আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ, বসিরহাটকাণ্ডে নয়া মোড়
৬ মিনিটেই দশ লক্ষ…, বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন হার্দিক পান্ডিয়া!
হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব, মমতার বার্তা সিদ্দিকুল্লাকে
সুস্বাস্থ্যের পঞ্চায়েত গড়ার উদ্যোগ নিল ঘোড়ামারা
অধ্যক্ষ বিমানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বিজেপি’, কেন বললেন শুভেন্দু?
নামখানা ব্রিজের নিচে বিধ্বংসী আগুন। নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া সেতু তলায় বিধ্বংসী আগুন লাগলো। রবিবার রাত দশটা নাগাদ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেখেন, ব্রিজের নিচে থাকা পাটকাঠির স্তুপে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনের কাছে এসে দেখেন আগুনের লেলিহান শিখা ব্রিজের তলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে আগুন বিধ্বংসী আকার নেয়।
গত কয়েকবছর আগে নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপর বকখালি ও কলকাতার যাতায়াতের রাস্তায় নদীর উপর এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই সেতুর নিচে অনেক অস্থায়ী ব্যবসায়ী অনেকদিন ধরে ডেকোরেটর বাঁশকাঠ ও পান বরজের ব্যবহৃত পাটকাঠি মজুত করে রেখেছিলেন। রবিবার রাত্রি দশটা নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন দেখেন ব্রিজের নিচে থাকা পাটকাটির স্তূপে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। পাশেই রয়েছে নামখানা থানা। ঘটনাস্থলে নামখানা থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ আগুনের লেলিহান শিখা তখন ব্রিজের নিচে তখন দাউদাউ করছে। কাকদ্বীপ দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুন এতটাই বিধ্বংসী আকার ধারণ করে ব্রীজের বেশিরভাগ জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে পরে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। ব্রিজের নিচে আগুন লাগায় ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করার সমস্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ব্রিজের নিচে আগুন লাগায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কারণ আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরো বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিনএর চেষ্টায় প্রায় ঘণ্টাতিনেক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলকর্মীরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, কোন বিড়ি কিংবা শীতের পোহানো আগুন থেকে এই বিধ্বংসী কান্ড।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নিচে কয়েকজন ব্যবসায়ী এই সমস্ত বাহগলা পাটকাঠি রেখেছেন। তার জেরেই এই বিপত্তি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে ঠিক কি কারণে আগুন লেগে এইরকম বিধ্বংসী কান্ড, পরে তদন্ত করার পরেই উঠে আসতবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours