নেমে এমন বিস্ফোরক আবিষ্কার করে পুলিশ। জনৈক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ছেলেটির বাবা-মা মেয়েটির পরিবারকে নাকি হুমকি দেয়, গর্ভের বাচ্চাটিকে নষ্ট না করলে তাদের সম্পর্কে বদনাম রটিয়ে দেবে। ওয়ার্ধার ওই হাসপাতালেই সম্ভবতঃ নাবালিকার গর্ভপাত করানো হয়। ছেলেটির পরিবারই যাবতীয় খরচ দেয়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স গ্রেফতার হন। নাবালক ছেলেটির বাবা-মাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ শিশু ও নাবালক যৌন নির্যাতন রোধ আইনের (পকসো) নানা ধারায়। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ১৮ বছর বয়সের কমের মেয়ের গর্ভপাত করানোর ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তের অঙ্গ হিসাবে হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে ক্যাম্পাসে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট মাথার খুলি, হাড়ের খোঁজ পায় তারা। ওয়ার্ধার পুলিশ সুপার প্রশান্ত হোলকার জানিয়েছে,অভিযুক্ত ডাক্তারের শ্বশুর-শাশুড়ি ডাক্তার, যাঁদের গর্ভপাত করানোর লাইসেন্স আছে। কোথা থেকে এল ওই মাথার খুলি, হাড়গোড়, সেগুলি কি বৈধ না বেআইনি ভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃত ডাক্তার এ ব্যাপারে কোনও নথি পেশ করেননি বলে জানিয়েছে তারা।
তথ্যসূত্র _THE WALL
Post A Comment:
0 comments so far,add yours