নতুন বছরের শুরুতে এমনিতেই জোর নাকাতল্লাশি হচ্ছিল মালদহের রাস্তায়। আর সেই নাকা তল্লাশিতেই মালদহের সুস্থানী মোড়ের কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কেই দুই মাদকপাচারকারীকে পাকড়াও করে পুলিশ। স্কুটি করে যেতে গিয়েই ধরা পড়ে যায় মালদহ কালিয়াচক-মল্লিকপাড়ার নারায়ান বসাকের ছেলে ইন্দ্রজিত্ বসাক এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের কার্তিক সরকারের ছেলে সুব্রত সরকার নামে দুই ব্যক্তি। ওই দুই পাচারকারীর পর্দা ফাঁস করে এএসআই গৌতম মাহাতো। তাঁদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের অধীনে মাদক মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে, ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টা ১৫ নাগাদ এএসআই-র অধীনে অভিযান চালানো হয়। এরপরেই ক্যাশ ২ লক্ষ টাকা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে আরও এক অপরাধী। তবে এখানেই শেষ নয়, এসআই তানবীর হাবীব মারফত আরও একটি লাঞ্ছনার ঘটনাও প্রকাশ্যে উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরুতেই মালদহে মাদক পাচারের পর্দা ফাস করে পুলিশ। সেবার মাদক পাচারের ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ওই পাঁচ জনের থেকে মোট ৫১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি মারুতি গাড়ি সহ ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বস্তায় ৫১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়।ধৃতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামের বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার পূর্ব কাঠালবাড়ি, জয়ন্ত বর্মনের বাড়ি আলিপুরদুয়ারের যোগেন্দ্রনগর, সাদেক মিয়াঁ ও নূর হোসেনের বাড়ি মালদার কৃষ্ণপুরে এবং আব্দুল করিমের বাড়ি কালিয়াচকের নারায়নপুরে।
এদিকে নভেম্বর মাসে মালদহ এলাকাতেই একটি বড়সড় মাদকপাচারের ঘটনার পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ।যৌথ অভিযান চালিয়ে মালদহে বিপুল পরিমাণ মাদক ট্যাবলেট এবং এক কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে এসটিএফ ও পুলিশ । গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, একটি লরিকে আটক করে পুলিশের ওই বিশেষ শাখা । এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়েই ওই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। কালিয়াচকের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনাটি ঘটেছে। লরিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১ কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্রাউন সুগার ও ইয়াবার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে পাচারে ব্যবহৃত লরিটিকে। ১২ চাকার ওই লরিতে লুকিয়ে মাদক দ্রব্যগুলি পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অপরাধীরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours