টোটোচালক পার্সেল দিয়ে গেলে তা খুলতেই বিস্ফোরণ। এমনই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইল গ্রামে।
টোটোচালকের দেওয়া পার্সেল খুলতেই বিস্ফোরণ উত্তর দিনাজপুরে ((Explosion in Uttar Dinajpur)। বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ৩ জন। আহতদের দ্রুত রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হেমতাবাদের বাহারাইল গ্রামে ওষুধের ব্যবসা করেন বাবলু চৌধুরী। শুক্রবার বিকেল নাগাদ এক মহিলা যাত্রী নিয়ে এক টোটোচালক বাবলু চৌধুরীর দোকানে আসেন এবং তাঁর একটি পার্সেল আছে বলে জানায়। সেসময় দোকানে ছিলেন বাবলুর দাদা আশরাফ আলি চৌধুরী। তিনি পার্সেলের প্যাকেটটি হাতে নেয়। পরে বাবলু দোকানে আসার পর পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ওই দোকানে থাকা তপন রায়, বাবলু চৌধুরী এবং মহম্মদ সফুর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাহারাইল গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই বাহারাইল গ্রামে ছুটে আসে হেমতাবাদ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ব্লক হেমতাবাদের বাহারাইলে সাধারনতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ওই টোটোচালক ও মহিলা যাত্রী সহ টোটোর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওষুধের কাটন নিয়ে একটি টোটো এসে পৌঁছয়। ওই ওষুধের কাটনে আমার নামই লেখা ছিল। তারপরেই ওই টোটোওয়ালা বলল এই নামে কাটন এসেছে। আমি সাড়া দিতেই ওরা কাটনটা এগিয়ে দেয় দোকানের দিকে। এরপরেই টোটো চলে যায় ওখান থেকে। তারপরেই ওই পার্সেলটি খোলা হয়। আর মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে। আর কিছু বলতে পারবো না, বলে চোখে একরাশ আতঙ্কে হাতে স্য়ালাইন লাগানো অবস্থায় বিস্ফোরণের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই বিস্ফোরণে কেউ প্রাণ না হারালেও তীব্র মাত্রায় প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। তিন জন আহতের অপর আরেক জন বারবার আওড়ে যাচ্ছেন, বাঁচবো না বোধয়। মৃত্যুভয় তাঁড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকেও। ইতিমধ্য়েই ওই তিন আহত ব্যক্তিদের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা শুরু করেছে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এহেন বিস্ফোরণে রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে একটা বড়সড় প্রশ্ন উঠে এসেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours